হাসিনা সরকারের পতনে বিদ্যুৎনীতি পাল্টাল ভারত, আমদানিতে আগ্রহী সামিট

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ৫৭
Thumbnail image

দেশের বাইরে থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করতে চায় সামিট। এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আজিজ খান। সপ্তাহখানেক আগে ভারতের বিদ্যুৎ রপ্তানিবিষয়ক নীতিমালা পরিবর্তনের মুখে সামিটের তরফ থেকে এই প্রতিক্রিয়া এল। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারত সরকার বিদ্যুৎ রপ্তানি নীতিমালায় পরিবর্তন আনে। নতুন নীতিমালা অনুসারে, যেসব প্রতিষ্ঠান বিশেষভাবে বাইরের দেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করছিল, তারা এখন স্থানীয়ভাবেই তাদের বিদ্যুৎ বিক্রি করবে। 

বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক সপ্তাহের মাথায় ভারত সরকার নতুন এই নীতিমালা প্রণয়ন করে। এর ফলে, ভারতের একমাত্র শতভাগ রপ্তানিমুখী বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আদানি গ্রুপের মালিকানাধীন গোড্ডা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশটির জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্যই তৈরি করা হয়েছিল।

আজিজ খান রয়টার্সকে বলেন, ‘নীতিমালার পরিবর্তনের পর আমাদের ভারতীয় অংশীদারেরা হয়তো ভারতেই বিক্রি করতে বেশি আগ্রহী হবেন। আমাদের কোম্পানি বাংলাদেশে সঞ্চালন লাইন তৈরিতে বিনিয়োগ করবে এবং তাহলে এ ক্ষেত্রে আমাদের আরও ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে।’ 

সামিট গ্রুপ বাংলাদেশে এক ডজনেরও বেশি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিচালনা করছে। কোম্পানিটি গত বছর টাটা পাওয়ার রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেডসহ ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে ১ হাজার মেগাওয়াট পুনর্নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প নির্মাণ এবং উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে টাটা পাওয়ারের পক্ষ থেকে সামিটের পরিকল্পনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। 

বাংলাদেশে প্রায় ৯৯ শতাংশ বিদ্যুৎই আসে জীবাশ্ম জ্বালানি দিয়ে পরিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে। তাই কার্বন নিঃসরাণ কমাতে এই খাতের ওপর থেকে নির্ভরতা কমানো বাংলাদেশের জন্য জরুরি। কিন্তু জমির দুষ্প্রাপ্যতার কারণে বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনও সহজ নয়।

আজিজ খান জানান, সামিট পাওয়ার নীতিগত বিষয়গুলো স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগ বিলম্বিত করা এবং উচ্চ ঝুঁকির জন্য আর্থিক শর্তাবলি পুনর্বিবেচনা করাসহ বিকল্পগুলো পর্যালোচনা করে দেখছে। ভারতের বিদ্যুৎ রপ্তানি নীতিমালায় পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নীতিতে এ ধরনের দ্রুত পরিবর্তন সব সময়ই উদ্বেগের বিষয়। কারণ, এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে।’ 

সামিট গ্রুপের প্রধান আরও জানান, বাংলাদেশে নতুন সরকারের কারণে নেপাল ও ভুটানে নির্মিত জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ভারত হয়ে যে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির কথা ছিল সেখানে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের বিষয়টি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেছে। তিনি জানান, আন্তসীমান্ত বিনিয়োগের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে তাঁর কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে। 

আজিজ খান বলেন, ‘টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে যে চুক্তির সুযোগ ছিল, নতুন বাংলাদেশ সরকারের সেই আইন স্থগিত করার বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর বিষয়ে পর্যালোচনা করার ক্ষেত্রে তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করেছে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে একগুচ্ছ সুপারিশ কমিশনের

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত