অনলাইন ডেস্ক
নেপালের দুটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ যুগান্তকারী একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার। ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথোরিটি (এনইএ), ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) স্বাক্ষর করবে।
নেপালের সংবাদমাধ্যম দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
চুক্তির শর্ত অনুসারে, এনইএ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার পাবে। এই বিদ্যুৎ সরবরাহে ভারতের ভূখণ্ড ও সরবরাহ লাইন ব্যবহার করা হবে। এ জন্য চুক্তিতে ভারতীয় পক্ষও এই চুক্তিতে অংশ নিচ্ছে।
মূলত ২৮ জুলাই এই চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে স্বাক্ষরটি স্থগিত করা হয়।
নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চিরঞ্জীবী চটাউত বলেছেন, চুক্তির সব প্রস্তুতি শেষ করতে আগামীকাল মঙ্গল ও বুধবার কাঠমান্ডুতে জ্বালানিসচিব এবং যুগ্ম সচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এনইএ প্রতিবছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির পরিকল্পনা করছে। প্রত্যাশিত রপ্তানি ১ লাখ ৪৪ হাজার মেগাওয়াট-ঘণ্টা। এনইএ এই পাঁচ মাসে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি থেকে ৯ দশমিক ২১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের অনুমান করেছে।
ভারতের মুজাফফরপুরের মিটারিং পয়েন্টসহ ধলকেবর-মুজাফফরপুর ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নেপালের বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হবে। ধলকেবার থেকে মুজাফফরপুর পর্যন্ত ট্রান্সমিশন লাইনে কোনো প্রযুক্তিগত ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ বা মেরামতের খরচ এনইএ বহন করবে।
নেপালের বিদ্যুৎ বেহারামপুর (ভারত) থেকে ভেড়ামারা (বাংলাদেশ) পর্যন্ত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এনইএ ২৫ মেগাওয়াটের ত্রিশূলি প্রকল্প এবং ২২ মেগাওয়াটের চিলিম প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করতে চায়। উভয় বিদ্যুৎকেন্দ্রই ভারত থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে।
বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি (একনেক) ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন দেয়। পরবর্তীকালে বিপিডিবি, নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পাঁচ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কেনার জন্য একটি দরপত্র জারি করে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এনইএর একটি দল বিপিডিবির দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে। নেপাল প্রাথমিকভাবে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ৬ দশমিক ৭০ মার্কিন ডলার প্রস্তাব করেছিল। যা হোক, নেপাল ভারতকে ধার্যকৃত মূল্যের চেয়ে কম দাম না দেওয়ার বিষয়ে জোর দিলে ওই সময় চুক্তিটি হয়নি। সিঙ্গাপুরে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত সার্ক এনার্জি সেক্রেটারি পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৪০ ডলার দাম দিতে সম্মত হয়।
দামের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো হলেও বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট কমিটি অনেক পরে গত ১১ জুন আমদানিমূল্য অনুমোদন করে। জমা দেওয়া দরপত্রের নথি মূল্যায়ন করার পর বিপিডিবি ৭ জুলাই এনইএকে দরপত্র গ্রহণের অভিপ্রায়ের কথা জানায়।
এনইএ দরপত্রের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করেছে এবং অবিলম্বে বিপিডিবি থেকে বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তির খসড়া পেয়েছে। এনইএ তারপর চুক্তির তারিখ নির্ধারণ করে এবং বিপিডিবিকে গত ১০ জুলাই আমন্ত্রণ জানায়।
তবে, বাংলাদেশে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের কারণে চুক্তিটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ও বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহাম্মদ ইউনূস আশ্বস্ত করেন, নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি অব্যাহত থাকবে।
নেপালের দুটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ যুগান্তকারী একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার। ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথোরিটি (এনইএ), ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) স্বাক্ষর করবে।
নেপালের সংবাদমাধ্যম দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
চুক্তির শর্ত অনুসারে, এনইএ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার পাবে। এই বিদ্যুৎ সরবরাহে ভারতের ভূখণ্ড ও সরবরাহ লাইন ব্যবহার করা হবে। এ জন্য চুক্তিতে ভারতীয় পক্ষও এই চুক্তিতে অংশ নিচ্ছে।
মূলত ২৮ জুলাই এই চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে স্বাক্ষরটি স্থগিত করা হয়।
নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চিরঞ্জীবী চটাউত বলেছেন, চুক্তির সব প্রস্তুতি শেষ করতে আগামীকাল মঙ্গল ও বুধবার কাঠমান্ডুতে জ্বালানিসচিব এবং যুগ্ম সচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এনইএ প্রতিবছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির পরিকল্পনা করছে। প্রত্যাশিত রপ্তানি ১ লাখ ৪৪ হাজার মেগাওয়াট-ঘণ্টা। এনইএ এই পাঁচ মাসে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি থেকে ৯ দশমিক ২১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের অনুমান করেছে।
ভারতের মুজাফফরপুরের মিটারিং পয়েন্টসহ ধলকেবর-মুজাফফরপুর ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নেপালের বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হবে। ধলকেবার থেকে মুজাফফরপুর পর্যন্ত ট্রান্সমিশন লাইনে কোনো প্রযুক্তিগত ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ বা মেরামতের খরচ এনইএ বহন করবে।
নেপালের বিদ্যুৎ বেহারামপুর (ভারত) থেকে ভেড়ামারা (বাংলাদেশ) পর্যন্ত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এনইএ ২৫ মেগাওয়াটের ত্রিশূলি প্রকল্প এবং ২২ মেগাওয়াটের চিলিম প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করতে চায়। উভয় বিদ্যুৎকেন্দ্রই ভারত থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে।
বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি (একনেক) ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন দেয়। পরবর্তীকালে বিপিডিবি, নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পাঁচ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কেনার জন্য একটি দরপত্র জারি করে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এনইএর একটি দল বিপিডিবির দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে। নেপাল প্রাথমিকভাবে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ৬ দশমিক ৭০ মার্কিন ডলার প্রস্তাব করেছিল। যা হোক, নেপাল ভারতকে ধার্যকৃত মূল্যের চেয়ে কম দাম না দেওয়ার বিষয়ে জোর দিলে ওই সময় চুক্তিটি হয়নি। সিঙ্গাপুরে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত সার্ক এনার্জি সেক্রেটারি পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৪০ ডলার দাম দিতে সম্মত হয়।
দামের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো হলেও বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট কমিটি অনেক পরে গত ১১ জুন আমদানিমূল্য অনুমোদন করে। জমা দেওয়া দরপত্রের নথি মূল্যায়ন করার পর বিপিডিবি ৭ জুলাই এনইএকে দরপত্র গ্রহণের অভিপ্রায়ের কথা জানায়।
এনইএ দরপত্রের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করেছে এবং অবিলম্বে বিপিডিবি থেকে বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তির খসড়া পেয়েছে। এনইএ তারপর চুক্তির তারিখ নির্ধারণ করে এবং বিপিডিবিকে গত ১০ জুলাই আমন্ত্রণ জানায়।
তবে, বাংলাদেশে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের কারণে চুক্তিটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ও বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহাম্মদ ইউনূস আশ্বস্ত করেন, নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি অব্যাহত থাকবে।
আসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যের ওপর থাকা অগ্রিম করও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তবে খেজুর আমদানির অযৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু...
১ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ফের সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরির নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ ও বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
১ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক তিন কোম্পানির কাছে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড। এ লক্ষ্যে শিগগিরই হবে চুক্তি। চুক্তির আওতায় বছরে ১৬ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি করবে এপেক্স ট্যানারি।
১ ঘণ্টা আগেফলজাত পণ্য রপ্তানির জন্য বিশেষ সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস ও ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিকারকেরা এখন মোট রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন। আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ
২ ঘণ্টা আগে