নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বছরে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি (বাসমতি) চাল রপ্তানি করতে চায় খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে সুগন্ধি চালের রপ্তানিমূল্য ও রপ্তানির পরিমাণ নির্ধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এরই মধ্যে চাল রপ্তানির অনুমতি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
তথ্যমতে, ছয় মাসের মধ্যে এ–সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে রপ্তানিকারকদের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে চিঠিতে। এ ক্ষেত্রে সুগন্ধি চালের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য প্রতি কেজি ১ দশমিক ৬ মার্কিন ডলার নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে অংশীজনেরা চাল রপ্তানির পরিমাণ ৫০ হাজার টন ও প্রতি কেজির মূল্য ১ দশমিক ৩০ ডলার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সুগন্ধিসহ সব ধরনের চাল রপ্তানি বন্ধ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে। সেই প্রেক্ষাপটে তখন সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায়ও দেশের সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়।
গত ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত ৬ (খ) অনুযায়ী, সুগন্ধি চালের দেশীয় উৎপাদন, সরবরাহ ও চাহিদাকে বিবেচনা করে নন–বাসমতী চালের দেশীয় মূল্যের ২–৩ গুণ বেশি রপ্তানি মূল্যে যৌক্তিক পরিমাণ সুগন্ধি চাল রপ্তানির বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় এ সুপারিশ করেছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সে লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় সুগন্ধি চালের রপ্তানি মূল্য ও রপ্তানির পরিমাণ নির্ধারণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মাহবুবুর রহমান জানান, সুগন্ধি চালের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। তবে এর সঠিক চাহিদা ও ভোগ নিরূপণ করা জরুরি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক এবিএম রকিবুল হাসান জানান, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে আমন, আউশ ও বোরো—এ তিন মৌসুমে সুগন্ধি চাল উৎপন্ন হয়েছে মোট ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৮৪০ টন। ওই অর্থবছরে ৩ হাজার ২৫ দশমিক ৯২ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়েছিল। মানভেদে খোলা সুগন্ধি চালের বর্তমান বাজারদর ৯০–১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১৫০–১৬৫ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এসএইচএম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী জানান, ২০২১–২২ অর্থবছরে ৩৩ হাজার ৪০০ টন এবং ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৩৫ হাজার ৬০০ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে সুগন্ধি চাল রপ্তানির বিষয়ে বিভিন্ন রপ্তানিকারকদের ১৩৬টি আবেদন বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আবদুর রহিম খান বলেন, চাল রপ্তানির বিষয়টি অনুমোদনের কাজ এখনো প্রক্রিয়াধীন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া দরেই ২৫ হাজার টন চাল রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপ্রধান মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে সুগন্ধি চালের চাহিদা রয়েছে। দেশে উৎপাদিত সুগন্ধি চালের প্রধান ক্রেতা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২০২২–২৩ অর্থবছরে রপ্তানিকৃত সুগন্ধি চালের গড় মূল্য ১ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারের মতো ছিল।’ তিনি রপ্তানির সময়সীমা ন্যূনতম ছয় মাস করার বিষয়েও অভিমত দেন।
এদিকে রপ্তানির পরিমাণ ও মূল্য বাড়ানোর পরামর্শ এসেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক মো. ইকতাদুল হক এবং বাংলাদেশ চাল রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোহা. ইসহাকুল হোসাইন সুইট বছরে ৫০ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তাঁরা উভয়েই চালের রপ্তানিমূল্য প্রতি কেজি ১ দশমিক ৩০ মার্কিন ডলার নির্ধারণের পরামর্শও দেন।
বছরে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি (বাসমতি) চাল রপ্তানি করতে চায় খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে সুগন্ধি চালের রপ্তানিমূল্য ও রপ্তানির পরিমাণ নির্ধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এরই মধ্যে চাল রপ্তানির অনুমতি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
তথ্যমতে, ছয় মাসের মধ্যে এ–সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে রপ্তানিকারকদের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে চিঠিতে। এ ক্ষেত্রে সুগন্ধি চালের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য প্রতি কেজি ১ দশমিক ৬ মার্কিন ডলার নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে অংশীজনেরা চাল রপ্তানির পরিমাণ ৫০ হাজার টন ও প্রতি কেজির মূল্য ১ দশমিক ৩০ ডলার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সুগন্ধিসহ সব ধরনের চাল রপ্তানি বন্ধ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে। সেই প্রেক্ষাপটে তখন সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায়ও দেশের সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়।
গত ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত ৬ (খ) অনুযায়ী, সুগন্ধি চালের দেশীয় উৎপাদন, সরবরাহ ও চাহিদাকে বিবেচনা করে নন–বাসমতী চালের দেশীয় মূল্যের ২–৩ গুণ বেশি রপ্তানি মূল্যে যৌক্তিক পরিমাণ সুগন্ধি চাল রপ্তানির বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় এ সুপারিশ করেছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সে লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় সুগন্ধি চালের রপ্তানি মূল্য ও রপ্তানির পরিমাণ নির্ধারণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মাহবুবুর রহমান জানান, সুগন্ধি চালের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। তবে এর সঠিক চাহিদা ও ভোগ নিরূপণ করা জরুরি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক এবিএম রকিবুল হাসান জানান, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে আমন, আউশ ও বোরো—এ তিন মৌসুমে সুগন্ধি চাল উৎপন্ন হয়েছে মোট ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৮৪০ টন। ওই অর্থবছরে ৩ হাজার ২৫ দশমিক ৯২ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়েছিল। মানভেদে খোলা সুগন্ধি চালের বর্তমান বাজারদর ৯০–১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১৫০–১৬৫ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এসএইচএম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী জানান, ২০২১–২২ অর্থবছরে ৩৩ হাজার ৪০০ টন এবং ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৩৫ হাজার ৬০০ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে সুগন্ধি চাল রপ্তানির বিষয়ে বিভিন্ন রপ্তানিকারকদের ১৩৬টি আবেদন বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আবদুর রহিম খান বলেন, চাল রপ্তানির বিষয়টি অনুমোদনের কাজ এখনো প্রক্রিয়াধীন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া দরেই ২৫ হাজার টন চাল রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপ্রধান মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে সুগন্ধি চালের চাহিদা রয়েছে। দেশে উৎপাদিত সুগন্ধি চালের প্রধান ক্রেতা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২০২২–২৩ অর্থবছরে রপ্তানিকৃত সুগন্ধি চালের গড় মূল্য ১ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারের মতো ছিল।’ তিনি রপ্তানির সময়সীমা ন্যূনতম ছয় মাস করার বিষয়েও অভিমত দেন।
এদিকে রপ্তানির পরিমাণ ও মূল্য বাড়ানোর পরামর্শ এসেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক মো. ইকতাদুল হক এবং বাংলাদেশ চাল রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোহা. ইসহাকুল হোসাইন সুইট বছরে ৫০ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তাঁরা উভয়েই চালের রপ্তানিমূল্য প্রতি কেজি ১ দশমিক ৩০ মার্কিন ডলার নির্ধারণের পরামর্শও দেন।
সোনার দামের এই ঊর্ধ্বগতি দেখে বিভিন্ন ব্যাংক তাদের পূর্বাভাস পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে। ওসিবিসি ব্যাংকের বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় নিরাপদ বিনিয়োগ এবং মূল্যস্ফীতি থেকে সুরক্ষার জন্য সোনার চাহিদা আরও বাড়বে। তাঁরা মনে করেন, বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য নিয়ে
১০ ঘণ্টা আগেচীনের আবাসন খাতে বিনিয়োগ করা বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিপাকে পড়েছেন। ২০২১ সাল থেকে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বন্ডের সুদ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে চীনের আবাসন কোম্পানিগুলো। দীর্ঘ আলোচনার পরও বিনিয়োগকারীরা এখন পর্যন্ত মাত্র ০.৬% অর্থ ফেরত পেয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাজারে আস্থার সংকট
১ দিন আগেঈদ বাণিজ্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য যেমন একটি অপরিহার্য অংশ, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ঈদের আগের বাজারে বাণিজ্য যেমন তুঙ্গে পৌঁছায়, তেমনি এটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্রও তুলে ধরে। যদিও দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র এবং স্বল্প আয়ের মধ্যে তারা জীবন যাপন করে...
২ দিন আগেবাজারে নতুন টাকার সরবরাহ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক জটিল পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসংবলিত নতুন নোট ঈদের আগে ছাড়া হয়নি এবং ঈদের পরও তা বাজারে আসবে না।
২ দিন আগে