সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সুরমা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে সুরমার পানি কমলেও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সুরমার পানি মেঘনা অববাহিকায় গিয়ে পড়ছে। ফলে যেদিকে সুরমা নদীর পানি গড়িয়ে যাচ্ছে, সেসব এলাকা (দিরাই, শান্তিগঞ্জ, ধর্মপাশা, ছাতক) প্লাবিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে। এই সময়ে নদ-নদীর পানি আরও কমবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্টে গতকালের তুলনায় পানি কিছুটা কমেছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে নদীর পানি কমে যাওয়ায় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার এবং ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৫০ মিলিমিটার ও ছাতকে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাউবো।
ঢলের পানিতে জেলার সব কটি উপজেলার গ্রামীণ সড়ক ডুবে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ কারণে গ্রামীণ ছোট ছোট সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। তাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক সাত দিন ধরে নিমজ্জিত থাকায় যান চলাচল করতে পারছে না। তাতে ভোগান্তিতে তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। জেলার ছোট গ্রামীণ সড়কগুলো ডুবে থাকায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না শ্রমজীবীরা।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল মালেক বলেন, ‘তিন দিন ধরে সড়কে কোমরসমান পানি। কোনো কাজকামে যাইতে পারতাছি না। বাচ্চাকাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে পড়েছি।’
একই উপজেলার গুয়ারচুরা গ্রামের মনাই মিয়া বলেন, ‘ঘরে পানি না উঠলেও সড়কে পানি ওঠায় আমরা বেশি কষ্টে পইড়া গেছি। আমরা দিনমজুর মানুষ, ঘর থাইকা না বাইর হইতে পারলে খাইমু কী?’
ছয় দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের সব কটি নদী ও হাওর টইটম্বুর হয়ে আছে। গত পাঁচ দিনের পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, শান্তিগঞ্জ ও মধ্যনগরের নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ছাতক পৌর এলাকা, ইসলামপুর ও নোয়ারাই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।
সুনামগঞ্জ শহরের কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা এবং শহরতলির কোরবাননগর ও মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পানি যতটা না এসেছে, তার চেয়ে বেশি আতঙ্কে ভুগছেন মানুষ। সবার মধ্যে গত বছরের বন্যার ভয়াবহতা কাজ করছে। সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে গৃহপালিত প্রাণিসহ ৬০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সুলতানপুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আমির হামজা বলেন, ‘গত বন্যায় যে ঘর ভাঙছে, সেই ঘরই এখন পর্যন্ত ঠিক করতে পারছি না। এখন আবার ঘরে পানি আইছে। মহা বিপদে পড়ছি আমরা। ঘরে পানি আসায় আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছি।’
সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা ওজুফা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী-সন্তান নাই। গতবারের বন্যায় আমার ঘরটা একবারে ভাইঙ্গা গেছিলো। কোনোরকম জোড়াতালি দিয়া থাকছি। আবার আইল ঘরো পানি। ওখন আর ঘর ঠিক করতাম পারমু কি না আল্লাহ জানেন।’
এদিকে বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্যাকবলিতদের সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বন্যাপীড়িতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে নির্দেশনা দিয়েছি। তা ছাড়া প্রতি উপজেলায় চাল ও শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সুরমা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে সুরমার পানি কমলেও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সুরমার পানি মেঘনা অববাহিকায় গিয়ে পড়ছে। ফলে যেদিকে সুরমা নদীর পানি গড়িয়ে যাচ্ছে, সেসব এলাকা (দিরাই, শান্তিগঞ্জ, ধর্মপাশা, ছাতক) প্লাবিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে। এই সময়ে নদ-নদীর পানি আরও কমবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্টে গতকালের তুলনায় পানি কিছুটা কমেছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে নদীর পানি কমে যাওয়ায় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার এবং ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৫০ মিলিমিটার ও ছাতকে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাউবো।
ঢলের পানিতে জেলার সব কটি উপজেলার গ্রামীণ সড়ক ডুবে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ কারণে গ্রামীণ ছোট ছোট সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। তাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক সাত দিন ধরে নিমজ্জিত থাকায় যান চলাচল করতে পারছে না। তাতে ভোগান্তিতে তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। জেলার ছোট গ্রামীণ সড়কগুলো ডুবে থাকায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না শ্রমজীবীরা।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল মালেক বলেন, ‘তিন দিন ধরে সড়কে কোমরসমান পানি। কোনো কাজকামে যাইতে পারতাছি না। বাচ্চাকাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে পড়েছি।’
একই উপজেলার গুয়ারচুরা গ্রামের মনাই মিয়া বলেন, ‘ঘরে পানি না উঠলেও সড়কে পানি ওঠায় আমরা বেশি কষ্টে পইড়া গেছি। আমরা দিনমজুর মানুষ, ঘর থাইকা না বাইর হইতে পারলে খাইমু কী?’
ছয় দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের সব কটি নদী ও হাওর টইটম্বুর হয়ে আছে। গত পাঁচ দিনের পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, শান্তিগঞ্জ ও মধ্যনগরের নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ছাতক পৌর এলাকা, ইসলামপুর ও নোয়ারাই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।
সুনামগঞ্জ শহরের কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা এবং শহরতলির কোরবাননগর ও মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পানি যতটা না এসেছে, তার চেয়ে বেশি আতঙ্কে ভুগছেন মানুষ। সবার মধ্যে গত বছরের বন্যার ভয়াবহতা কাজ করছে। সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে গৃহপালিত প্রাণিসহ ৬০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সুলতানপুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আমির হামজা বলেন, ‘গত বন্যায় যে ঘর ভাঙছে, সেই ঘরই এখন পর্যন্ত ঠিক করতে পারছি না। এখন আবার ঘরে পানি আইছে। মহা বিপদে পড়ছি আমরা। ঘরে পানি আসায় আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছি।’
সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা ওজুফা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী-সন্তান নাই। গতবারের বন্যায় আমার ঘরটা একবারে ভাইঙ্গা গেছিলো। কোনোরকম জোড়াতালি দিয়া থাকছি। আবার আইল ঘরো পানি। ওখন আর ঘর ঠিক করতাম পারমু কি না আল্লাহ জানেন।’
এদিকে বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্যাকবলিতদের সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বন্যাপীড়িতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে নির্দেশনা দিয়েছি। তা ছাড়া প্রতি উপজেলায় চাল ও শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিজের স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকেও...
৯ মিনিট আগেসম্প্রতি নগরের বিনোদপুর বাজারের এক ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিরুল মোমেনিনের স্টুডিও থেকে ভাস্কর্য দুটি কিনে এনেছেন। এখন বিনোদপুর বাজারে খোকন নামের ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে পড়ে আছে ভাস্কর্য দুটি। দোকানটির নাম ‘খোকন আয়রন ঘর’। খোকন আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। কেউ না কিনলে ভাস্কর্য দুটি ভেঙে লোহা হিসেবে বিক্রি করব
১৫ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুপুরে আরএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২২ মিনিট আগেঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।
২৫ মিনিট আগে