সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
তৈরি পোশাকের পর রপ্তানির দ্বিতীয় প্রধান খাত হোম টেক্সটাইলেও মন্দার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ক্রয়াদেশ কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সেখানে পণ্যের চাহিদা কম থাকায় ক্রেতারা ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিতে শুরু করেছেন। রপ্তানিকারকদের মতে, এই মন্দাভাব আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, রপ্তানি আয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা হোম টেক্সটাইলের দখলে আছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। গত অর্থবছরে এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৩ শতাংশ।
ক্রয়াদেশ কমার ধাক্কা লাগছে বলে জানিয়েছেন হোম টেক্সটাইল রপ্তানির অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান নোমান টেরি টাওয়েলের কর্মকর্তারা। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১২০ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ‘ইউরোপে রপ্তানি কমার কারণে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে আমরা ক্রয়াদেশ পেয়েছি ৯ মিলিয়ন ডলারের। কিন্তু এই সময়ে ইউরোপে ক্রিসমাস ও শীতের কারণে আমাদের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ মিলিয়ন ডলার।’ তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আমাদের হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ইউরোপের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় লোকজন কাপড়ের পেছনে ব্যয় কমিয়ে দিয়ে এখন খাদ্যপণ্যে টাকা খরচ করছে। এর প্রভাব পড়েছে আমাদের হোম টেক্সটাইল খাতে। সেপ্টেম্বরে এখন পর্যন্ত যে বাজার পরিস্থিতি, তাতে আমাদের ক্রয়াদেশ কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি।’
বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএলএমইএ) তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ ২০২১-২২ অর্থবছরে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি করেছে ১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারের। বর্তমানে হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে জড়িত আছে ৫০টির মতো কারখানা।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ড. মঞ্জুর হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতি ও ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষ ননফুড পণ্যে বেশি টাকা খরচ করতে চাইছে না। তা ছাড়া বিশ্বপরিস্থিতির অনিশ্চয়তার কারণে মানুষ এখন সঞ্চয়ের দিকে জোর দিচ্ছে। ফলে পোশাক ও হোম টেক্সটাইল খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিটিটিএলএমইএর চেয়ারম্যান এম শাহাদাৎ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হোম টেক্সটাইল খাতে ক্রয়াদেশ কমার সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের ক্রয়াদেশ কমতে শুরু করেছে। অনেক ক্রেতা নতুন ক্রয়াদেশ দেওয়া বন্ধ রেখেছে।’
২০২২-২৩ অর্থবছরে বিটিটিএলএমইএ হোম টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলেও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা অসম্ভব বলে মনে করেন এম শাহাদাৎ হোসেন।
বিটিটিএলএমইএর মতে, বাংলাদেশ বিশ্বের ৮২টি দেশে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি করে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপ হচ্ছে রপ্তানির প্রধান গন্তব্য।
বাংলাদেশ মূলত মধ্যম ও কম দামের পণ্য রপ্তানি করে থাকে। এই রপ্তানি পণ্যের মধ্যে আছে বিছানার চাদর, বালিশ, বালিশের কভার, টেবিল ক্লথ, পর্দা, ফ্লোরম্যাট, কার্পেট, গালিচা, ফার্নিচারে ব্যবহার করা ফেব্রিকস, তোশক, পাপোশ, নকশিকাঁথা, কমফোর্টার, বাথরুম টাওয়েলসহ কিছু রান্নাঘর সাজানোর সামগ্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের হোম টেক্সটাইল রপ্তানির শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে নোমান টেরি টাওয়েল মিলস লিমিটেড, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড, এসিএস টেক্সটাইল, শাহাব ফেব্রিকস লিমিটেড, সাদ মুসা গ্রুপ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ক্ল্যাসিক্যাল হোমটেক্স ও এসিএস টেক্সটাইলস।
হোম টেক্সটাইল পণ্যের মধ্যে ৪০ শতাংশ টাওয়েল ও ৫০ শতাংশ বেডিং আর বাকি ১০ শতাংশ রান্নাঘর ও ঘর সাজানোর অন্যান্য পণ্য।
তৈরি পোশাকের পর রপ্তানির দ্বিতীয় প্রধান খাত হোম টেক্সটাইলেও মন্দার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ক্রয়াদেশ কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সেখানে পণ্যের চাহিদা কম থাকায় ক্রেতারা ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিতে শুরু করেছেন। রপ্তানিকারকদের মতে, এই মন্দাভাব আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, রপ্তানি আয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা হোম টেক্সটাইলের দখলে আছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। গত অর্থবছরে এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৩ শতাংশ।
ক্রয়াদেশ কমার ধাক্কা লাগছে বলে জানিয়েছেন হোম টেক্সটাইল রপ্তানির অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান নোমান টেরি টাওয়েলের কর্মকর্তারা। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১২০ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ‘ইউরোপে রপ্তানি কমার কারণে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে আমরা ক্রয়াদেশ পেয়েছি ৯ মিলিয়ন ডলারের। কিন্তু এই সময়ে ইউরোপে ক্রিসমাস ও শীতের কারণে আমাদের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ মিলিয়ন ডলার।’ তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আমাদের হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ইউরোপের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় লোকজন কাপড়ের পেছনে ব্যয় কমিয়ে দিয়ে এখন খাদ্যপণ্যে টাকা খরচ করছে। এর প্রভাব পড়েছে আমাদের হোম টেক্সটাইল খাতে। সেপ্টেম্বরে এখন পর্যন্ত যে বাজার পরিস্থিতি, তাতে আমাদের ক্রয়াদেশ কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি।’
বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএলএমইএ) তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ ২০২১-২২ অর্থবছরে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি করেছে ১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারের। বর্তমানে হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে জড়িত আছে ৫০টির মতো কারখানা।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ড. মঞ্জুর হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতি ও ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষ ননফুড পণ্যে বেশি টাকা খরচ করতে চাইছে না। তা ছাড়া বিশ্বপরিস্থিতির অনিশ্চয়তার কারণে মানুষ এখন সঞ্চয়ের দিকে জোর দিচ্ছে। ফলে পোশাক ও হোম টেক্সটাইল খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিটিটিএলএমইএর চেয়ারম্যান এম শাহাদাৎ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হোম টেক্সটাইল খাতে ক্রয়াদেশ কমার সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের ক্রয়াদেশ কমতে শুরু করেছে। অনেক ক্রেতা নতুন ক্রয়াদেশ দেওয়া বন্ধ রেখেছে।’
২০২২-২৩ অর্থবছরে বিটিটিএলএমইএ হোম টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলেও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা অসম্ভব বলে মনে করেন এম শাহাদাৎ হোসেন।
বিটিটিএলএমইএর মতে, বাংলাদেশ বিশ্বের ৮২টি দেশে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি করে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপ হচ্ছে রপ্তানির প্রধান গন্তব্য।
বাংলাদেশ মূলত মধ্যম ও কম দামের পণ্য রপ্তানি করে থাকে। এই রপ্তানি পণ্যের মধ্যে আছে বিছানার চাদর, বালিশ, বালিশের কভার, টেবিল ক্লথ, পর্দা, ফ্লোরম্যাট, কার্পেট, গালিচা, ফার্নিচারে ব্যবহার করা ফেব্রিকস, তোশক, পাপোশ, নকশিকাঁথা, কমফোর্টার, বাথরুম টাওয়েলসহ কিছু রান্নাঘর সাজানোর সামগ্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের হোম টেক্সটাইল রপ্তানির শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে নোমান টেরি টাওয়েল মিলস লিমিটেড, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড, এসিএস টেক্সটাইল, শাহাব ফেব্রিকস লিমিটেড, সাদ মুসা গ্রুপ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ক্ল্যাসিক্যাল হোমটেক্স ও এসিএস টেক্সটাইলস।
হোম টেক্সটাইল পণ্যের মধ্যে ৪০ শতাংশ টাওয়েল ও ৫০ শতাংশ বেডিং আর বাকি ১০ শতাংশ রান্নাঘর ও ঘর সাজানোর অন্যান্য পণ্য।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১২ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৩ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৩ ঘণ্টা আগে