ফারুক মেহেদী, ঢাকা
রপ্তানির শর্তে বিনা শুল্কে কাপড় আমদানির পর তা দিয়ে পোশাক তৈরি না করে বেশি দামে বিক্রি করে দেওয়া হয় খোলাবাজারে। পরে দেশে তৈরি নিম্নমানের কাপড় দিয়ে বানানো পোশাকে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগ লাগিয়ে ঘোষণার দ্বিগুণ পোশাক রপ্তানির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জাহাজীকরণের প্রস্তুতিকালে এই জালিয়াতি ধরা পড়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের হাতে।
ঘটনাটি ঘটিয়েছে ঢাকার আশুলিয়ার তৈরি পোশাকপ্রতিষ্ঠান পিয়াংকা ফ্যাশন লিমিটেড। ২০২১ সালের ওই ঘটনার একাধিক অনুসন্ধান শেষে পিয়াংকা ফ্যাশনের মালিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার মামলা করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের করা বিশদ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা পিয়াংকা ফ্যাশন লিমিটেডের বিনা শুল্কে আমদানি করা কাপড় দিয়ে পোশাক বানিয়ে পুরোটাই রপ্তানি করার কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি কাপড় আমদানি করলেও তা দিয়ে পোশাক না বানিয়ে বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি করে দেয়; যা বেআইনি।
এছাড়া বিদেশি ক্রেতার জন্য দেশে তৈরি সাধারণ ও নিম্নমানের কাপড় দিয়ে পোশাক বানিয়ে তাতে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগ লাগিয়ে রপ্তানির চেষ্টা করা হয়। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড পিয়াজ্জাইটালিয়াকে ক্রেতা দেখিয়ে আরব আমিরাতের লামিয়া রেডিমেড গার্মেন্টসের নামে জাহাজীকরণের প্রস্তুতির সময় বিষয়টি ধরা পড়ে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ ঘটনার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা অপচেষ্টা করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি টি-শার্ট, টপ, শার্ট, প্যান্ট, বক্সার ট্রাউজারসহ ছয় ধরনের ৪৮ হাজার ৮৩০ পিস পোশাক রপ্তানির ঘোষণা দিলেও কার্টন খুলে পাওয়া যায় ১৫ ধরনের ৮৪ হাজার ৮০ পিস পণ্য। ১৬ হাজার ৮৮০ কেজি ওজন ঘোষণা করা হলেও ছিল ২৩ হাজার ৩৭৪ কেজি।
জানা যায়, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের জন্য কাপড় ব্যবহারের অনুমোদনপত্র বা ইউডি (ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন) দেয় নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ। প্রতিবেদনে বিকেএমইএর উদ্ধৃত করা বক্তব্যে বলা হয়েছে, পিয়াংকা ফ্যাশন যে কাপড় দিয়ে পোশাক বানানোর অনুমোদন নিয়েছিল, তা না করে বাজার থেকে নিম্নমানের কাপড় দিয়ে পোশাক বানিয়ে রপ্তানির অপচেষ্টা করেছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস ৫ ডিসেম্বর এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়ে পিয়াংকা ফ্যাশনের মালিক মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাওলাদার ট্রেড করপোরেশনের প্রতিনিধি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কায়সারের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার মামলার অনুমোদন চেয়েছে। অনুমোদন পেলে মামলা করা হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিয়াংকা ফ্যাশনের বিষয়টি আমার যত দূর মনে পড়ে, মামলার অনুমোদনের জন্য লিখেছি। এ ধরনের ক্ষেত্রে আমরা অনুমোদন চাইলে এনবিআর তা দেয়নি এমন নজির নেই।’
বক্তব্য জানতে পিয়াংকা ফ্যাশনের মালিক মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহর দুটি মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তাঁর পক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। সেখানে তিনি স্থানীয় বাজার থেকে কাপড় কিনে তা দিয়ে পোশাক বানিয়ে রপ্তানির চেষ্টার কথা বলেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, পিয়াংকা বিশ্বখ্যাত কোড, সিএমটি ওয়াইল্ডফিল্ড, পিয়াজ্জাইটালিয়া, বিঅ্যান্ডসি কালেকশন, এসডিভিসহ অনেক ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পোশাক বানিয়ে রপ্তানি করে থাকে।
রপ্তানির শর্তে বিনা শুল্কে কাপড় আমদানির পর তা দিয়ে পোশাক তৈরি না করে বেশি দামে বিক্রি করে দেওয়া হয় খোলাবাজারে। পরে দেশে তৈরি নিম্নমানের কাপড় দিয়ে বানানো পোশাকে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগ লাগিয়ে ঘোষণার দ্বিগুণ পোশাক রপ্তানির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জাহাজীকরণের প্রস্তুতিকালে এই জালিয়াতি ধরা পড়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের হাতে।
ঘটনাটি ঘটিয়েছে ঢাকার আশুলিয়ার তৈরি পোশাকপ্রতিষ্ঠান পিয়াংকা ফ্যাশন লিমিটেড। ২০২১ সালের ওই ঘটনার একাধিক অনুসন্ধান শেষে পিয়াংকা ফ্যাশনের মালিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার মামলা করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের করা বিশদ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা পিয়াংকা ফ্যাশন লিমিটেডের বিনা শুল্কে আমদানি করা কাপড় দিয়ে পোশাক বানিয়ে পুরোটাই রপ্তানি করার কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি কাপড় আমদানি করলেও তা দিয়ে পোশাক না বানিয়ে বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি করে দেয়; যা বেআইনি।
এছাড়া বিদেশি ক্রেতার জন্য দেশে তৈরি সাধারণ ও নিম্নমানের কাপড় দিয়ে পোশাক বানিয়ে তাতে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগ লাগিয়ে রপ্তানির চেষ্টা করা হয়। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড পিয়াজ্জাইটালিয়াকে ক্রেতা দেখিয়ে আরব আমিরাতের লামিয়া রেডিমেড গার্মেন্টসের নামে জাহাজীকরণের প্রস্তুতির সময় বিষয়টি ধরা পড়ে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ ঘটনার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা অপচেষ্টা করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি টি-শার্ট, টপ, শার্ট, প্যান্ট, বক্সার ট্রাউজারসহ ছয় ধরনের ৪৮ হাজার ৮৩০ পিস পোশাক রপ্তানির ঘোষণা দিলেও কার্টন খুলে পাওয়া যায় ১৫ ধরনের ৮৪ হাজার ৮০ পিস পণ্য। ১৬ হাজার ৮৮০ কেজি ওজন ঘোষণা করা হলেও ছিল ২৩ হাজার ৩৭৪ কেজি।
জানা যায়, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের জন্য কাপড় ব্যবহারের অনুমোদনপত্র বা ইউডি (ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন) দেয় নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ। প্রতিবেদনে বিকেএমইএর উদ্ধৃত করা বক্তব্যে বলা হয়েছে, পিয়াংকা ফ্যাশন যে কাপড় দিয়ে পোশাক বানানোর অনুমোদন নিয়েছিল, তা না করে বাজার থেকে নিম্নমানের কাপড় দিয়ে পোশাক বানিয়ে রপ্তানির অপচেষ্টা করেছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস ৫ ডিসেম্বর এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়ে পিয়াংকা ফ্যাশনের মালিক মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাওলাদার ট্রেড করপোরেশনের প্রতিনিধি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কায়সারের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার মামলার অনুমোদন চেয়েছে। অনুমোদন পেলে মামলা করা হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিয়াংকা ফ্যাশনের বিষয়টি আমার যত দূর মনে পড়ে, মামলার অনুমোদনের জন্য লিখেছি। এ ধরনের ক্ষেত্রে আমরা অনুমোদন চাইলে এনবিআর তা দেয়নি এমন নজির নেই।’
বক্তব্য জানতে পিয়াংকা ফ্যাশনের মালিক মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহর দুটি মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তাঁর পক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। সেখানে তিনি স্থানীয় বাজার থেকে কাপড় কিনে তা দিয়ে পোশাক বানিয়ে রপ্তানির চেষ্টার কথা বলেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, পিয়াংকা বিশ্বখ্যাত কোড, সিএমটি ওয়াইল্ডফিল্ড, পিয়াজ্জাইটালিয়া, বিঅ্যান্ডসি কালেকশন, এসডিভিসহ অনেক ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পোশাক বানিয়ে রপ্তানি করে থাকে।
বেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৪ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৫ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
৫ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
৬ ঘণ্টা আগে