Ajker Patrika

৫০ শতাংশ গ্রামের মানুষ ঋণ নেয় এনজিও থেকে

  • ৫ শতাংশের কম মানুষ নেয় ব্যাংক থেকে।
  • ২০-৩০ শতাংশ মানুষ মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নেয়।
অনলাইন ডেস্ক
৫০ শতাংশ গ্রামের মানুষ ঋণ নেয় এনজিও থেকে

গ্রামের অর্থনীতিতে এনজিওগুলোর প্রভাব বাড়ছে, কিন্তু ব্যাংক এখনো পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, গ্রামের ৫০ শতাংশ মানুষ এনজিও থেকে ঋণ নেয়, ২০-৩০ শতাংশ মানুষ মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নেয়, আর ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় ৫ শতাংশের কম।

গবেষণায় দেখা গেছে, মহাজনদের সুদের হার ১৪৫ শতাংশ, এনজিওর হার ২৪ থেকে ২৮ শতাংশ, আর ব্যাংকের সুদের হার সবচেয়ে কম। তবে ব্যাংকের সহজলভ্যতা কম থাকায় গ্রামীণ জনগণ এখনো এনজিও ও মহাজনদের ওপর নির্ভরশীল।

গবেষণায় উঠে এসেছে, যখন কোনো নতুন এনজিও একটি গ্রামে কার্যক্রম শুরু করে, তখন মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমে ৩৩ শতাংশ এবং সুদের হার গড়ে হ্রাস পায় ২৫ শতাংশ। এনজিওগুলোর প্রতিযোগিতা গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএস কনফারেন্স রুমে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ‘ক্ষুদ্রঋণ প্রতিযোগিতা এবং মহাজনদের উপস্থিতি: তত্ত্ব ও প্রমাণ’ শীর্ষক গবেষণাটি উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ এশিয়া গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক শ্যামল চৌধুরী। গবেষণাটি দেশের ৪টি জেলার ১৫০ গ্রামের ওপর পরিচালিত হয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিআইডিএসের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. কাজী ইকবাল। বক্তব্য দেন ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদ জহির ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের।

অধ্যাপক শ্যামল চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান (এমএফআই) থাকলেও মহাজনদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। কারণ, গ্রামীণ জনগণের জন্য শহরের মতো ক্রেডিট কার্ড বা অন্যান্য আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার সুযোগ নেই। গ্রামের মানুষ অনেক সময় হঠাৎ আর্থিক সংকটে পড়লে যেমন চিকিৎসার প্রয়োজনে বা কৃষিতে ক্ষতির ফলে মহাজনের কাছ থেকে দ্রুত ঋণ নিতে বাধ্য হয়। ব্যাংকগুলোর ধীরগতির কারণে তারা সেখানে সহজে পৌঁছাতে পারে না।

গবেষণায় বলা হয়, গড়ে প্রতিটি গ্রামে পাঁচ-ছয়টি এনজিও বা ক্ষুদ্রঋণদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নতুন একটি এনজিও প্রবেশ করলে মহাজনের ঋণের চাহিদা কমে যায়, তবে মহাজনদের উপস্থিতি পুরোপুরি বিলীন হবে না।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের সময়সীমা ও শর্তের কারণে অনেক সময় গ্রামীণ ঋণগ্রহীতারা মহাজনদের শরণাপন্ন হয়। ব্যাংক ও এনজিওগুলোর মধ্যে আরও সমন্বয় থাকলে এই সমস্যা অনেকটা কমবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের

পরিবারের সামনে পুলিশ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩ নেতা-কর্মী আটক

গ্রেপ্তার আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মী আটক

তখন অন্য একটা সংগঠন করতাম, এখন বলতে লজ্জা হয়: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশে-ভারত সম্পর্কের অবনতিতে দায়ী মোদি সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা: কংগ্রেস

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত