
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর মন্টেরের একটি আর্মচেয়ার ও লেদার সোফা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মান ওয়াহ। প্রতিষ্ঠানের নাম চীনা হলেও পণ্যের ট্যাগে ঠিকই লেখা হচ্ছে ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এই আর্মচেয়ার ও সোফাগুলো খুব শিগগিরই সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় চেইনশপ কস্টকো, ওয়ালমার্টের মতো কোম্পানির গুদাম–শোরুমে ঢুকে পড়বে।
মেক্সিকোতে চীনের এমন হাজারো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেগুলোর অর্থ লগ্নিকারী চীনা ব্যবসায়ীরা। মূলত চীনের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা এড়াতেই চীনা ব্যবসায়ীদের এমন কৌশল। বিনিয়োগস্থল মেক্সিকো হলেও মূলধন মুনাফাসমেত ঠিকই ফিরে আসছে চীনে।
যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যকার এই যে ত্রিমুখী বাণিজ্যিক–উৎপাদন সম্পর্ক, এটিকে বলা হয় ‘নিয়ারশোরিং’। মূলত যে দেশের বাজারে পণ্য রপ্তানি করা হবে সেই দেশের কাছাকাছি কোনো একটি দেশে উৎপাদন ব্যবস্থা স্থানান্তরকেই নিয়ারশোরিং বলে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনারা এমন হাজারো কোম্পানি মেক্সিকোয় সম্প্রসারিত করেছে। এর ফলে, একই সঙ্গে যেমন পরিবহন খরচ কমেছে, তেমনি ‘মেড ইন মেক্সিকো’ হওয়ায় শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়তে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে মান ওয়াহ-এর মহাব্যবস্থাপক উ কেন ওয়েই জানান, চীন থেকে ব্যবসা মেক্সিকোতে স্থানান্তরের বিষয়টি অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক সব বিবেচনায়ই ইতিবাচক। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে (চীনের তুলনায়) অন্তত তিন থেকে চার গুণ বেশি উৎপাদন করতে পারি।’ মজার ব্যাপার হলো, তিনি পুরো আলাপ করেছেন স্প্যানিশে, একেবারে প্রায় স্থানীয়দের মতো উচ্চারণে।
মান ওয়াহ মেক্সিকোর মন্টেরিতে কার্যক্রম শুরু করে ২০২২ সালে। কিন্তু এরই মধ্যে দেশটিতে প্রায় ৪৫০ জনের কর্মসংস্থান করেছে কোম্পানিটি। উ কেন ওয়েই জানান, কয়েক বছরের মধ্যে তাঁদের লক্ষ্য হলো কর্মীসংখ্যা ১ হাজার ২০০-তে উন্নীত করা এবং আরও কয়েকটি কারখানা চালু করা।
মেক্সিকোয় চীনা বাণিজ্যের বেশি সুবিধাও রয়েছে। বিষয়টি উঠে এসেছে মান ওয়াহের মহাব্যবস্থাপকের কথায়। তিনি বলেন, ‘মেক্সিকোর মানুষেরা বেশ পরিশ্রমী এবং তাঁরা দ্রুত সবকিছু শিখে নেন। আমরা খুব ভালো অপারেটর পেয়েছি এবং তাঁদের উৎপাদন দক্ষতাও খুবই উঁচুমানের। তাই আমি মনে করি, শ্রমের দিকটা বিবেচনায় কৌশলগতভাবে মেক্সিকোকে বাছাই করাটা ভালো।’
এই নিয়ারশোরিং যে কেবল চীনকেই সুবিধা দিচ্ছে তা কিন্তু নয়। গত বছরের জুন পর্যন্ত এর আগের বছরের তুলনায় দেশটির রপ্তানি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫ হাজার ২৯০ কোটি ডলারে। এই প্রবৃদ্ধি শিগগির থেমে যাবে এমন কোনো আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে না। গত বছরের শেষ দুই মাসেই যে পরিমাণ বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে তা ২০২০ সালে সারা বছরের মোট বিনিয়োগের অর্ধেক।
মান ওয়াহ সোফা ফ্যাক্টরিটি মেক্সিকোর হফুসান নামে একটি চীন-মেক্সিকো শিল্প এলাকায় অবস্থিত। কোম্পানিটি অনেক দিন ধরেই নিজস্ব জায়গার জন্য আবেদন করছে। এমনকি উচ্চমূল্য দিয়ে হলেও নিতে রাজি। কিন্তু এলাকাটির সব প্লটই বিক্রি হয়ে গেছে। মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক অ্যাসোসিয়েশন জানাচ্ছে, ২০২৭ সালের মধ্যে যেসব ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপিত হবে, সেগুলোর প্লটও বিক্রি হয়ে গেছে।
মেক্সিকোর সাবেক বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী হুয়ান কার্লোস বেকার পিনেদা বলেন, ‘মেক্সিকোয় যারা (চীনা ব্যবসায়ীরা) মূলধন আনেন বা বিনিয়োগ করেন তার কাঠামোগত মূল কারণ হলো—এখানে এই দেশে থেকে যাওয়া। আমি এমন কোনো লক্ষণ দেখছি না যে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে তা শিগগির থেমে যাবে।’
পিনেদা এ সময় যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে আরও বলেন, ‘তবে মেক্সিকোয় চীনা মূলধনের প্রবেশ হয়তো কিছু দেশের নীতিমালার জন্য অস্বস্তিকর। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়ম অনুসারে সেই অর্থ দিয়ে নির্মিত সব পণ্যই যেকোনো বিবেচনায় মেক্সিকান।’
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এই নিয়মই চীনকে মেক্সিকোয় পা রাখার সুযোগ দিয়েছে। একই সঙ্গে চীনকে হটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মেক্সিকো। যদিও বিষয়টি একপ্রকার প্রতীকী অগ্রগতি, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।
মেক্সিকোর এই বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়টি হতে পেরেছে ‘নিয়ারশোরিং’-এর কারণে। চীন তো আছেই, খোদ মার্কিন কোম্পানিগুলোও মেক্সিকোতে বিনিয়োগ করছে বিপুল পরিমাণে। বিশেষ করে যেসব মার্কিন কোম্পানি এশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে, তারা নতুন উৎপাদন হাব হিসেবে বেছে নিয়েছে মেক্সিকোকে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কও তাঁর ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারেন মেক্সিকোতে। তাঁর বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার ‘গিগাফ্যাক্টরি’ স্থাপন করা হতে পারে মন্টেরির উপকণ্ঠে। এ বছরই সেই ঘোষণা দিতে পারেন মাস্ক। তবে ১ হাজার কোটি ডলারের সেই প্রকল্পটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনীতির বর্তমান গতিপথ বিবেচনায় টেসলার এই উদ্যোগ কিছুদিন পিছিয়ে যেতে পারে।
মেক্সিকোতে চীনা বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার ভূরাজনৈতিক যে টানাপোড়েন সেটিকেও উসকে দিতে পারে। এ বিষয়ে মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর চায়না-মেক্সিকো স্টাডিজের এনরিক ডুসেল বলেন, ‘এলাকার খানদানি ধনকুবের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) শহরের নব্য ধনীর (চীন) সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছে। বিপরীতে মেক্সিকোর বর্তমান সরকারের এই সমস্যা নিরসনে এখন পর্যন্ত কোনো কৌশল নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে জো বাইডেন বা ডোনাল্ড ট্রাম্প যে-ই প্রেসিডেন্ট হয়ে আসেন না কেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে খুব একটা উন্নতি হবে বলে মনে হয় না। তবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে কড়াকড়ি আসতে পারে। এনরিক ডুসেল মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-চীন ত্রিমুখী সম্পর্ককে ‘নিয়ারশোরিং’ না বলে বরং ‘সিকিউরিটি শোরিং’ বলা ভালো। কারণ, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন সবার আগে তার জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিই বিবেচনা করবে। ফলে, এই দুই পরাশক্তির দ্বন্দ্বে মেক্সিকো মাঝপথে ধরা খেয়ে যাবে কি না সে বিষয়ে দেশটিকে সতর্ক থাকতে হবে।
এনরিক ডুসেল বলেন, এই টানাপোড়েনের মধ্যেই মেক্সিকো চীনকে স্বাগত জানাতে ‘মেক্সিকোয় স্বাগত’ বোর্ড টাঙিয়ে রেখেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্ক বিবেচনায় মধ্যবর্তী মেয়াদে এই বিষয়টি যে ভালো হবে না সেটি উপলব্ধি করার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার দরকার নেই!
তবে সবাই ডুসেলের মতো হতাশাবাদী নন। অনেকেই চীনের সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে বেশ ইতিবাচক। হুয়ান কার্লোস বেকার পিনেদার মতে, ‘আমার প্রশ্ন হলো, এই প্রবণতা (মেক্সিকোয় চীনা বিনিয়োগের ধারা) চলবে কি না এবং এই প্রবণতার কতটা সুবিধা আমরা নিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, কলম্বিয়া, ভিয়েতনাম ও কোস্টারিকাতেও মানুষ একই ধরনের (চীনা বিনিয়োগ নিয়ে) আলোচনা করছে। সুতরাং, যে শর্তগুলো (বিনিয়োগকারীদের) বিভিন্ন পক্ষ থেকে এসেছে, সেগুলোর সাপেক্ষে করপোরেট ও সরকারি সিদ্ধান্তগুলোকে সমন্বিত করে দীর্ঘমেয়াদে সেই প্রবণতা বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে মেক্সিকোকে।’
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর মন্টেরের একটি আর্মচেয়ার ও লেদার সোফা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মান ওয়াহ। প্রতিষ্ঠানের নাম চীনা হলেও পণ্যের ট্যাগে ঠিকই লেখা হচ্ছে ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এই আর্মচেয়ার ও সোফাগুলো খুব শিগগিরই সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় চেইনশপ কস্টকো, ওয়ালমার্টের মতো কোম্পানির গুদাম–শোরুমে ঢুকে পড়বে।
মেক্সিকোতে চীনের এমন হাজারো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেগুলোর অর্থ লগ্নিকারী চীনা ব্যবসায়ীরা। মূলত চীনের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা এড়াতেই চীনা ব্যবসায়ীদের এমন কৌশল। বিনিয়োগস্থল মেক্সিকো হলেও মূলধন মুনাফাসমেত ঠিকই ফিরে আসছে চীনে।
যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যকার এই যে ত্রিমুখী বাণিজ্যিক–উৎপাদন সম্পর্ক, এটিকে বলা হয় ‘নিয়ারশোরিং’। মূলত যে দেশের বাজারে পণ্য রপ্তানি করা হবে সেই দেশের কাছাকাছি কোনো একটি দেশে উৎপাদন ব্যবস্থা স্থানান্তরকেই নিয়ারশোরিং বলে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনারা এমন হাজারো কোম্পানি মেক্সিকোয় সম্প্রসারিত করেছে। এর ফলে, একই সঙ্গে যেমন পরিবহন খরচ কমেছে, তেমনি ‘মেড ইন মেক্সিকো’ হওয়ায় শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়তে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে মান ওয়াহ-এর মহাব্যবস্থাপক উ কেন ওয়েই জানান, চীন থেকে ব্যবসা মেক্সিকোতে স্থানান্তরের বিষয়টি অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক সব বিবেচনায়ই ইতিবাচক। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে (চীনের তুলনায়) অন্তত তিন থেকে চার গুণ বেশি উৎপাদন করতে পারি।’ মজার ব্যাপার হলো, তিনি পুরো আলাপ করেছেন স্প্যানিশে, একেবারে প্রায় স্থানীয়দের মতো উচ্চারণে।
মান ওয়াহ মেক্সিকোর মন্টেরিতে কার্যক্রম শুরু করে ২০২২ সালে। কিন্তু এরই মধ্যে দেশটিতে প্রায় ৪৫০ জনের কর্মসংস্থান করেছে কোম্পানিটি। উ কেন ওয়েই জানান, কয়েক বছরের মধ্যে তাঁদের লক্ষ্য হলো কর্মীসংখ্যা ১ হাজার ২০০-তে উন্নীত করা এবং আরও কয়েকটি কারখানা চালু করা।
মেক্সিকোয় চীনা বাণিজ্যের বেশি সুবিধাও রয়েছে। বিষয়টি উঠে এসেছে মান ওয়াহের মহাব্যবস্থাপকের কথায়। তিনি বলেন, ‘মেক্সিকোর মানুষেরা বেশ পরিশ্রমী এবং তাঁরা দ্রুত সবকিছু শিখে নেন। আমরা খুব ভালো অপারেটর পেয়েছি এবং তাঁদের উৎপাদন দক্ষতাও খুবই উঁচুমানের। তাই আমি মনে করি, শ্রমের দিকটা বিবেচনায় কৌশলগতভাবে মেক্সিকোকে বাছাই করাটা ভালো।’
এই নিয়ারশোরিং যে কেবল চীনকেই সুবিধা দিচ্ছে তা কিন্তু নয়। গত বছরের জুন পর্যন্ত এর আগের বছরের তুলনায় দেশটির রপ্তানি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫ হাজার ২৯০ কোটি ডলারে। এই প্রবৃদ্ধি শিগগির থেমে যাবে এমন কোনো আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে না। গত বছরের শেষ দুই মাসেই যে পরিমাণ বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে তা ২০২০ সালে সারা বছরের মোট বিনিয়োগের অর্ধেক।
মান ওয়াহ সোফা ফ্যাক্টরিটি মেক্সিকোর হফুসান নামে একটি চীন-মেক্সিকো শিল্প এলাকায় অবস্থিত। কোম্পানিটি অনেক দিন ধরেই নিজস্ব জায়গার জন্য আবেদন করছে। এমনকি উচ্চমূল্য দিয়ে হলেও নিতে রাজি। কিন্তু এলাকাটির সব প্লটই বিক্রি হয়ে গেছে। মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক অ্যাসোসিয়েশন জানাচ্ছে, ২০২৭ সালের মধ্যে যেসব ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপিত হবে, সেগুলোর প্লটও বিক্রি হয়ে গেছে।
মেক্সিকোর সাবেক বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী হুয়ান কার্লোস বেকার পিনেদা বলেন, ‘মেক্সিকোয় যারা (চীনা ব্যবসায়ীরা) মূলধন আনেন বা বিনিয়োগ করেন তার কাঠামোগত মূল কারণ হলো—এখানে এই দেশে থেকে যাওয়া। আমি এমন কোনো লক্ষণ দেখছি না যে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে তা শিগগির থেমে যাবে।’
পিনেদা এ সময় যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে আরও বলেন, ‘তবে মেক্সিকোয় চীনা মূলধনের প্রবেশ হয়তো কিছু দেশের নীতিমালার জন্য অস্বস্তিকর। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়ম অনুসারে সেই অর্থ দিয়ে নির্মিত সব পণ্যই যেকোনো বিবেচনায় মেক্সিকান।’
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এই নিয়মই চীনকে মেক্সিকোয় পা রাখার সুযোগ দিয়েছে। একই সঙ্গে চীনকে হটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মেক্সিকো। যদিও বিষয়টি একপ্রকার প্রতীকী অগ্রগতি, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।
মেক্সিকোর এই বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়টি হতে পেরেছে ‘নিয়ারশোরিং’-এর কারণে। চীন তো আছেই, খোদ মার্কিন কোম্পানিগুলোও মেক্সিকোতে বিনিয়োগ করছে বিপুল পরিমাণে। বিশেষ করে যেসব মার্কিন কোম্পানি এশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে, তারা নতুন উৎপাদন হাব হিসেবে বেছে নিয়েছে মেক্সিকোকে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কও তাঁর ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারেন মেক্সিকোতে। তাঁর বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার ‘গিগাফ্যাক্টরি’ স্থাপন করা হতে পারে মন্টেরির উপকণ্ঠে। এ বছরই সেই ঘোষণা দিতে পারেন মাস্ক। তবে ১ হাজার কোটি ডলারের সেই প্রকল্পটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনীতির বর্তমান গতিপথ বিবেচনায় টেসলার এই উদ্যোগ কিছুদিন পিছিয়ে যেতে পারে।
মেক্সিকোতে চীনা বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার ভূরাজনৈতিক যে টানাপোড়েন সেটিকেও উসকে দিতে পারে। এ বিষয়ে মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর চায়না-মেক্সিকো স্টাডিজের এনরিক ডুসেল বলেন, ‘এলাকার খানদানি ধনকুবের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) শহরের নব্য ধনীর (চীন) সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছে। বিপরীতে মেক্সিকোর বর্তমান সরকারের এই সমস্যা নিরসনে এখন পর্যন্ত কোনো কৌশল নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে জো বাইডেন বা ডোনাল্ড ট্রাম্প যে-ই প্রেসিডেন্ট হয়ে আসেন না কেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে খুব একটা উন্নতি হবে বলে মনে হয় না। তবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে কড়াকড়ি আসতে পারে। এনরিক ডুসেল মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-চীন ত্রিমুখী সম্পর্ককে ‘নিয়ারশোরিং’ না বলে বরং ‘সিকিউরিটি শোরিং’ বলা ভালো। কারণ, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন সবার আগে তার জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিই বিবেচনা করবে। ফলে, এই দুই পরাশক্তির দ্বন্দ্বে মেক্সিকো মাঝপথে ধরা খেয়ে যাবে কি না সে বিষয়ে দেশটিকে সতর্ক থাকতে হবে।
এনরিক ডুসেল বলেন, এই টানাপোড়েনের মধ্যেই মেক্সিকো চীনকে স্বাগত জানাতে ‘মেক্সিকোয় স্বাগত’ বোর্ড টাঙিয়ে রেখেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্ক বিবেচনায় মধ্যবর্তী মেয়াদে এই বিষয়টি যে ভালো হবে না সেটি উপলব্ধি করার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার দরকার নেই!
তবে সবাই ডুসেলের মতো হতাশাবাদী নন। অনেকেই চীনের সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে বেশ ইতিবাচক। হুয়ান কার্লোস বেকার পিনেদার মতে, ‘আমার প্রশ্ন হলো, এই প্রবণতা (মেক্সিকোয় চীনা বিনিয়োগের ধারা) চলবে কি না এবং এই প্রবণতার কতটা সুবিধা আমরা নিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, কলম্বিয়া, ভিয়েতনাম ও কোস্টারিকাতেও মানুষ একই ধরনের (চীনা বিনিয়োগ নিয়ে) আলোচনা করছে। সুতরাং, যে শর্তগুলো (বিনিয়োগকারীদের) বিভিন্ন পক্ষ থেকে এসেছে, সেগুলোর সাপেক্ষে করপোরেট ও সরকারি সিদ্ধান্তগুলোকে সমন্বিত করে দীর্ঘমেয়াদে সেই প্রবণতা বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে মেক্সিকোকে।’
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর মন্টেরের একটি আর্মচেয়ার ও লেদার সোফা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মান ওয়াহ। প্রতিষ্ঠানের নাম চীনা হলেও পণ্যের ট্যাগে ঠিকই লেখা হচ্ছে ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এই আর্মচেয়ার ও সোফাগুলো খুব শিগগিরই সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় চেইনশপ কস্টকো, ওয়ালমার্টের মতো কোম্প
২৩ এপ্রিল ২০২৪
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর মন্টেরের একটি আর্মচেয়ার ও লেদার সোফা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মান ওয়াহ। প্রতিষ্ঠানের নাম চীনা হলেও পণ্যের ট্যাগে ঠিকই লেখা হচ্ছে ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এই আর্মচেয়ার ও সোফাগুলো খুব শিগগিরই সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় চেইনশপ কস্টকো, ওয়ালমার্টের মতো কোম্প
২৩ এপ্রিল ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর মন্টেরের একটি আর্মচেয়ার ও লেদার সোফা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মান ওয়াহ। প্রতিষ্ঠানের নাম চীনা হলেও পণ্যের ট্যাগে ঠিকই লেখা হচ্ছে ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এই আর্মচেয়ার ও সোফাগুলো খুব শিগগিরই সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় চেইনশপ কস্টকো, ওয়ালমার্টের মতো কোম্প
২৩ এপ্রিল ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর মন্টেরের একটি আর্মচেয়ার ও লেদার সোফা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মান ওয়াহ। প্রতিষ্ঠানের নাম চীনা হলেও পণ্যের ট্যাগে ঠিকই লেখা হচ্ছে ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এই আর্মচেয়ার ও সোফাগুলো খুব শিগগিরই সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় চেইনশপ কস্টকো, ওয়ালমার্টের মতো কোম্প
২৩ এপ্রিল ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে