ভারতের কাঁচাবাজারে দ্রব্যমূল্য ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিদিনে রান্নায় যেসব পণ্য প্রয়োজন হয় সেগুলোর ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন। বাজারের খরচ বাড়তে থাকায় কেনার পরিমাণ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। দিল্লি–কলকাতার প্রতিটি বাজারের চিত্র একই।
ঐতিহাসিকভাবে পেঁয়াজকে দূষণ প্রতিরোধী হিসেবে দেখা হতো। কারণ এর মধ্যে প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্য বেশির ভাগ ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম। ফলে অসুস্থতার নিরাময় প্রক্রিয়ায়ও পেঁয়াজের ভূমিকাকে স্বীকার করা হয়।
ভারতে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। পাইকারি বাজারে কিছুদিন আগেও যে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ রুপি ছিল, এখন তা বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ রুপিতে দাঁড়িয়েছে; যা ভোক্তাদের অনেক কষ্ট ও সংগ্রামের মধ্যে ফেলেছে। খবর ইকোনমিকস টাইমসের
বাজারে স্বস্তি ফেরাতে চাল, পেঁয়াজ ও আলুর শুল্ক প্রত্যাহার, টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান, কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হলেও ভোক্তার স্বস্তি মিলছে না। চাল, পেঁয়াজ ও আলুর দাম কমেনি। উল্টো আলু, ভোজ্যতেল, আটা, কিছু সবজি, কাঁচা মরিচ, ব্রয়লার মুরগিসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে আলুর দাম কেজিতে
পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক এবং রেগুলেটরি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত সোমবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়
দিনাজপুরের হাকিমপুরে মোকামগুলোয় পচতে শুরু করেছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ। পচন ধরা এসব পেঁয়াজ মানভেদে ৪ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে আড়তদারদের। কোনো কোনো আড়তদার আবার বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দেন। দেশের এক প্রান্তে পেঁয়াজের মোকামে যখন এই হাল, তখন রাজধানীতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকা কেজি দরে। দাম আরও বাড়বে এমন আশঙ্কার কথা বলছেন বিক্রেতারা। অথচ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে সেই পেঁয়াজই পচে যাচ্ছে। ৫০ কেজি পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০০ টাকায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর পর
দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২৫-৪০ টাকা পর্যন্ত। আর এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যকীয় এই পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছ
হাকিমপুরের হিলিবাজারে পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘বন্দরে আমদানিকারকেরা হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার বন্দরে পাইকারিতে যেসব পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি হিসেবে কিনেছি, আজ সেই পেঁয়াজ ১০৩ থেকে ১০৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ কিনতে ও বিক্রি করতে আমাদে
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক ফাস্ট ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডসের খাবারে ডায়ারিয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। ম্যাকডোনাল্ডসের কোয়ার্টার পাউন্ডে স্যান্ডউইচে ডায়ারিয়ার জন্য দায়ী ইশেরেশিয়া কোলাই ব্যাকটেরিয়ার প্রাদুর্ভাবের কারণে ডজনখানেক মানুষ অসুস্থ হয়ে গেছেন। এই ঘটনার পর, বার্গার কিং, কেএফসি, ট্যাকো ব
রাজশাহীতে এবারও বেড়েছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ। এই পেঁয়াজে ভালো লাভ হওয়ায় গত মৌসুমের তুলনায় এবার চাষ বেড়েছে আড়াই গুণ। মাঠে মাঠে চাষ হয়েছে ভারতীয় নাসিক-৫৩ জাতের পেঁয়াজ। এ পেঁয়াজ হয় মাটির ওপরেই। ইতিমধ্যে জমিতে পেঁয়াজ দেখা দিয়েছে। তা দেখে আশায় বুক বেঁধেছেন চাষিরা। বিঘাপ্রতি লাখ টাকা লাভের আশা তাঁদের।
মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আরও ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে। আমদানির ফলে দাম কমে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে ব্যবসায়ীদের আশা।
স্থানীয় আমদানিকারকরা বলছেন, প্রায় ১১ মাস পর মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আরও কয়েকটি ট্রলার টেকনাফে আসার পথে রয়েছে। আমদানি স্বাভাবিক হলে দেশে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল হয়ে আসবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যাপক আমদানি সত্ত্বেও দিনাজপুরের হাকিমপুর-হিলিতে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দামবৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ২০ টাকা। কারণ হিসেবে দুর্গাপূঁজার জন্য টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর শুল্ক কমানোর পাশাপাশি বেঁধে দেওয়া ন্যূনতম দাম প্রত্যাহার করেছে ভারত সরকার। দুটি ব্যবস্থাই ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে। তবে দেশের বাজারে এখনো এর প্রভাব নেই। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়ার খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত সবাই দাম বাড়াতে তৎপর থাকেন।
টনপ্রতি ৫৫০ ডলারে বেঁধে দেওয়া পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রত্যাহার করেছে ভারত সরকার। এর ফলে প্রতিবেশী দেশটি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি আমদানিতে ব্যয় কমছে। এর প্রভাবে স্বভাবত বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার কথা।
আলু, পেঁয়াজ ও কীটনাশকের শুল্ক কমানোর সুফল যাতে ভোক্তা পর্যায়ে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। জিনিসপত্রের দাম কয়েক মাসের মধ্যে দৃশমানভাবে কমে আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।