চা-শ্রমিকদের মজুরি দ্বিগুণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১: ১৮
ছবি: সংগৃহীত

শ্রমিকদের কাজের জন্য ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। বিশেষ করে চা-বাগান শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর সময় এসে গেছে। এটা নিয়ে কোনো টালবাহানা করা চলবে না। কোনো ইস্যু দেখিয়ে মজুরি বাড়ানো ঠেকানো যাবে না। চা-বাগানের শ্রমিকেরা এখনো দৈনিক ১৭০ টাকা মজুরি পান।

এই টাকা দিয়ে জীবন চলে না। এত কম বেতন একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক পান, এটা লজ্জার বিষয়। কোনো অজুহাত না দেখিয়ে চা-শ্রমিকদের বেতন অবিলম্বে দ্বিগুণ করতে হবে। তাঁদের বাসস্থান, গ্র্যাচুইটি এবং নৈমিত্তিক ছুটি নিশ্চিত করতে শ্রম আইন সংশোধন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সলিডারিটি সেন্টার আয়োজিত ‘চা-শিল্পের শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার’ শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, চা-শ্রমিকেরা ২০০ বছর ধরে বঞ্চিত। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা নেই। তাঁদের চাকরি স্থায়ী হয় না। এখনো মাত্র দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে ১৭০ টাকা পান চা-শ্রমিকেরা। এই টাকা দিয়ে কী হয়? তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আর বিলম্ব করা যাবে না। কমপক্ষে দ্বিগুণ করতে হবে মজুরি।

মূল প্রবন্ধে মো. হাবিবুর রহমান বলেন, চা-শ্রমিকদের জন্য গ্র্যাচুইটি নিশ্চিত করতে শ্রম আইনের ২৮ ধারা, নৈমিত্তিক ছুটির বিধানে ১১৫ ধারা, মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি নিশ্চিতে ১১৭ ধারা, চা-শ্রমিকদের বাসস্থান নিশ্চিতে উচ্ছেদসংক্রান্ত ৩২ ধারা সংশোধন করতে হবে। তবে এসব প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের শ্রম কমিটির আহ্বায়ক তাহসিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, চা উৎপাদনে খরচ আগের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটি প্রদান করলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। আর স্থায়ী বাসস্থানের বিষয়টি সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত