ছুটি ছাড়াই দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ, শিক্ষককে শোকজ

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২২, ১৩: ০৮

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবিতা রাণী সরকার ছুটি ছাড়া দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি ওই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে পাঠদানে অংশগ্রহণ করেননি। ফলে তাঁকে বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী চেনেনা। তবুও ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। 

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের কবিতা রাণী সরকার ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সে বছরের ১ থেকে ১৪ এপ্রিল, ১৫ থেকে ৩০ জুন, ১ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর অসুস্থতাজনিত ছুটি নেন এবং ১১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর বিনা-অনুমতিতে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের ১ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত আবার বিনা অনুমতিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ১১ মার্চ পর্যন্ত তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করেন। এ ছুটির পর ১২ মার্চ তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করে ১৩ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এক মাসের জন্য অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদন করেন। এ ছুটি শেষ হতে না হতেই ১৪ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দুই মাসের জন্য অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করেন ওই শিক্ষক। 

বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক লিটন সরকার বলেন, ‘কবিতা ম্যাডাম যদি বিদ্যালয়ে না আসেন তাহলে একজন অভিভাবক হিসেবে আমি তাঁর অপসারণ চাই। আমরা চাই তিনি এখান থেকে চলে যাক এবং শিক্ষা ব্যবস্থাটা ভালো রাখুক।’ 

অভিযোগের বিষয়ে সহকারী শিক্ষক কবিতা রাণী সরকার বলেন, ‘আমি মাতৃত্বকালীন ছুটির পর এক মাসের ছুটি নিয়েছি। এরপর দুই মাসের ছুটির জন্য আবেদনপত্র বিদ্যালয় ও অফিসে পাঠিয়েছি। আমাকে শোকজ করা হয়েছে আমি শোকজের জবাব পাঠাব।’ বর্তমানে তিনি স্বামীর সঙ্গে ময়মনসিংহ শহরে অবস্থান করছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিষ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’ 

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত দেবনাথ বলেন, ‘একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসবে না অথচ বেতন নেবে এটার পক্ষে আমি না। ওই শিক্ষকের ব্যাপারে কমিটির সবাইকে নিয়ে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, ‘ইতিমধ্যে ওই শিক্ষককে দুইবার শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত