ব্যাংক লেনদেনের সময় বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image

ঢাকা: করোনা মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমিত পরিসরে ব্যাংক লেনদেনের সময়-সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকবে। লেনদেন পরবর্তী অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা রাখা যাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আজ বুধবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে লেনদেনের সময়সীমা ছিল বিকেল ৩টা পর্যন্ত। তবে ব্যাংকের অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বহাল ছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঘোষিত প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৭ জুন থেকে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত সীমিত পর্যায়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ সময়ে লেনদেন হবে সকাল ১০টা হতে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আর লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদন হবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১৩ এপ্রিল ২০২১ তারিখে জারিকৃত ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-১৫ এ প্রদত্ত অন্যান্য নির্দেশনাবলি অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।

জনসাধারণের প্রয়োজন বিবেচনা করে করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের সময় দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

গ্রাহকদের হিসাবে সব ধরনের জমা এবং উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট, পে অর্ডার ইস্যু ও জমা, ট্রেজারি, চালান গ্রহণ, সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা, অনুদান, বিতরণ, রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, অভ্যন্তরীণ ও অন্তঃসত্ত্বা স্থানান্তর, এনআবি বন্ডে এবং বিভিন্ন প্রকার জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেটের মেয়াদপূর্তিতে নগদায়ন ও কুপনের অর্থ পরিশোধ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইউটিলিটি বিল গ্রহণসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

সমুদ্র, স্থল, বিমান বন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, বুথসমুহ সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর/কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি এটিএম বুথগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা-স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত