রেজাউর রহিম, ঢাকা

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের বড় অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। কোভিড মহামারির মধ্যেও অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত বাদে সবার ওপরে থাকা নিঃসন্দেহে ‘ঐতিহাসিক অর্জন’।
তবে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে জিডিপি যথেষ্ট অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্য নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত যে দেশটিকে আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা ও দেশ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে তাচ্ছিল্য করেছিল। সেই দেশ যখন নানা আন্তর্জাতিক ফোরাম থেকে উন্নয়নের প্রশংসা কুড়াচ্ছে, গত ৫০ বছরে সেটি কম অর্জন নয়। মাথাপিছু গড় আয় ও আয়ু, নবজাতক ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, প্রাথমিকে শতভাগ ভর্তি, সামাজিক সুরক্ষা সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
কৃষিতে দারুণ অগ্রগতি, শিল্প খাতের অবদানে ধারাবাহিক বৃদ্ধি, করোনার দুঃসময়েও রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখাকে বাংলাদেশের বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভেও রেকর্ড হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে এখন ২ হাজার ৫৫৪ ডলার।
এ ছাড়া বিশাল জনগোষ্ঠীকে নানাভাবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতাও উল্লেখ করার মতো। ব্যাংকিং সেবার পরিধি শহরাঞ্চল ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকাতেও বিস্তৃত হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা চলে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায়।
যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৫ তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরে বাংলাদেশ কৃষি, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বড় ধরনের সফলতা অর্জন করেছে। মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির মাইলফলক।
তবে দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে উল্লেখ করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।’
ড. খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘যে বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল, বাংলাদেশের ৫০ বছর পর এসে সেসব বৈষম্য আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। সামনের দিনগুলোতে এ বৈষম্য দূর করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।’
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিপর্যয়সহ দিন দিন বেড়ে চলা আর্থসামাজিক বৈষম্য দূর করাও বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
এ রাজনীতিক বলেন, বেকারত্ব দূর করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রযুক্তির বিকাশকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উৎসে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের মৌলিক চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করাও ভবিষ্যতের আরেক চ্যালেঞ্জ।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠতে পারিনি মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, ‘এখন বাঙালি-বাঙালির মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনো আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডেভেলপমেন্টের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার সুফল দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। বিভিন্ন খাতে দক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে শিক্ষা কার্যক্রমেও পরিবর্তন আনতে হবে।’
সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যে গতিশীলতার সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে তার সুফল সাধারণ মানুষকে দিতে হলে তা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। পাশাপাশি সামাজিক সমতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি দূর করা জরুরি।’
এদিকে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি), ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) সহ বিদ্যমান বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা সীমিত হয়ে আসতে পারে। রপ্তানি বাণিজ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এর প্রস্তুতির জন্য পাঁচ বছর সময় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রায় ১০০-র অধিক দেশে ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রপ্তানি করছে। তবে অধিকাংশ ওষুধের পেটেন্ট বিদেশিদের। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বিদেশিদের পেটেন্ট করা ওষুধ উৎপাদন করতে হলে বাড়তি অর্থ দিতে হবে। এ জন্য রপ্তানি খাতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এলডিসি স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্টের (এসঅ্যান্ডডিটি) আওতায় বিভিন্ন সুবিধা পায়। এ চুক্তি অনুযায়ী বাণিজ্যবিষয়ক মেধাস্বত্ব অধিকারে (ট্রিপস) এলডিসিগুলো বিশেষ ছাড় পায়। এ কারণে বিদেশি পেটেন্ট পাওয়া পণ্যসামগ্রী, বিশেষ করে ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাওয়া ২০৩২ সালের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর এসব সুবিধা আর বাংলাদেশ পাবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, সামনের দিনগুলোতে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, দক্ষতার উন্নয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সরবরাহ, দক্ষ শ্রমশক্তির জোগান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ আরও বিস্তৃত করতে হবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আন্তযোগাযোগ বৃদ্ধি ও অংশীদারি সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের রপ্তানিকে গতিশীল করার উদ্যোগ নিতে হবে। আর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে, তা মোকাবিলা করতে নতুন নতুন আন্তর্জাতিক ঋণের উৎস খুঁজতে হবে। কারণ এ সময় বাংলাদেশ এখনকার মতো দীর্ঘমেয়াদি স্বল্প সুদে ঋণ পাবে না।
আর প্রস্তুতির সময়টাতে বাংলাদেশের জন্য ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা লাভের সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসারে শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, পরিবেশগত সুরক্ষা, সুশাসনের মতো বিষয়গুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান পাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে বিভিন্ন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু নতুন চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন কঠিন হবে না।’
এদিকে, ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশকে ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে ফেলেছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াতেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
এ ছাড়া স্বাধীনতা অর্জনের সময় দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করত, এখন সে অনুপাত ৬২ শতাংশ। পরিকল্পিত নগরায়ণ না হওয়ায় এ বিষয়টি ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের বড় অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। কোভিড মহামারির মধ্যেও অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত বাদে সবার ওপরে থাকা নিঃসন্দেহে ‘ঐতিহাসিক অর্জন’।
তবে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে জিডিপি যথেষ্ট অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্য নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত যে দেশটিকে আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা ও দেশ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে তাচ্ছিল্য করেছিল। সেই দেশ যখন নানা আন্তর্জাতিক ফোরাম থেকে উন্নয়নের প্রশংসা কুড়াচ্ছে, গত ৫০ বছরে সেটি কম অর্জন নয়। মাথাপিছু গড় আয় ও আয়ু, নবজাতক ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, প্রাথমিকে শতভাগ ভর্তি, সামাজিক সুরক্ষা সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
কৃষিতে দারুণ অগ্রগতি, শিল্প খাতের অবদানে ধারাবাহিক বৃদ্ধি, করোনার দুঃসময়েও রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখাকে বাংলাদেশের বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভেও রেকর্ড হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে এখন ২ হাজার ৫৫৪ ডলার।
এ ছাড়া বিশাল জনগোষ্ঠীকে নানাভাবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতাও উল্লেখ করার মতো। ব্যাংকিং সেবার পরিধি শহরাঞ্চল ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকাতেও বিস্তৃত হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা চলে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায়।
যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৫ তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরে বাংলাদেশ কৃষি, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বড় ধরনের সফলতা অর্জন করেছে। মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির মাইলফলক।
তবে দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে উল্লেখ করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।’
ড. খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘যে বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল, বাংলাদেশের ৫০ বছর পর এসে সেসব বৈষম্য আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। সামনের দিনগুলোতে এ বৈষম্য দূর করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।’
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিপর্যয়সহ দিন দিন বেড়ে চলা আর্থসামাজিক বৈষম্য দূর করাও বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
এ রাজনীতিক বলেন, বেকারত্ব দূর করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রযুক্তির বিকাশকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উৎসে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের মৌলিক চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করাও ভবিষ্যতের আরেক চ্যালেঞ্জ।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠতে পারিনি মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, ‘এখন বাঙালি-বাঙালির মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনো আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডেভেলপমেন্টের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার সুফল দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। বিভিন্ন খাতে দক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে শিক্ষা কার্যক্রমেও পরিবর্তন আনতে হবে।’
সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যে গতিশীলতার সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে তার সুফল সাধারণ মানুষকে দিতে হলে তা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। পাশাপাশি সামাজিক সমতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি দূর করা জরুরি।’
এদিকে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি), ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) সহ বিদ্যমান বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা সীমিত হয়ে আসতে পারে। রপ্তানি বাণিজ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এর প্রস্তুতির জন্য পাঁচ বছর সময় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রায় ১০০-র অধিক দেশে ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রপ্তানি করছে। তবে অধিকাংশ ওষুধের পেটেন্ট বিদেশিদের। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বিদেশিদের পেটেন্ট করা ওষুধ উৎপাদন করতে হলে বাড়তি অর্থ দিতে হবে। এ জন্য রপ্তানি খাতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এলডিসি স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্টের (এসঅ্যান্ডডিটি) আওতায় বিভিন্ন সুবিধা পায়। এ চুক্তি অনুযায়ী বাণিজ্যবিষয়ক মেধাস্বত্ব অধিকারে (ট্রিপস) এলডিসিগুলো বিশেষ ছাড় পায়। এ কারণে বিদেশি পেটেন্ট পাওয়া পণ্যসামগ্রী, বিশেষ করে ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাওয়া ২০৩২ সালের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর এসব সুবিধা আর বাংলাদেশ পাবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, সামনের দিনগুলোতে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, দক্ষতার উন্নয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সরবরাহ, দক্ষ শ্রমশক্তির জোগান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ আরও বিস্তৃত করতে হবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আন্তযোগাযোগ বৃদ্ধি ও অংশীদারি সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের রপ্তানিকে গতিশীল করার উদ্যোগ নিতে হবে। আর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে, তা মোকাবিলা করতে নতুন নতুন আন্তর্জাতিক ঋণের উৎস খুঁজতে হবে। কারণ এ সময় বাংলাদেশ এখনকার মতো দীর্ঘমেয়াদি স্বল্প সুদে ঋণ পাবে না।
আর প্রস্তুতির সময়টাতে বাংলাদেশের জন্য ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা লাভের সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসারে শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, পরিবেশগত সুরক্ষা, সুশাসনের মতো বিষয়গুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান পাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে বিভিন্ন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু নতুন চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন কঠিন হবে না।’
এদিকে, ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশকে ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে ফেলেছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াতেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
এ ছাড়া স্বাধীনতা অর্জনের সময় দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করত, এখন সে অনুপাত ৬২ শতাংশ। পরিকল্পিত নগরায়ণ না হওয়ায় এ বিষয়টি ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
রেজাউর রহিম, ঢাকা

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের বড় অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। কোভিড মহামারির মধ্যেও অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত বাদে সবার ওপরে থাকা নিঃসন্দেহে ‘ঐতিহাসিক অর্জন’।
তবে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে জিডিপি যথেষ্ট অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্য নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত যে দেশটিকে আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা ও দেশ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে তাচ্ছিল্য করেছিল। সেই দেশ যখন নানা আন্তর্জাতিক ফোরাম থেকে উন্নয়নের প্রশংসা কুড়াচ্ছে, গত ৫০ বছরে সেটি কম অর্জন নয়। মাথাপিছু গড় আয় ও আয়ু, নবজাতক ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, প্রাথমিকে শতভাগ ভর্তি, সামাজিক সুরক্ষা সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
কৃষিতে দারুণ অগ্রগতি, শিল্প খাতের অবদানে ধারাবাহিক বৃদ্ধি, করোনার দুঃসময়েও রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখাকে বাংলাদেশের বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভেও রেকর্ড হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে এখন ২ হাজার ৫৫৪ ডলার।
এ ছাড়া বিশাল জনগোষ্ঠীকে নানাভাবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতাও উল্লেখ করার মতো। ব্যাংকিং সেবার পরিধি শহরাঞ্চল ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকাতেও বিস্তৃত হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা চলে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায়।
যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৫ তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরে বাংলাদেশ কৃষি, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বড় ধরনের সফলতা অর্জন করেছে। মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির মাইলফলক।
তবে দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে উল্লেখ করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।’
ড. খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘যে বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল, বাংলাদেশের ৫০ বছর পর এসে সেসব বৈষম্য আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। সামনের দিনগুলোতে এ বৈষম্য দূর করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।’
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিপর্যয়সহ দিন দিন বেড়ে চলা আর্থসামাজিক বৈষম্য দূর করাও বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
এ রাজনীতিক বলেন, বেকারত্ব দূর করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রযুক্তির বিকাশকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উৎসে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের মৌলিক চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করাও ভবিষ্যতের আরেক চ্যালেঞ্জ।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠতে পারিনি মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, ‘এখন বাঙালি-বাঙালির মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনো আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডেভেলপমেন্টের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার সুফল দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। বিভিন্ন খাতে দক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে শিক্ষা কার্যক্রমেও পরিবর্তন আনতে হবে।’
সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যে গতিশীলতার সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে তার সুফল সাধারণ মানুষকে দিতে হলে তা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। পাশাপাশি সামাজিক সমতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি দূর করা জরুরি।’
এদিকে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি), ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) সহ বিদ্যমান বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা সীমিত হয়ে আসতে পারে। রপ্তানি বাণিজ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এর প্রস্তুতির জন্য পাঁচ বছর সময় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রায় ১০০-র অধিক দেশে ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রপ্তানি করছে। তবে অধিকাংশ ওষুধের পেটেন্ট বিদেশিদের। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বিদেশিদের পেটেন্ট করা ওষুধ উৎপাদন করতে হলে বাড়তি অর্থ দিতে হবে। এ জন্য রপ্তানি খাতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এলডিসি স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্টের (এসঅ্যান্ডডিটি) আওতায় বিভিন্ন সুবিধা পায়। এ চুক্তি অনুযায়ী বাণিজ্যবিষয়ক মেধাস্বত্ব অধিকারে (ট্রিপস) এলডিসিগুলো বিশেষ ছাড় পায়। এ কারণে বিদেশি পেটেন্ট পাওয়া পণ্যসামগ্রী, বিশেষ করে ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাওয়া ২০৩২ সালের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর এসব সুবিধা আর বাংলাদেশ পাবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, সামনের দিনগুলোতে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, দক্ষতার উন্নয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সরবরাহ, দক্ষ শ্রমশক্তির জোগান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ আরও বিস্তৃত করতে হবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আন্তযোগাযোগ বৃদ্ধি ও অংশীদারি সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের রপ্তানিকে গতিশীল করার উদ্যোগ নিতে হবে। আর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে, তা মোকাবিলা করতে নতুন নতুন আন্তর্জাতিক ঋণের উৎস খুঁজতে হবে। কারণ এ সময় বাংলাদেশ এখনকার মতো দীর্ঘমেয়াদি স্বল্প সুদে ঋণ পাবে না।
আর প্রস্তুতির সময়টাতে বাংলাদেশের জন্য ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা লাভের সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসারে শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, পরিবেশগত সুরক্ষা, সুশাসনের মতো বিষয়গুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান পাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে বিভিন্ন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু নতুন চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন কঠিন হবে না।’
এদিকে, ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশকে ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে ফেলেছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াতেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
এ ছাড়া স্বাধীনতা অর্জনের সময় দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করত, এখন সে অনুপাত ৬২ শতাংশ। পরিকল্পিত নগরায়ণ না হওয়ায় এ বিষয়টি ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের বড় অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। কোভিড মহামারির মধ্যেও অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত বাদে সবার ওপরে থাকা নিঃসন্দেহে ‘ঐতিহাসিক অর্জন’।
তবে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে জিডিপি যথেষ্ট অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্য নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত যে দেশটিকে আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা ও দেশ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে তাচ্ছিল্য করেছিল। সেই দেশ যখন নানা আন্তর্জাতিক ফোরাম থেকে উন্নয়নের প্রশংসা কুড়াচ্ছে, গত ৫০ বছরে সেটি কম অর্জন নয়। মাথাপিছু গড় আয় ও আয়ু, নবজাতক ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, প্রাথমিকে শতভাগ ভর্তি, সামাজিক সুরক্ষা সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
কৃষিতে দারুণ অগ্রগতি, শিল্প খাতের অবদানে ধারাবাহিক বৃদ্ধি, করোনার দুঃসময়েও রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখাকে বাংলাদেশের বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভেও রেকর্ড হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে এখন ২ হাজার ৫৫৪ ডলার।
এ ছাড়া বিশাল জনগোষ্ঠীকে নানাভাবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতাও উল্লেখ করার মতো। ব্যাংকিং সেবার পরিধি শহরাঞ্চল ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকাতেও বিস্তৃত হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা চলে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায়।
যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৫ তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরে বাংলাদেশ কৃষি, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বড় ধরনের সফলতা অর্জন করেছে। মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির মাইলফলক।
তবে দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে উল্লেখ করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।’
ড. খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘যে বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল, বাংলাদেশের ৫০ বছর পর এসে সেসব বৈষম্য আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। সামনের দিনগুলোতে এ বৈষম্য দূর করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।’
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিপর্যয়সহ দিন দিন বেড়ে চলা আর্থসামাজিক বৈষম্য দূর করাও বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
এ রাজনীতিক বলেন, বেকারত্ব দূর করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রযুক্তির বিকাশকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উৎসে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের মৌলিক চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করাও ভবিষ্যতের আরেক চ্যালেঞ্জ।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠতে পারিনি মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, ‘এখন বাঙালি-বাঙালির মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনো আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডেভেলপমেন্টের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার সুফল দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। বিভিন্ন খাতে দক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে শিক্ষা কার্যক্রমেও পরিবর্তন আনতে হবে।’
সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যে গতিশীলতার সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে তার সুফল সাধারণ মানুষকে দিতে হলে তা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। পাশাপাশি সামাজিক সমতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি দূর করা জরুরি।’
এদিকে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি), ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) সহ বিদ্যমান বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা সীমিত হয়ে আসতে পারে। রপ্তানি বাণিজ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এর প্রস্তুতির জন্য পাঁচ বছর সময় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রায় ১০০-র অধিক দেশে ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রপ্তানি করছে। তবে অধিকাংশ ওষুধের পেটেন্ট বিদেশিদের। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বিদেশিদের পেটেন্ট করা ওষুধ উৎপাদন করতে হলে বাড়তি অর্থ দিতে হবে। এ জন্য রপ্তানি খাতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এলডিসি স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্টের (এসঅ্যান্ডডিটি) আওতায় বিভিন্ন সুবিধা পায়। এ চুক্তি অনুযায়ী বাণিজ্যবিষয়ক মেধাস্বত্ব অধিকারে (ট্রিপস) এলডিসিগুলো বিশেষ ছাড় পায়। এ কারণে বিদেশি পেটেন্ট পাওয়া পণ্যসামগ্রী, বিশেষ করে ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাওয়া ২০৩২ সালের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর এসব সুবিধা আর বাংলাদেশ পাবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, সামনের দিনগুলোতে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, দক্ষতার উন্নয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সরবরাহ, দক্ষ শ্রমশক্তির জোগান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ আরও বিস্তৃত করতে হবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আন্তযোগাযোগ বৃদ্ধি ও অংশীদারি সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের রপ্তানিকে গতিশীল করার উদ্যোগ নিতে হবে। আর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে, তা মোকাবিলা করতে নতুন নতুন আন্তর্জাতিক ঋণের উৎস খুঁজতে হবে। কারণ এ সময় বাংলাদেশ এখনকার মতো দীর্ঘমেয়াদি স্বল্প সুদে ঋণ পাবে না।
আর প্রস্তুতির সময়টাতে বাংলাদেশের জন্য ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা লাভের সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসারে শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, পরিবেশগত সুরক্ষা, সুশাসনের মতো বিষয়গুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান পাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে বিভিন্ন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু নতুন চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন কঠিন হবে না।’
এদিকে, ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশকে ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে ফেলেছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াতেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
এ ছাড়া স্বাধীনতা অর্জনের সময় দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করত, এখন সে অনুপাত ৬২ শতাংশ। পরিকল্পিত নগরায়ণ না হওয়ায় এ বিষয়টি ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে। দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে। দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে। দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে। দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে