ফারুক মেহেদী, ঢাকা
অস্থির বাজার সহনীয় রাখতে কমানো হচ্ছে নিত্যপণ্য পেঁয়াজ ও চিনির শুল্ক। এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্ক কমানোর ফলে রাজস্ব আয়ে কী প্রভাব পড়বে, ভোক্তারাই-বা কতটা সুবিধা পাবে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে তারা। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, শুল্ক কমানোর সুফল ভোক্তারা পায় না; মূলত এই সুবিধা যায় ব্যবসায়ীদের পকেটে।
এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠকে পেঁয়াজের শুল্ক কমানোর দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। বৈঠকের পরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুল্ক কমানোর অনুরোধ জানিয়ে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, যেকোনো পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে প্রথমে ব্যবসায়ী বা আমদানিকারকদের মূল লক্ষ্যই থাকে শুল্ক-কর কমানো। নানাভাবে তাঁরা সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে দেনদরবার করে শুল্ক-কর কমাতে সক্ষম হয়। অথচ যে কারণে শুল্ক-কর কমানো; তার ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করা বা সহনীয় দামে বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়ানো–এটা তেমন একটা দেখা যায় না।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সরকারকে অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়। কখনো কখনো রাজস্ব আয়ের চেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াও সরকারের দায়িত্ব। তারই ধারাবাহিকতায় এনবিআরের কর্মকর্তারা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন আসলে কতটুকু কমবে বা কত দিনের জন্য কমবে ইত্যাদি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুল্ক কমানোর ইতিবাচক প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে আসে না। কিছুটা হয়তো পাইকারি পর্যায়ে পেতে পারে। শুল্ক কমালে ভোক্তাও সুফল পেল না, আবার সরকারও রাজস্ব ছাড় দিল; মাঝখানে লাভ হয় পাইকারদের। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ না করে, অ্যাডহক ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শুল্ক কমিয়ে বা বাড়িয়ে কোনো লাভ হবে না।’
এ বিষয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতে দাম কমলে, এখানে কমবে। শুল্ক কমালে খুব বেশি হয়তো কমবে না। বড়জোর কেজিতে আড়াই-তিন টাকা কমতে পারে। শুল্ক কমানোর প্রভাব বাজারে পড়ে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাঁচামাল শুল্ক কমালেই দাম কমবে, এটা আশা করা যায় না। এর দাম ওঠা-নামা করতেই পারে।
জানা যায়, কিছুদিন ধরে পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার অজুহাতে বাংলাদেশেও দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। শুধু তা-ই নয়; ভারতে দাম বাড়ার খবর আসতে না আসতেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এ পণ্যটির দাম বছরের একটা বিশেষ সময়ে এসে রীতি মেনে বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পণ্যটির শুল্ক চার মাসের জন্য কমাতে চিঠি দেয় এনবিআরকে।
তবে এনবিআর শুধু পেঁয়াজ নয়; চিনির শুল্ক কমানোর বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছে। কারণ, কিছুদিন ধরে চিনির বাজারও অস্থির হয়ে পড়েছে। এ নিত্যপণ্যটির দামও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। চিনির বাজার প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। স্থানীয়ভাবে সামান্য পরিমাণ উৎপাদন হলেও চাহিদার তুলনায় তা খুবই নগণ্য। ফলে চিনির বাজারটি গুটিকয় করপোরেট গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে। তারাও কিছুদিন ধরে সরকারকে শুল্ক কমানোর চাপ দিয়ে আসছিল। ফলে কমছে চিনির শুল্কও।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার শেষ অস্ত্র হিসেবে হয়তো শুল্ক কমায়। তবে শুল্ক কমানোর সুফল যে ভোক্তা পায় না তার প্রমাণ রয়েছে চালের বাজারে। গত বছর চালের সরবরাহ বাড়াতে আমদানির অনুমতি দিয়েও উদ্দেশ্য সফল হয়নি। পরে আমদানি উৎসাহিত করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর চালের আমদানি শুল্ক প্রথমে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়।
তাতেও যখন বাজার সহনীয় হয়নি তখন আরেক দফা চালের শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমানো হয়। যদিও ফলন ওঠার পর সরকার চালের শুল্ক বাড়িয়ে আবারও সাড়ে ৬২ শতাংশ করে। সম্প্রতি আবার চালের বাজারে অস্থিরতা বাড়লে শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামানো হয়েছে। তাতেও বাজার যে খুব সহনীয় অবস্থায় রয়েছে, তা বলা যাবে না। এভাবে শুল্ক কমিয়ে ভোক্তাকে যে এর সুফল দেওয়া যায়নি—ভোক্তা ও বিশ্লেষকেরা প্রতিনিয়তই এ অভিযোগ করে যাচ্ছেন।
অস্থির বাজার সহনীয় রাখতে কমানো হচ্ছে নিত্যপণ্য পেঁয়াজ ও চিনির শুল্ক। এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্ক কমানোর ফলে রাজস্ব আয়ে কী প্রভাব পড়বে, ভোক্তারাই-বা কতটা সুবিধা পাবে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে তারা। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, শুল্ক কমানোর সুফল ভোক্তারা পায় না; মূলত এই সুবিধা যায় ব্যবসায়ীদের পকেটে।
এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠকে পেঁয়াজের শুল্ক কমানোর দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। বৈঠকের পরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুল্ক কমানোর অনুরোধ জানিয়ে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, যেকোনো পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে প্রথমে ব্যবসায়ী বা আমদানিকারকদের মূল লক্ষ্যই থাকে শুল্ক-কর কমানো। নানাভাবে তাঁরা সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে দেনদরবার করে শুল্ক-কর কমাতে সক্ষম হয়। অথচ যে কারণে শুল্ক-কর কমানো; তার ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করা বা সহনীয় দামে বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়ানো–এটা তেমন একটা দেখা যায় না।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সরকারকে অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়। কখনো কখনো রাজস্ব আয়ের চেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াও সরকারের দায়িত্ব। তারই ধারাবাহিকতায় এনবিআরের কর্মকর্তারা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন আসলে কতটুকু কমবে বা কত দিনের জন্য কমবে ইত্যাদি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুল্ক কমানোর ইতিবাচক প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে আসে না। কিছুটা হয়তো পাইকারি পর্যায়ে পেতে পারে। শুল্ক কমালে ভোক্তাও সুফল পেল না, আবার সরকারও রাজস্ব ছাড় দিল; মাঝখানে লাভ হয় পাইকারদের। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ না করে, অ্যাডহক ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শুল্ক কমিয়ে বা বাড়িয়ে কোনো লাভ হবে না।’
এ বিষয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতে দাম কমলে, এখানে কমবে। শুল্ক কমালে খুব বেশি হয়তো কমবে না। বড়জোর কেজিতে আড়াই-তিন টাকা কমতে পারে। শুল্ক কমানোর প্রভাব বাজারে পড়ে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাঁচামাল শুল্ক কমালেই দাম কমবে, এটা আশা করা যায় না। এর দাম ওঠা-নামা করতেই পারে।
জানা যায়, কিছুদিন ধরে পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার অজুহাতে বাংলাদেশেও দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। শুধু তা-ই নয়; ভারতে দাম বাড়ার খবর আসতে না আসতেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এ পণ্যটির দাম বছরের একটা বিশেষ সময়ে এসে রীতি মেনে বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পণ্যটির শুল্ক চার মাসের জন্য কমাতে চিঠি দেয় এনবিআরকে।
তবে এনবিআর শুধু পেঁয়াজ নয়; চিনির শুল্ক কমানোর বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছে। কারণ, কিছুদিন ধরে চিনির বাজারও অস্থির হয়ে পড়েছে। এ নিত্যপণ্যটির দামও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। চিনির বাজার প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। স্থানীয়ভাবে সামান্য পরিমাণ উৎপাদন হলেও চাহিদার তুলনায় তা খুবই নগণ্য। ফলে চিনির বাজারটি গুটিকয় করপোরেট গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে। তারাও কিছুদিন ধরে সরকারকে শুল্ক কমানোর চাপ দিয়ে আসছিল। ফলে কমছে চিনির শুল্কও।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার শেষ অস্ত্র হিসেবে হয়তো শুল্ক কমায়। তবে শুল্ক কমানোর সুফল যে ভোক্তা পায় না তার প্রমাণ রয়েছে চালের বাজারে। গত বছর চালের সরবরাহ বাড়াতে আমদানির অনুমতি দিয়েও উদ্দেশ্য সফল হয়নি। পরে আমদানি উৎসাহিত করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর চালের আমদানি শুল্ক প্রথমে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়।
তাতেও যখন বাজার সহনীয় হয়নি তখন আরেক দফা চালের শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমানো হয়। যদিও ফলন ওঠার পর সরকার চালের শুল্ক বাড়িয়ে আবারও সাড়ে ৬২ শতাংশ করে। সম্প্রতি আবার চালের বাজারে অস্থিরতা বাড়লে শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামানো হয়েছে। তাতেও বাজার যে খুব সহনীয় অবস্থায় রয়েছে, তা বলা যাবে না। এভাবে শুল্ক কমিয়ে ভোক্তাকে যে এর সুফল দেওয়া যায়নি—ভোক্তা ও বিশ্লেষকেরা প্রতিনিয়তই এ অভিযোগ করে যাচ্ছেন।
করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি কৃষি খাতের উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় ও কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেএসবিএসি ব্যাংক পিএলসি মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছেন। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এই কর্মশালা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে‘প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় নারীর পাশে আইএফআইসি’ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এবং কেসিসি উইমেন্স কলেজে দুটি কম্পিউটার ও শিক্ষাসামগ্রী দিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি।
৭ ঘণ্টা আগেডেস্কটপ কম্পিউটারে বিশাল মূল্যহ্রাস করেছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানের এএমডি রাইজেন প্রসেসর সমৃদ্ধ এভিয়ান সিরিজের ডেস্কটপে এই আকর্ষণীয় মূল্যহ্রাস করা হয়েছে। এর আওতায় এভিয়ান ডব্লিউডিপিসি ৩৪০ জি ১৩ মডেলে
৭ ঘণ্টা আগে