কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য
অনলাইন ডেস্ক
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে দফায় দফায় নীতি সুদহার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আন্তব্যাংক ঋণ আদান-প্রদানের (কলমানি) সুদহারও। সর্বশেষ গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার কলমানির সুদহার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কলমানিসংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রায় দেড় মাস ধরে কলমানি মার্কেটে সুদের হার ১০ শতাংশের ওপরে অবস্থান করছে। গত ১৩ নভেম্বর এই সুদহার দুই অঙ্কের ঘর তথা ১০ শতাংশের ওপরে ওঠে। এরপর থেকে ১০ শতাংশের নিচে নামার রেকর্ড নেই। এক বছর আগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর কলমানিতে সুদহার ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। ছয় মাস আগে অর্থাৎ ৩০ জুন ছিল ৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারে কলমানি মার্কেটে এক দিনের জন্য ধার নেওয়া টাকার গড় সুদহার উঠেছে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশে। আগের দিন বুধবার ছিল বড়দিনের ছুটি। তার আগের দিন মঙ্গলবার এই সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার চার দিনের ধারের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সাত দিনের ধারের ক্ষেত্রে এই সুদহার ছিল ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। ১০ দিনের ধারের ক্ষেত্রে ছিল ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ আর ১১ দিনের জন্য ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। তবে কলমানিতে বিভিন্ন মেয়াদে ধারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি টাকা লেনদেন হয় এক দিনের ধার হিসেবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বৃহস্পতিবার এক দিনের জন্য কলমানিতে ৪ হাজার ৩২০ কোটি টাকা লেনদেন হয়, যার সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১৫। আর সর্বনিম্ন সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এক দিনের ধারের ক্ষেত্রে কলমানিতে গড় সুদহার প্রথম ১০ শতাংশে উন্নীত হয় গত ১৩ নভেম্বর। ওই দিন এই বাজারে এক দিনের জন্য ৩ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে কিছু ব্যাংক তীব্র তারল্যসংকটে রয়েছে। এসব ব্যাংকের সংকট এতটাই প্রকট যে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। আবার সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যাংক বেশি লাভের আশায় কলমানির বদলে বিল-বন্ডে অর্থ বিনিয়োগ করছে। ফলে কলমানিতে টাকা ধার দেওয়া ব্যাংকের সংখ্যা কমে গেছে। একসময় বিদেশি ব্যাংকগুলো কলমানিতে বেশি অর্থ ধার দিত। বর্তমানে এই বাজারে বিদেশি ব্যাংকের অংশগ্রহণ একেবারেই নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সে জন্য নীতি সুদহার বারবার পরিবর্তন করেছে। এ জন্য আন্তব্যাংক সুদহার বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলে সুদহার কমানো হবে।
গত ২২ অক্টোবর নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হয়। ২০২২ সালের মে মাসের পর থেকে ১১ বারের মতো নীতি সুদহার বাড়ানো হয়। নীতি সুদহার বাড়ানোর মূল উদ্দেশ্য হলো বাজারে অর্থের সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি মনে করে বাজারে অর্থের সরবরাহ বেশি এবং সে কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, তাহলে অর্থপ্রবাহ কমাতে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়।
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে দফায় দফায় নীতি সুদহার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আন্তব্যাংক ঋণ আদান-প্রদানের (কলমানি) সুদহারও। সর্বশেষ গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার কলমানির সুদহার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কলমানিসংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রায় দেড় মাস ধরে কলমানি মার্কেটে সুদের হার ১০ শতাংশের ওপরে অবস্থান করছে। গত ১৩ নভেম্বর এই সুদহার দুই অঙ্কের ঘর তথা ১০ শতাংশের ওপরে ওঠে। এরপর থেকে ১০ শতাংশের নিচে নামার রেকর্ড নেই। এক বছর আগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর কলমানিতে সুদহার ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। ছয় মাস আগে অর্থাৎ ৩০ জুন ছিল ৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারে কলমানি মার্কেটে এক দিনের জন্য ধার নেওয়া টাকার গড় সুদহার উঠেছে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশে। আগের দিন বুধবার ছিল বড়দিনের ছুটি। তার আগের দিন মঙ্গলবার এই সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার চার দিনের ধারের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সাত দিনের ধারের ক্ষেত্রে এই সুদহার ছিল ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। ১০ দিনের ধারের ক্ষেত্রে ছিল ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ আর ১১ দিনের জন্য ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। তবে কলমানিতে বিভিন্ন মেয়াদে ধারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি টাকা লেনদেন হয় এক দিনের ধার হিসেবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বৃহস্পতিবার এক দিনের জন্য কলমানিতে ৪ হাজার ৩২০ কোটি টাকা লেনদেন হয়, যার সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১৫। আর সর্বনিম্ন সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এক দিনের ধারের ক্ষেত্রে কলমানিতে গড় সুদহার প্রথম ১০ শতাংশে উন্নীত হয় গত ১৩ নভেম্বর। ওই দিন এই বাজারে এক দিনের জন্য ৩ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে কিছু ব্যাংক তীব্র তারল্যসংকটে রয়েছে। এসব ব্যাংকের সংকট এতটাই প্রকট যে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। আবার সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যাংক বেশি লাভের আশায় কলমানির বদলে বিল-বন্ডে অর্থ বিনিয়োগ করছে। ফলে কলমানিতে টাকা ধার দেওয়া ব্যাংকের সংখ্যা কমে গেছে। একসময় বিদেশি ব্যাংকগুলো কলমানিতে বেশি অর্থ ধার দিত। বর্তমানে এই বাজারে বিদেশি ব্যাংকের অংশগ্রহণ একেবারেই নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সে জন্য নীতি সুদহার বারবার পরিবর্তন করেছে। এ জন্য আন্তব্যাংক সুদহার বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলে সুদহার কমানো হবে।
গত ২২ অক্টোবর নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হয়। ২০২২ সালের মে মাসের পর থেকে ১১ বারের মতো নীতি সুদহার বাড়ানো হয়। নীতি সুদহার বাড়ানোর মূল উদ্দেশ্য হলো বাজারে অর্থের সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি মনে করে বাজারে অর্থের সরবরাহ বেশি এবং সে কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, তাহলে অর্থপ্রবাহ কমাতে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়।
সোনার দামের এই ঊর্ধ্বগতি দেখে বিভিন্ন ব্যাংক তাদের পূর্বাভাস পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে। ওসিবিসি ব্যাংকের বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় নিরাপদ বিনিয়োগ এবং মূল্যস্ফীতি থেকে সুরক্ষার জন্য সোনার চাহিদা আরও বাড়বে। তাঁরা মনে করেন, বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য নিয়ে
১ দিন আগেচীনের আবাসন খাতে বিনিয়োগ করা বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিপাকে পড়েছেন। ২০২১ সাল থেকে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বন্ডের সুদ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে চীনের আবাসন কোম্পানিগুলো। দীর্ঘ আলোচনার পরও বিনিয়োগকারীরা এখন পর্যন্ত মাত্র ০.৬% অর্থ ফেরত পেয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাজারে আস্থার সংকট
২ দিন আগেঈদ বাণিজ্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য যেমন একটি অপরিহার্য অংশ, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ঈদের আগের বাজারে বাণিজ্য যেমন তুঙ্গে পৌঁছায়, তেমনি এটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্রও তুলে ধরে। যদিও দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র এবং স্বল্প আয়ের মধ্যে তারা জীবন যাপন করে...
৩ দিন আগেবাজারে নতুন টাকার সরবরাহ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক জটিল পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসংবলিত নতুন নোট ঈদের আগে ছাড়া হয়নি এবং ঈদের পরও তা বাজারে আসবে না।
৩ দিন আগে