হুন্ডির চেয়ে বেশি অর্থ পাচার ব্যবসায়: গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০১: ২২
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ২৫

হুন্ডির চেয়ে ব্যবসার আড়ালে কমপক্ষে ১০ গুণ বেশি অর্থ পাচার হয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, দুবাইতে ১৩ হাজার বাংলাদেশি কোম্পানি রয়েছে। এসব পাচারের অর্থে গড়া প্রতিষ্ঠান। একইভাবে পর্তুগালে আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠান গড়া হয়েছে। অর্থের উৎস কিন্তু পাচার। তিনি গতকাল সোমবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সলিমুল্লাহসহ ডেপুটি গভর্নররা। বৈঠকে ইআরফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বক্তব্য দেন।

গভর্নর বলেন, আগে প্রতি মাসে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে পাচার হতো। পরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে; কিন্তু এলসির পরিমাণ কমেনি। এ জন্য এলসি বিল ৮-৯ বিলিয়নের স্থলে ৪-৫ বিলিয়নের ঘরে নেমেছে। এতে কিন্তু সরবরাহ কমেনি। তবে ডলার বাড়লে এলসির শর্ত তুলে দেওয়া হবে।

ডলারের চাপ কমাতে দেশের অভ্যন্তরে আর একটি ডলারও বিনিয়োগ করা হবে না জানিয়ে গভর্নর বলেন, এরই মধ্যে সাড়ে ৭ বিলিয়নের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সাড়ে তিন বিলিয়ন করা হয়েছে। পায়রা বন্দরের ঋণ আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন ডলার আসবে। তখন রিজার্ভ বাড়বে। এ জন্য দেশের রিজার্ভ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

গভর্নর জানান, আইএমএফের ঋণ আগামী ডিসেম্বরে পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত