নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
ঝোপঝাড় পরিষ্কারের নামে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) উপাচার্য বাংলো এলাকার প্রায় ৭৯টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সে ক্ষেত্রে নেওয়া হয়নি বন বিভাগের অনুমতিও। গত কয়েক দিন ধরে কৌশলে গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে গিয়ে ছোট-বড় কিছু গাছ ভুল বোঝাবুঝিতে কাটা হয়ে গেছে। এগুলো লাগানো কাঠ গাছ নয়, প্রাকৃতিকভাবে গজানো। এখানে সৌন্দর্য বর্ধন ও পরিবেশ রক্ষায় বনজ-ফলজ গাছ লাগানো হবে। এ সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে গাছ কাটা হয়েছে।
একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানান, বন বিভাগের অনুমিত ছাড়াই আকাশমণিসহ বিভিন্ন জাতের ৭৯টি গাছ কাটা হয়েছে। ভিসি স্যার ছুটিতে থাকায় কৌশলে এ কাজটি করা হয়েছে। টিলায় লাগানো গাছগুলো বন বিভাগের। তারা বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে লাগিয়েছিল। গাছ কাটার কাজটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আশফাক উদ্দিন ও নিরাপত্তাকর্মী কবির করেছেন।
তারা ক্যাম্পাস থেকে পুরোনো লোহার বিদ্যুতের ৩০টি পাইপের মধ্যে ১১ ইতিমধ্যে বিক্রিও করে দিয়েছেন। টিলা এলাকার গাছগুলো কেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করা দেওয়া হয়েছে। মূলত ভিসি স্যারের পেছনে লাগা কিছু লোক এটি করিয়েছে; যাতে করে স্যারকে বিতর্কিত করা যায়।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়-সিকৃবি নতুন অডিটোরিয়ামের পেছনে একটি উঁচু স্থানে শতাধিক গাছের মধ্যে ৭০ টির বেশি গাছ কাটা অবস্থায় রয়েছে। আরও কয়েকটি গাছের কাটা অংশ মাটিতে রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, গত কয়েক দিন ধরে গাছ কাঠা হচ্ছে।
জানতে চাইলে সিকৃবির নিরাপত্তা কর্মকর্তা আশফাক উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে গিয়ে ছোট-বড় ৫০-৬০ বনজ গাছ কেটে ফেলেছে শ্রমিকেরা। এগুলো বিক্রির প্রশ্নই আসে না। নিলাম কমিটি ছাড়া কোনো কিছুই কেউই বিক্রি করতে পারবে না। বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট তিনটি কমিটির মতামতের ভিত্তিতে কাটা হয়েছে।’
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘২০২৩ সাল পর্যন্ত সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাছ কাটা সংক্রান্ত কোনো আবেদন নাই। লাগানো আর প্রাকৃতিক যা হোক অনুমতি ছাড়া তো কাটার নিয়ম নাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে গিয়ে কিছু গাছ কেটে ফেলেছে। সংখ্যায় ৫৫ টির মতো হবে। এগুলো কাঠ গাছ নয়। এখানে বনজ-ফলজ গাছ লাগানো হবে। বন বিভাগের অনুমিত প্রশ্নই আসেনি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কমিটির মতামত নিয়ে করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝোপঝাড় পরিষ্কার আর গাছ কাটা তো এক জিনিস না। কারা, কেন, কার অনুমতি নিয়ে কেটেছে আমি জানি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে মন্ত্রণালয়ে এসেছি। ক্যাম্পাসে গিয়ে প্রক্টর, উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।’
ঝোপঝাড় পরিষ্কারের নামে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) উপাচার্য বাংলো এলাকার প্রায় ৭৯টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সে ক্ষেত্রে নেওয়া হয়নি বন বিভাগের অনুমতিও। গত কয়েক দিন ধরে কৌশলে গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে গিয়ে ছোট-বড় কিছু গাছ ভুল বোঝাবুঝিতে কাটা হয়ে গেছে। এগুলো লাগানো কাঠ গাছ নয়, প্রাকৃতিকভাবে গজানো। এখানে সৌন্দর্য বর্ধন ও পরিবেশ রক্ষায় বনজ-ফলজ গাছ লাগানো হবে। এ সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে গাছ কাটা হয়েছে।
একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানান, বন বিভাগের অনুমিত ছাড়াই আকাশমণিসহ বিভিন্ন জাতের ৭৯টি গাছ কাটা হয়েছে। ভিসি স্যার ছুটিতে থাকায় কৌশলে এ কাজটি করা হয়েছে। টিলায় লাগানো গাছগুলো বন বিভাগের। তারা বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে লাগিয়েছিল। গাছ কাটার কাজটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আশফাক উদ্দিন ও নিরাপত্তাকর্মী কবির করেছেন।
তারা ক্যাম্পাস থেকে পুরোনো লোহার বিদ্যুতের ৩০টি পাইপের মধ্যে ১১ ইতিমধ্যে বিক্রিও করে দিয়েছেন। টিলা এলাকার গাছগুলো কেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করা দেওয়া হয়েছে। মূলত ভিসি স্যারের পেছনে লাগা কিছু লোক এটি করিয়েছে; যাতে করে স্যারকে বিতর্কিত করা যায়।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়-সিকৃবি নতুন অডিটোরিয়ামের পেছনে একটি উঁচু স্থানে শতাধিক গাছের মধ্যে ৭০ টির বেশি গাছ কাটা অবস্থায় রয়েছে। আরও কয়েকটি গাছের কাটা অংশ মাটিতে রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, গত কয়েক দিন ধরে গাছ কাঠা হচ্ছে।
জানতে চাইলে সিকৃবির নিরাপত্তা কর্মকর্তা আশফাক উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে গিয়ে ছোট-বড় ৫০-৬০ বনজ গাছ কেটে ফেলেছে শ্রমিকেরা। এগুলো বিক্রির প্রশ্নই আসে না। নিলাম কমিটি ছাড়া কোনো কিছুই কেউই বিক্রি করতে পারবে না। বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট তিনটি কমিটির মতামতের ভিত্তিতে কাটা হয়েছে।’
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘২০২৩ সাল পর্যন্ত সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাছ কাটা সংক্রান্ত কোনো আবেদন নাই। লাগানো আর প্রাকৃতিক যা হোক অনুমতি ছাড়া তো কাটার নিয়ম নাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে গিয়ে কিছু গাছ কেটে ফেলেছে। সংখ্যায় ৫৫ টির মতো হবে। এগুলো কাঠ গাছ নয়। এখানে বনজ-ফলজ গাছ লাগানো হবে। বন বিভাগের অনুমিত প্রশ্নই আসেনি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কমিটির মতামত নিয়ে করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝোপঝাড় পরিষ্কার আর গাছ কাটা তো এক জিনিস না। কারা, কেন, কার অনুমতি নিয়ে কেটেছে আমি জানি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে মন্ত্রণালয়ে এসেছি। ক্যাম্পাসে গিয়ে প্রক্টর, উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।’
‘আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল? আমার ছেলেসহ বহু ছাত্রকে ওরা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছিল। আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার কি হবে না? হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখলে মরেও শান্তি পাব।’ আজ সোমবার কথাগুলো বলছিলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই নিহত জিহাদের (২৫) বাবা নুরুল আমিন মোল্লা।
৯ ঘণ্টা আগেরাজশাহীর বাঘায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড বাণিজ্যের অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (৩০ মার্চ) বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হামলায় পাঁচটি মোটরসাইকেল ও একটি ভ্যান ভাঙচুর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
৯ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক যুবকের লাশ দেখে অসুস্থ হয়ে প্রতিবেশী এক নারী মারা গেছেন। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের হিন্দু পানিসাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া নারীর নাম স্বপ্না রানী সরকার (৪০)। তিনি ওই গ্রামের কৃষক সঞ্জিত সরকারের স্ত্রী। তাঁর অনামিকা সরকা
৯ ঘণ্টা আগেপুরো রমজান মাসে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ছিল প্রায় সুনসান নীরবতা। হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্টগুলো কক্ষভাড়ায় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েও অতিথি পায়নি। বন্ধ ছিল পর্যটকনির্ভর রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য ব্যবসা। সেই নীরবতা ভেঙেছে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে। আজ সোমবার দুপুর থেকে স্থানীয় পর্যটকেরা সৈকতমুখী হয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে