অনলাইন ডেস্ক
অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে একপ্রকার রেকর্ডই করে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সেপ্টেম্বরের পর দেশটি টানা দ্বিতীয় মাসের মতো সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল উৎপাদন করেছে। এই অবস্থায় জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় উৎপাদক দেশ সৌদি আরব ও তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিশেষ করে দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিক থেকে সৌদি আরব ও ওপেক প্লাস একাধিক দফায় তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে বিষয়টি মার্কিন জ্বালানি খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য শাপে বর হয়ে দেখা দিয়েছে। তারা বিশ্ববাজারে জ্বালানি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে আবারও গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী হয়ে ওঠার পথে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দেওয়া তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল। এ সময়ে দৈনিক জ্বালানি তেলের উৎপাদন বেড়েছে গড়ে ২ লাখ ২৪ হাজার ব্যারেল।
তবে বিগত তিন মাসে দৈনিক অপরিশোধিত জ্বালানি উৎপাদন বেড়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ব্যারেল, যা কিনা আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৭ লাখ ব্যারেল বেশি। শতাংশের হিসাবে এই সময়ের মধ্যে জ্বালানি তেলের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। মেক্সিকো উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব জলসীমা, আলাস্কা ও দেশের মূল ভূখণ্ডে এসব উৎপাদন বেড়েছে। মেক্সিকো উপসাগরে দৈনিক উৎপাদন বেড়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ব্যারেল, আলাস্কায় ১৯ হাজার ব্যারেল এবং মূল ভূখণ্ড বা লোয়ার স্টেটে বেড়েছে ৯৭ হাজার ব্যারেল।
এই অবস্থায় সৌদি আরব ও তার ওপেক প্লাসভুক্ত মিত্র দেশগুলো অনিচ্ছুক হলেও বাজার স্থিতিশীল করতে সুইং প্রোডিউসার হিসেবে ঐতিহাসিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। সুইং প্রোডিউসার হলো—কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্যের এমন সব উৎপাদক দেশ, যার সংশ্লিষ্ট সেই পণ্যের সবচেয়ে বড় অংশ মজুত বা উৎপাদন করে এবং বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্বালানি তেলের শেল কোম্পানিগুলো এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সামনে এগিয়ে এসেছে বাজার স্থিতিশীলকারক হিসেবে ‘ফ্রি রাইডারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। যেমনটা হয়েছিল ১৯৮০-এর দশকে উত্তর সাগরের জ্বালানি তেল কোম্পানিগুলো। ফ্রি রাইডার্স হলো মূলত সেই সব প্রতিষ্ঠান, যারা কোনো পরিস্থিতির সুযোগ বুঝে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেয়।
এর আগে সৌদি আরব ও ওপেক প্লাস যখন জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয়, তখনো এসব ফ্রি রাইডার প্রতিষ্ঠান সুবিধাভোগী হয়েছিল। তবে ফ্রি রাইডার হলেও এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর সাধারণত সৌদি আরব বা ওপেক প্লাসের প্রচ্ছন্ন নিয়ন্ত্রণ থাকে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের প্রভাব কাটাতে সৌদি ও ওপেক প্লাস সম্ভবত এবারও ফ্রি রাইডারদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিয়ে নিজেদের সঙ্গে কাজ করতে একপ্রকার বাধ্য করবে।
এর বাইরে জ্বালানি তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ফ্রি রাইডারের বাইরেও আরও বিভিন্ন উৎপাদক দেশ রয়েছে ওপেক প্লাসের বাইরে, যারা জোটের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয়। সেরকমই একটি দেশ ব্রাজিল। এরই মধ্যে ব্রাজিলকে জোটের সঙ্গে কাজ করতে প্রভাবিত করা হয়েছে।
তার পরও যদি যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেল বেশি উৎপাদনের কারণে মূল্য পড়ে যায়, তাহলে বাজার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সৌদি আরব এবং ওপেক প্লাস হয়তো ফ্রি রাইডারসহ অন্যান্য যেসব তেল উৎপাদক দেশ রয়েছে ওপেক প্লাসের বাইরে, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করেই চলবে।
অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে একপ্রকার রেকর্ডই করে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সেপ্টেম্বরের পর দেশটি টানা দ্বিতীয় মাসের মতো সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল উৎপাদন করেছে। এই অবস্থায় জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় উৎপাদক দেশ সৌদি আরব ও তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিশেষ করে দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিক থেকে সৌদি আরব ও ওপেক প্লাস একাধিক দফায় তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে বিষয়টি মার্কিন জ্বালানি খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য শাপে বর হয়ে দেখা দিয়েছে। তারা বিশ্ববাজারে জ্বালানি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে আবারও গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী হয়ে ওঠার পথে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দেওয়া তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল। এ সময়ে দৈনিক জ্বালানি তেলের উৎপাদন বেড়েছে গড়ে ২ লাখ ২৪ হাজার ব্যারেল।
তবে বিগত তিন মাসে দৈনিক অপরিশোধিত জ্বালানি উৎপাদন বেড়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ব্যারেল, যা কিনা আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৭ লাখ ব্যারেল বেশি। শতাংশের হিসাবে এই সময়ের মধ্যে জ্বালানি তেলের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। মেক্সিকো উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব জলসীমা, আলাস্কা ও দেশের মূল ভূখণ্ডে এসব উৎপাদন বেড়েছে। মেক্সিকো উপসাগরে দৈনিক উৎপাদন বেড়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ব্যারেল, আলাস্কায় ১৯ হাজার ব্যারেল এবং মূল ভূখণ্ড বা লোয়ার স্টেটে বেড়েছে ৯৭ হাজার ব্যারেল।
এই অবস্থায় সৌদি আরব ও তার ওপেক প্লাসভুক্ত মিত্র দেশগুলো অনিচ্ছুক হলেও বাজার স্থিতিশীল করতে সুইং প্রোডিউসার হিসেবে ঐতিহাসিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। সুইং প্রোডিউসার হলো—কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্যের এমন সব উৎপাদক দেশ, যার সংশ্লিষ্ট সেই পণ্যের সবচেয়ে বড় অংশ মজুত বা উৎপাদন করে এবং বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্বালানি তেলের শেল কোম্পানিগুলো এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সামনে এগিয়ে এসেছে বাজার স্থিতিশীলকারক হিসেবে ‘ফ্রি রাইডারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। যেমনটা হয়েছিল ১৯৮০-এর দশকে উত্তর সাগরের জ্বালানি তেল কোম্পানিগুলো। ফ্রি রাইডার্স হলো মূলত সেই সব প্রতিষ্ঠান, যারা কোনো পরিস্থিতির সুযোগ বুঝে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেয়।
এর আগে সৌদি আরব ও ওপেক প্লাস যখন জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয়, তখনো এসব ফ্রি রাইডার প্রতিষ্ঠান সুবিধাভোগী হয়েছিল। তবে ফ্রি রাইডার হলেও এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর সাধারণত সৌদি আরব বা ওপেক প্লাসের প্রচ্ছন্ন নিয়ন্ত্রণ থাকে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের প্রভাব কাটাতে সৌদি ও ওপেক প্লাস সম্ভবত এবারও ফ্রি রাইডারদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিয়ে নিজেদের সঙ্গে কাজ করতে একপ্রকার বাধ্য করবে।
এর বাইরে জ্বালানি তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ফ্রি রাইডারের বাইরেও আরও বিভিন্ন উৎপাদক দেশ রয়েছে ওপেক প্লাসের বাইরে, যারা জোটের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয়। সেরকমই একটি দেশ ব্রাজিল। এরই মধ্যে ব্রাজিলকে জোটের সঙ্গে কাজ করতে প্রভাবিত করা হয়েছে।
তার পরও যদি যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেল বেশি উৎপাদনের কারণে মূল্য পড়ে যায়, তাহলে বাজার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সৌদি আরব এবং ওপেক প্লাস হয়তো ফ্রি রাইডারসহ অন্যান্য যেসব তেল উৎপাদক দেশ রয়েছে ওপেক প্লাসের বাইরে, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করেই চলবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং খাতে দক্ষতা উন্নয়ন এবং কার্যক্রম গতিশীল করতে বেসিস ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভা গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেসিস বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান কে. এ. এম. রাশেদুল মাজিদ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর-ইন-চার্জ ড. মোহাম্মদ রিসালাত...
১ ঘণ্টা আগেআমি জানি আপনারা অনেক কষ্টে আছেন। তবে এটাও বলতে চাই যে-আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ, চিনি এবং তেলের দাম কিছুটা কমে এসেছে...
৬ ঘণ্টা আগেভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানিকে ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটরেরা। এর পরপরই কেনিয়ায় গ্রুপটির দুটি বড় প্রকল্প বাতিল হয়ে গেছে। যদিও আদানি গ্রুপ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের গৌতম আদানি ও তাঁর ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগপত্র দাখিল ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনটাই ধারণা করছেন ঢাকার জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের আদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এমন এক
৯ ঘণ্টা আগে