সিমের মালিকানায় সময় কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রাহক স্বার্থবিরোধী: গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৪: ১৯
Thumbnail image

মুঠোফোনের সিমের মালিকানায় সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত গ্রাহকের স্বার্থবিরোধী দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। অপারেটরদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বিটিআরসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করে সংগঠনটি। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে এসব কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। 

বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিটিআরসি মুঠোফোন অপারেটরদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিমের মালিকানার সময় কমিয়ে এনেছে। কিন্তু এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় গ্রাহকদের কাছ থেকে মতামত নেওয়ার দরকার ছিল। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। আগে অব্যবহৃত সিম পুনরায় বিক্রির বা রিসাইক্লিংয়ের সময় ছিল ৫৪০ দিন। এর মধ্যে গ্রাহকদের জন্য ৯০ দিনের একটি নোটিশ পিরিয়ড ছিল। আর এখন রিসাইক্লিংয়ের সময় হচ্ছে ১১ মাস বা ৩৩০ দিন (কম-বেশি)। আর নোটিশ পিরিয়ড থাকছে ৩০ দিন। 

বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রবাসে থাকা গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। যেসব প্রবাসী দুই-তিন বছর পর দেশে ফেরেন, সিম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা বিপদে পড়ছেন, পড়বেন। তাঁদের পাসপোর্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এমনকি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরসহ সব জায়গায় তাঁর যে নম্বরটি দেওয়া হয়েছে, এসে দেখেন তা বন্ধ রয়েছে। এমনকি এ-ও দেখা যায়, অন্য কোনো ব্যক্তি তাঁর ওই নম্বর ব্যবহার করছেন। ফলে গ্রাহকের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রোমিং-সেবা সহজ না হলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কমিশন বিকল্প ব্যবস্থা করে অপারেটরদের নম্বর দিতে পারে। আর গ্রাহকদের আগে থেকেই যদি ফোন করে বা মেসেজ দিয়ে কিংবা ই-মেইল করে জানানো হয়, তাহলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু গ্রাহকদের কাছে সঠিকভাবে কোনো বার্তা পাঠানো হয় না। বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ, বিধায় কমিশনের উচিত ছিল গ্রাহকদের কাছ থেকে মতামত নেওয়ার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত