অনলাইন ডেস্ক
প্লাম্বার বা পানির মিস্ত্রি হিসেবে সৌদি আরবে যেতে চান ২৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ সোলায়মান। সৌদি আরব ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচির (এসভিপি) আওতায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি। এজন্য তাকে কোনো খরচ করতে হয়নি। এর জন্য খুশি তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোলায়মান বলেছেন, ‘এটা বড় স্বস্তির। কারণ এই সনদ অভিবাসনের ক্ষেত্রে বাড়তি মূল্য যোগ করবে। এই উদ্যোগের কারণে অনেক বাংলাদেশি সৌদি আরবে চাকরি নিতে উৎসাহিত হবে।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত এসভিপির আওতায় সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ১৫০টি কেন্দ্রে এসব কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে। সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে আরব নিউজের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়েল্ডিং, প্লাম্বিং, অটোমোবাইল, ইলেকট্রিশিয়ান ও এসি মেকানিক— প্রাথমিকভাবে এই পাঁচ খাতকে কেন্দ্র করে এসভিপি কর্মসূচি হাতে নেয় সৌদি আরব।
চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসভিপি নামে পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালুর ঘোষণা দিয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাঁচটি এসব খাতে কর্মীর দক্ষতা যাচাইয়ে সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা জানান।
পরে এসভিপির আওতায় নির্মাণ শ্রমিক, টাইলস মিস্ত্রী, গাড়ি মেরামতকারী ও গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের- অর্থাৎ আরও ৪ পেশার কর্মীদের এতে যুক্ত হয় বলে আরব নিউজ জানিয়েছে।
আর তাই সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী পাঠানোর বিষয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
সোলায়মানের মতো ভালো আয়ের আশায় সৌদি আরবে যেতে চান আনোয়ার হোসেন। তিনি ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বিনাখরচে সনদ পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ।
আরব নিউজকে আনোয়ার বলেন, ‘অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে এতে আমার উপকার হবে। দক্ষ কর্মী হিসেবে আমি এখন সৌদি আরবে আরও ভালো উপার্জন করতে পারব।’
আরব নিউজ বলছে, দক্ষতা যাচাই কর্মসূচিকে বাংলাদেশের শ্রমিকরা ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক বলে মনে করছেন। বাংলাদেশ শুধু সৌদি আরব নয়, অন্য দেশেও পাঠাতে দক্ষ কর্মী তৈরি করছে।
বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার পাশা আরব নিউজকে বলেন, ‘সৌদি আরবসহ অন্য চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে দক্ষ কর্মী বাহিনী তৈরি করছি আমরা। প্রায় ১৫০টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে সম্ভাব্য অভিবাসী কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে এবং দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ে আরও কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে।’
এদিকে ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মদক্ষতা বাড়াতে এবং কর্মীদের উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
দক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্নততর কাজের সুযোগ তৈরি করবে বিনাখরচের এই উদ্যোগ। শুধু সৌদি আরব নয়, উপসাগরীয় ‘বৃহত্তর বাজারে’ বাংলাদেশের জনশক্তিকে প্রতিযোগিতাসক্ষম করে গড়ে তুল এই উদ্যোগ। বিবৃতিতে বলা হয়, এই কর্মসূচির আওতায় দক্ষ কর্মীরা বিদেশে কাজ করুক বা ফিরে আসুক- এই প্রশিক্ষণ বাংলাদেশিদের ওপর এক ধরনের বিনিয়োগ।
বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের বেশিরভাগই সৌদি আরবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাস করছেন অভিবাসীদের প্রায় অর্ধেক, যার সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ বলে দূতাবাস জানায়।
সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের শীর্ষ উৎস ছিল সৌদি আরব। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একবছরে এদেশ থেকে অভিবাসী কর্মীরা ৩৮০ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।
প্লাম্বার বা পানির মিস্ত্রি হিসেবে সৌদি আরবে যেতে চান ২৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ সোলায়মান। সৌদি আরব ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচির (এসভিপি) আওতায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি। এজন্য তাকে কোনো খরচ করতে হয়নি। এর জন্য খুশি তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোলায়মান বলেছেন, ‘এটা বড় স্বস্তির। কারণ এই সনদ অভিবাসনের ক্ষেত্রে বাড়তি মূল্য যোগ করবে। এই উদ্যোগের কারণে অনেক বাংলাদেশি সৌদি আরবে চাকরি নিতে উৎসাহিত হবে।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত এসভিপির আওতায় সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ১৫০টি কেন্দ্রে এসব কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে। সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে আরব নিউজের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়েল্ডিং, প্লাম্বিং, অটোমোবাইল, ইলেকট্রিশিয়ান ও এসি মেকানিক— প্রাথমিকভাবে এই পাঁচ খাতকে কেন্দ্র করে এসভিপি কর্মসূচি হাতে নেয় সৌদি আরব।
চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসভিপি নামে পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালুর ঘোষণা দিয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাঁচটি এসব খাতে কর্মীর দক্ষতা যাচাইয়ে সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা জানান।
পরে এসভিপির আওতায় নির্মাণ শ্রমিক, টাইলস মিস্ত্রী, গাড়ি মেরামতকারী ও গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের- অর্থাৎ আরও ৪ পেশার কর্মীদের এতে যুক্ত হয় বলে আরব নিউজ জানিয়েছে।
আর তাই সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী পাঠানোর বিষয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
সোলায়মানের মতো ভালো আয়ের আশায় সৌদি আরবে যেতে চান আনোয়ার হোসেন। তিনি ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বিনাখরচে সনদ পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ।
আরব নিউজকে আনোয়ার বলেন, ‘অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে এতে আমার উপকার হবে। দক্ষ কর্মী হিসেবে আমি এখন সৌদি আরবে আরও ভালো উপার্জন করতে পারব।’
আরব নিউজ বলছে, দক্ষতা যাচাই কর্মসূচিকে বাংলাদেশের শ্রমিকরা ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক বলে মনে করছেন। বাংলাদেশ শুধু সৌদি আরব নয়, অন্য দেশেও পাঠাতে দক্ষ কর্মী তৈরি করছে।
বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার পাশা আরব নিউজকে বলেন, ‘সৌদি আরবসহ অন্য চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে দক্ষ কর্মী বাহিনী তৈরি করছি আমরা। প্রায় ১৫০টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে সম্ভাব্য অভিবাসী কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে এবং দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ে আরও কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে।’
এদিকে ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মদক্ষতা বাড়াতে এবং কর্মীদের উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
দক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্নততর কাজের সুযোগ তৈরি করবে বিনাখরচের এই উদ্যোগ। শুধু সৌদি আরব নয়, উপসাগরীয় ‘বৃহত্তর বাজারে’ বাংলাদেশের জনশক্তিকে প্রতিযোগিতাসক্ষম করে গড়ে তুল এই উদ্যোগ। বিবৃতিতে বলা হয়, এই কর্মসূচির আওতায় দক্ষ কর্মীরা বিদেশে কাজ করুক বা ফিরে আসুক- এই প্রশিক্ষণ বাংলাদেশিদের ওপর এক ধরনের বিনিয়োগ।
বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের বেশিরভাগই সৌদি আরবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাস করছেন অভিবাসীদের প্রায় অর্ধেক, যার সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ বলে দূতাবাস জানায়।
সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের শীর্ষ উৎস ছিল সৌদি আরব। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একবছরে এদেশ থেকে অভিবাসী কর্মীরা ৩৮০ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।
বেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৮ মিনিট আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
২ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে