আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

কয়লা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়াতে চায় সরকার। বর্তমানে কয়লা আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আছে। সরকার এটি বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করতে চায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ থেকে এ রকম একটি প্রস্তাব শিগগির প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রমতে, জ্বালানি বিভাগ কয়লার আমদানি শুল্ক বাড়াতে চাইলেও জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে তা ১১ শতাংশ কমিয়ে ২২ শতাংশ করতে চায়। গ্যাসের ক্ষেত্রে বর্তমানে আমদানি শুল্ক ২২ শতাংশ। সব ধরনের জ্বালানির আমদানি শুল্ক একই রকম রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব ধরনের জ্বালানিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আমদানি শুল্ক আরোপ করার চিন্তা করছি আমরা। আমাদের এখানে ডাস্ট এনার্জি কয়লার ওপর মাত্র ৫ শতাংশ আবার জ্বালানি তেলের ওপর ৩৩ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এটির ন্যায্য সমন্বয় দরকার।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিতে ৩০টি শর্ত দিয়েছিল। আইএমএফের একটি শর্ত মেনে সরকার ইতিমধ্যে জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছে।
উল্টো জ্বালানি তেল থেকে সরকার ৩৩ শতাংশ শুল্ক নিচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বিদ্যুতের দামও এরই মধ্যে বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার বছরে অন্তত ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এখন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, ভর্তুকি থাকবে না। এর জন্য বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এমন পরিস্থিতিতে কয়লার আমদানি করা শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করা হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বাড়বে ১৭ শতাংশ। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম ভবিষ্যতে বেশি বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ফার্নেস তেল ও ডিজেলের আমদানি শুল্ক গড়ে ৩৪ শতাংশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির ওপর এটি সর্বোচ্চ শুল্ক। এ কারণে জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচও অনেক বেশি পড়ে। অন্যদিকে পরিবেশের জন্য বেশি ক্ষতিকর কয়লার আমদানি শুল্ক মাত্র ৫ শতাংশ। এর ফলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয় কম। কিন্তু কয়লার আমদানি শুল্ক বাড়লে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয়ও বাড়বে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে সরকারের রাজস্ব ২২ শতাংশ। সরকার এই রাজস্বকেই আদর্শ হিসেবে ধরে অন্যান্য জ্বালানির আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করতে চাইছে। সে ক্ষেত্রে সব ধরনের জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হতে পারে। তাতে জ্বালানির আমদানি ব্যয় গড়ে ১১ শতাংশ কমবে। ফলে জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও একই হারে কমার কথা। কিন্তু ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম কমবে কি না, সেটি স্পষ্ট নয়।
বাড়বে বিদ্যুতের দাম
দেশে ও দেশের বাইরে (আমদানি করা) বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ২৭ হাজার ১৬২ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানি করা হয় ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। দেশের স্থাপিত বিদ্যুতের ৪৭ দশমিক ৯৭ শতাংশই অর্থাৎ ১২ হাজার ২১৬ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। গ্যাসের অভাবে অধিকাংশ সময় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়। আর দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতা ৬ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট; যা মোট বিদ্যুতের ২৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। কম দাম হওয়ার কারণে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অধিকাংশ সময় পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো হয়। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে তা সমন্বয় করবে সরকার।
অন্যদিকে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতা ৬ হাজার ৪৩৩ মেগাওয়াট, যা মোট বিদ্যুতের ২৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আকারে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিমাণ কয়লার প্রায় সমান হলেও এর বড় অংশ সারা বছর বন্ধ রাখা হয়। কারণ, রাজস্ব ছাড়াও জ্বালানি তেলের দাম কয়লার চেয়ে অনেক বেশি। সে কারণে ফার্নেস তেলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ২০ টাকার বেশি আর ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের দাম ৩৫ টাকার ওপরে।
জ্বালানি তেলের দাম কি কমবে
সব ধরনের জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হলে জ্বালানি আমদানির ব্যয় গড়ে ১১ শতাংশ কমবে। জ্বালানি তেলের দাম ইদানীং সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে নির্ধারণ করছে। জ্বালানি তেলের দাম ১১ শতাংশ কমলে সেই দাম ভোক্তাপর্যায় কমবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
জ্বালানি বিভাগের নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত বেসরকারি জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকেরা সরকারের ওপর চাপ রেখেছে জ্বালানি তেলের রাজস্ব কমাতে। কারণ, জ্বালানি তেলের দাম বেশি থাকায় সরকার জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখে। বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবসায়ীদের দাবি, জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক কমানো হলে জ্বালানি তেলের দাম কমবে, সে ক্ষেত্রে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও বেশি সময় চালু রাখা হবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ৭ বছরে ৪৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা লাভ করেছে জ্বালানি তেল বেচে। সরকারের রাজস্ব দেওয়ার পর বিপিসির নিট মুনাফা ছিল ৩৬ হাজার ৭৪ কোটি টাকা। ওই সময়ে ৭ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা কর দিয়েছে বিপিসি। এ ছাড়া বিপিসি সরকারের কোষাগারে ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার ডিজেলের দাম লিটারে ৫ টাকা বাড়ালে বাসভাড়া যে হারে বাড়ে, ডিজেলের দাম ১০ টাকা কমালে সেই হারে বাসভাড়া কমবে না। ফলে এই লাভ কিন্তু শেষ পর্যন্ত মালিক সিন্ডেকেটের পকেটে যায়।

কয়লা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়াতে চায় সরকার। বর্তমানে কয়লা আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আছে। সরকার এটি বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করতে চায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ থেকে এ রকম একটি প্রস্তাব শিগগির প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রমতে, জ্বালানি বিভাগ কয়লার আমদানি শুল্ক বাড়াতে চাইলেও জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে তা ১১ শতাংশ কমিয়ে ২২ শতাংশ করতে চায়। গ্যাসের ক্ষেত্রে বর্তমানে আমদানি শুল্ক ২২ শতাংশ। সব ধরনের জ্বালানির আমদানি শুল্ক একই রকম রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব ধরনের জ্বালানিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আমদানি শুল্ক আরোপ করার চিন্তা করছি আমরা। আমাদের এখানে ডাস্ট এনার্জি কয়লার ওপর মাত্র ৫ শতাংশ আবার জ্বালানি তেলের ওপর ৩৩ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এটির ন্যায্য সমন্বয় দরকার।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিতে ৩০টি শর্ত দিয়েছিল। আইএমএফের একটি শর্ত মেনে সরকার ইতিমধ্যে জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছে।
উল্টো জ্বালানি তেল থেকে সরকার ৩৩ শতাংশ শুল্ক নিচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বিদ্যুতের দামও এরই মধ্যে বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার বছরে অন্তত ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এখন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, ভর্তুকি থাকবে না। এর জন্য বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এমন পরিস্থিতিতে কয়লার আমদানি করা শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করা হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বাড়বে ১৭ শতাংশ। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম ভবিষ্যতে বেশি বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ফার্নেস তেল ও ডিজেলের আমদানি শুল্ক গড়ে ৩৪ শতাংশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির ওপর এটি সর্বোচ্চ শুল্ক। এ কারণে জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচও অনেক বেশি পড়ে। অন্যদিকে পরিবেশের জন্য বেশি ক্ষতিকর কয়লার আমদানি শুল্ক মাত্র ৫ শতাংশ। এর ফলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয় কম। কিন্তু কয়লার আমদানি শুল্ক বাড়লে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয়ও বাড়বে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে সরকারের রাজস্ব ২২ শতাংশ। সরকার এই রাজস্বকেই আদর্শ হিসেবে ধরে অন্যান্য জ্বালানির আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করতে চাইছে। সে ক্ষেত্রে সব ধরনের জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হতে পারে। তাতে জ্বালানির আমদানি ব্যয় গড়ে ১১ শতাংশ কমবে। ফলে জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও একই হারে কমার কথা। কিন্তু ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম কমবে কি না, সেটি স্পষ্ট নয়।
বাড়বে বিদ্যুতের দাম
দেশে ও দেশের বাইরে (আমদানি করা) বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ২৭ হাজার ১৬২ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানি করা হয় ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। দেশের স্থাপিত বিদ্যুতের ৪৭ দশমিক ৯৭ শতাংশই অর্থাৎ ১২ হাজার ২১৬ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। গ্যাসের অভাবে অধিকাংশ সময় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়। আর দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতা ৬ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট; যা মোট বিদ্যুতের ২৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। কম দাম হওয়ার কারণে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অধিকাংশ সময় পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো হয়। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে তা সমন্বয় করবে সরকার।
অন্যদিকে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতা ৬ হাজার ৪৩৩ মেগাওয়াট, যা মোট বিদ্যুতের ২৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আকারে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিমাণ কয়লার প্রায় সমান হলেও এর বড় অংশ সারা বছর বন্ধ রাখা হয়। কারণ, রাজস্ব ছাড়াও জ্বালানি তেলের দাম কয়লার চেয়ে অনেক বেশি। সে কারণে ফার্নেস তেলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ২০ টাকার বেশি আর ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের দাম ৩৫ টাকার ওপরে।
জ্বালানি তেলের দাম কি কমবে
সব ধরনের জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হলে জ্বালানি আমদানির ব্যয় গড়ে ১১ শতাংশ কমবে। জ্বালানি তেলের দাম ইদানীং সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে নির্ধারণ করছে। জ্বালানি তেলের দাম ১১ শতাংশ কমলে সেই দাম ভোক্তাপর্যায় কমবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
জ্বালানি বিভাগের নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত বেসরকারি জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকেরা সরকারের ওপর চাপ রেখেছে জ্বালানি তেলের রাজস্ব কমাতে। কারণ, জ্বালানি তেলের দাম বেশি থাকায় সরকার জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখে। বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবসায়ীদের দাবি, জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক কমানো হলে জ্বালানি তেলের দাম কমবে, সে ক্ষেত্রে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও বেশি সময় চালু রাখা হবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ৭ বছরে ৪৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা লাভ করেছে জ্বালানি তেল বেচে। সরকারের রাজস্ব দেওয়ার পর বিপিসির নিট মুনাফা ছিল ৩৬ হাজার ৭৪ কোটি টাকা। ওই সময়ে ৭ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা কর দিয়েছে বিপিসি। এ ছাড়া বিপিসি সরকারের কোষাগারে ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার ডিজেলের দাম লিটারে ৫ টাকা বাড়ালে বাসভাড়া যে হারে বাড়ে, ডিজেলের দাম ১০ টাকা কমালে সেই হারে বাসভাড়া কমবে না। ফলে এই লাভ কিন্তু শেষ পর্যন্ত মালিক সিন্ডেকেটের পকেটে যায়।
আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

কয়লা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়াতে চায় সরকার। বর্তমানে কয়লা আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আছে। সরকার এটি বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করতে চায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ থেকে এ রকম একটি প্রস্তাব শিগগির প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রমতে, জ্বালানি বিভাগ কয়লার আমদানি শুল্ক বাড়াতে চাইলেও জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে তা ১১ শতাংশ কমিয়ে ২২ শতাংশ করতে চায়। গ্যাসের ক্ষেত্রে বর্তমানে আমদানি শুল্ক ২২ শতাংশ। সব ধরনের জ্বালানির আমদানি শুল্ক একই রকম রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব ধরনের জ্বালানিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আমদানি শুল্ক আরোপ করার চিন্তা করছি আমরা। আমাদের এখানে ডাস্ট এনার্জি কয়লার ওপর মাত্র ৫ শতাংশ আবার জ্বালানি তেলের ওপর ৩৩ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এটির ন্যায্য সমন্বয় দরকার।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিতে ৩০টি শর্ত দিয়েছিল। আইএমএফের একটি শর্ত মেনে সরকার ইতিমধ্যে জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছে।
উল্টো জ্বালানি তেল থেকে সরকার ৩৩ শতাংশ শুল্ক নিচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বিদ্যুতের দামও এরই মধ্যে বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার বছরে অন্তত ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এখন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, ভর্তুকি থাকবে না। এর জন্য বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এমন পরিস্থিতিতে কয়লার আমদানি করা শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করা হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বাড়বে ১৭ শতাংশ। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম ভবিষ্যতে বেশি বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ফার্নেস তেল ও ডিজেলের আমদানি শুল্ক গড়ে ৩৪ শতাংশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির ওপর এটি সর্বোচ্চ শুল্ক। এ কারণে জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচও অনেক বেশি পড়ে। অন্যদিকে পরিবেশের জন্য বেশি ক্ষতিকর কয়লার আমদানি শুল্ক মাত্র ৫ শতাংশ। এর ফলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয় কম। কিন্তু কয়লার আমদানি শুল্ক বাড়লে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয়ও বাড়বে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে সরকারের রাজস্ব ২২ শতাংশ। সরকার এই রাজস্বকেই আদর্শ হিসেবে ধরে অন্যান্য জ্বালানির আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করতে চাইছে। সে ক্ষেত্রে সব ধরনের জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হতে পারে। তাতে জ্বালানির আমদানি ব্যয় গড়ে ১১ শতাংশ কমবে। ফলে জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও একই হারে কমার কথা। কিন্তু ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম কমবে কি না, সেটি স্পষ্ট নয়।
বাড়বে বিদ্যুতের দাম
দেশে ও দেশের বাইরে (আমদানি করা) বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ২৭ হাজার ১৬২ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানি করা হয় ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। দেশের স্থাপিত বিদ্যুতের ৪৭ দশমিক ৯৭ শতাংশই অর্থাৎ ১২ হাজার ২১৬ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। গ্যাসের অভাবে অধিকাংশ সময় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়। আর দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতা ৬ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট; যা মোট বিদ্যুতের ২৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। কম দাম হওয়ার কারণে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অধিকাংশ সময় পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো হয়। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে তা সমন্বয় করবে সরকার।
অন্যদিকে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতা ৬ হাজার ৪৩৩ মেগাওয়াট, যা মোট বিদ্যুতের ২৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আকারে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিমাণ কয়লার প্রায় সমান হলেও এর বড় অংশ সারা বছর বন্ধ রাখা হয়। কারণ, রাজস্ব ছাড়াও জ্বালানি তেলের দাম কয়লার চেয়ে অনেক বেশি। সে কারণে ফার্নেস তেলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ২০ টাকার বেশি আর ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের দাম ৩৫ টাকার ওপরে।
জ্বালানি তেলের দাম কি কমবে
সব ধরনের জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হলে জ্বালানি আমদানির ব্যয় গড়ে ১১ শতাংশ কমবে। জ্বালানি তেলের দাম ইদানীং সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে নির্ধারণ করছে। জ্বালানি তেলের দাম ১১ শতাংশ কমলে সেই দাম ভোক্তাপর্যায় কমবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
জ্বালানি বিভাগের নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত বেসরকারি জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকেরা সরকারের ওপর চাপ রেখেছে জ্বালানি তেলের রাজস্ব কমাতে। কারণ, জ্বালানি তেলের দাম বেশি থাকায় সরকার জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখে। বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবসায়ীদের দাবি, জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক কমানো হলে জ্বালানি তেলের দাম কমবে, সে ক্ষেত্রে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও বেশি সময় চালু রাখা হবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ৭ বছরে ৪৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা লাভ করেছে জ্বালানি তেল বেচে। সরকারের রাজস্ব দেওয়ার পর বিপিসির নিট মুনাফা ছিল ৩৬ হাজার ৭৪ কোটি টাকা। ওই সময়ে ৭ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা কর দিয়েছে বিপিসি। এ ছাড়া বিপিসি সরকারের কোষাগারে ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার ডিজেলের দাম লিটারে ৫ টাকা বাড়ালে বাসভাড়া যে হারে বাড়ে, ডিজেলের দাম ১০ টাকা কমালে সেই হারে বাসভাড়া কমবে না। ফলে এই লাভ কিন্তু শেষ পর্যন্ত মালিক সিন্ডেকেটের পকেটে যায়।

কয়লা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়াতে চায় সরকার। বর্তমানে কয়লা আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আছে। সরকার এটি বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করতে চায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ থেকে এ রকম একটি প্রস্তাব শিগগির প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রমতে, জ্বালানি বিভাগ কয়লার আমদানি শুল্ক বাড়াতে চাইলেও জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে তা ১১ শতাংশ কমিয়ে ২২ শতাংশ করতে চায়। গ্যাসের ক্ষেত্রে বর্তমানে আমদানি শুল্ক ২২ শতাংশ। সব ধরনের জ্বালানির আমদানি শুল্ক একই রকম রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব ধরনের জ্বালানিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আমদানি শুল্ক আরোপ করার চিন্তা করছি আমরা। আমাদের এখানে ডাস্ট এনার্জি কয়লার ওপর মাত্র ৫ শতাংশ আবার জ্বালানি তেলের ওপর ৩৩ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এটির ন্যায্য সমন্বয় দরকার।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিতে ৩০টি শর্ত দিয়েছিল। আইএমএফের একটি শর্ত মেনে সরকার ইতিমধ্যে জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছে।
উল্টো জ্বালানি তেল থেকে সরকার ৩৩ শতাংশ শুল্ক নিচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বিদ্যুতের দামও এরই মধ্যে বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার বছরে অন্তত ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এখন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, ভর্তুকি থাকবে না। এর জন্য বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এমন পরিস্থিতিতে কয়লার আমদানি করা শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করা হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বাড়বে ১৭ শতাংশ। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম ভবিষ্যতে বেশি বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ফার্নেস তেল ও ডিজেলের আমদানি শুল্ক গড়ে ৩৪ শতাংশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির ওপর এটি সর্বোচ্চ শুল্ক। এ কারণে জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচও অনেক বেশি পড়ে। অন্যদিকে পরিবেশের জন্য বেশি ক্ষতিকর কয়লার আমদানি শুল্ক মাত্র ৫ শতাংশ। এর ফলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয় কম। কিন্তু কয়লার আমদানি শুল্ক বাড়লে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয়ও বাড়বে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে সরকারের রাজস্ব ২২ শতাংশ। সরকার এই রাজস্বকেই আদর্শ হিসেবে ধরে অন্যান্য জ্বালানির আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করতে চাইছে। সে ক্ষেত্রে সব ধরনের জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হতে পারে। তাতে জ্বালানির আমদানি ব্যয় গড়ে ১১ শতাংশ কমবে। ফলে জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও একই হারে কমার কথা। কিন্তু ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম কমবে কি না, সেটি স্পষ্ট নয়।
বাড়বে বিদ্যুতের দাম
দেশে ও দেশের বাইরে (আমদানি করা) বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ২৭ হাজার ১৬২ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানি করা হয় ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। দেশের স্থাপিত বিদ্যুতের ৪৭ দশমিক ৯৭ শতাংশই অর্থাৎ ১২ হাজার ২১৬ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। গ্যাসের অভাবে অধিকাংশ সময় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়। আর দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতা ৬ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট; যা মোট বিদ্যুতের ২৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। কম দাম হওয়ার কারণে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অধিকাংশ সময় পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো হয়। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে তা সমন্বয় করবে সরকার।
অন্যদিকে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতা ৬ হাজার ৪৩৩ মেগাওয়াট, যা মোট বিদ্যুতের ২৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আকারে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিমাণ কয়লার প্রায় সমান হলেও এর বড় অংশ সারা বছর বন্ধ রাখা হয়। কারণ, রাজস্ব ছাড়াও জ্বালানি তেলের দাম কয়লার চেয়ে অনেক বেশি। সে কারণে ফার্নেস তেলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ২০ টাকার বেশি আর ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের দাম ৩৫ টাকার ওপরে।
জ্বালানি তেলের দাম কি কমবে
সব ধরনের জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হলে জ্বালানি আমদানির ব্যয় গড়ে ১১ শতাংশ কমবে। জ্বালানি তেলের দাম ইদানীং সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে নির্ধারণ করছে। জ্বালানি তেলের দাম ১১ শতাংশ কমলে সেই দাম ভোক্তাপর্যায় কমবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
জ্বালানি বিভাগের নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত বেসরকারি জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকেরা সরকারের ওপর চাপ রেখেছে জ্বালানি তেলের রাজস্ব কমাতে। কারণ, জ্বালানি তেলের দাম বেশি থাকায় সরকার জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখে। বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবসায়ীদের দাবি, জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক কমানো হলে জ্বালানি তেলের দাম কমবে, সে ক্ষেত্রে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও বেশি সময় চালু রাখা হবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ৭ বছরে ৪৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা লাভ করেছে জ্বালানি তেল বেচে। সরকারের রাজস্ব দেওয়ার পর বিপিসির নিট মুনাফা ছিল ৩৬ হাজার ৭৪ কোটি টাকা। ওই সময়ে ৭ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা কর দিয়েছে বিপিসি। এ ছাড়া বিপিসি সরকারের কোষাগারে ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার ডিজেলের দাম লিটারে ৫ টাকা বাড়ালে বাসভাড়া যে হারে বাড়ে, ডিজেলের দাম ১০ টাকা কমালে সেই হারে বাসভাড়া কমবে না। ফলে এই লাভ কিন্তু শেষ পর্যন্ত মালিক সিন্ডেকেটের পকেটে যায়।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

কয়লা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়াতে চায় সরকার। বর্তমানে কয়লা আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আছে। সরকার এটি বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করতে চায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ থেকে এ রকম একটি প্রস্তাব শিগগির প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
১৬ মে ২০২৪
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

কয়লা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়াতে চায় সরকার। বর্তমানে কয়লা আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আছে। সরকার এটি বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করতে চায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ থেকে এ রকম একটি প্রস্তাব শিগগির প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
১৬ মে ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

কয়লা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়াতে চায় সরকার। বর্তমানে কয়লা আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আছে। সরকার এটি বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করতে চায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ থেকে এ রকম একটি প্রস্তাব শিগগির প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
১৬ মে ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

কয়লা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়াতে চায় সরকার। বর্তমানে কয়লা আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আছে। সরকার এটি বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করতে চায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ থেকে এ রকম একটি প্রস্তাব শিগগির প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
১৬ মে ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে