নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিজের লেখা কবিতার প্রচ্ছদে ব্যবহারের অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ পেতে যাওয়া মো. আব্দুর রহিমের নিয়োগ ঝুলে গেছে। যদিও মাসিক জনপ্রশাসন পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর ‘নিঃশেষে সৃষ্টি’ এবং ‘বৃক্ষের শিক্ষা’ কবিতার প্রচ্ছদ বিকৃতির বিষয়ে ভুল স্বীকার করেছেন সাময়িকীটির সম্পাদক এবং প্রকাশক নঈম মাশরেকী। এর আগে গত সোমবার রাষ্ট্রমালিকানাধীন ৬ এবং ৪ বিশেষায়িত মিলিয়ে ১০ ব্যাংকে এমডি নিয়োগ দেয় সরকার। আব্দুর রহিম ছাড়া বাকি ৯ ব্যাংকের এমডি ইতিমধ্যে যোগদান করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রচ্ছদে শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত ‘নিঃশেষে সৃষ্টি’ এবং ‘বৃক্ষের শিক্ষা’ কবিতা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়ে আব্দুর রহিমকে আওয়ামী লীগার ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করছে একটি মহল। ভিত্তিহীন অভিযোগটি তদন্ত এবং যাচাই ছাড়াই আমলে নিয়ে তাঁর নিয়োগ বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। অথচ এমডি নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটি তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি বলেই নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। তাঁর দীর্ঘ ২৬ বছরের ক্যারিয়ারে আওয়ামীপন্থীদের দ্বারা বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হওয়া কবিতার প্রচ্ছদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাসিক জনপ্রশাসনের প্রকাশক এবং সম্পাদক নঈম মাশরেকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত ২০২২ সালের আগস্ট সংখ্যায় “নিঃশেষে সৃষ্টি” এবং “বৃক্ষের শিক্ষা” কবিতা প্রকাশিত হয়। কবির লেখায় কোনো প্রচ্ছদ ছিল না। তবে আগস্ট সংখ্যা হওয়ায় একটি প্রচ্ছদ দরকার ছিল। তখন ভুলবশত শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রচ্ছদে যোগ করা হয়। মূলত কম্পিউটার অপারেটরই এ কাজটি করেন। তবে আব্দুর রহিম এ কাজের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু ছাপানো ভুল সংশোধনের সুযোগ নেই। এখন তিনি মামলা করলেও আমাদের ভুল স্বীকার ছাড়া কিছু করার নেই।’
আমার লেখা কবিতায় বিকৃত প্রচ্ছদ যুক্ত করা হয়েছে। এটা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। তবে একটা ঠুনকো বিষয়ে এমডি পদে নিয়োগ ঝুলিয়ে রাখা মেধাবী এবং যোগ্যদের জন্য অসম্মানের।মো. আব্দুর রহিম, সুপারিশকৃত এমডি, রূপালী ব্যাংক
জানা গেছে, আব্দুর রহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে বিএসসি সম্মান এবং এমএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে রূপালী ব্যাংকে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। পরে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব শেষে ২০২১ সালে ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপক পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পান। পরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং বেসিক ব্যাংকে সুনামের সঙ্গে ডিএমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ডিএমডি হিসেবে কর্মরত।
এ বিষয়ে মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমার লেখা কবিতায় বিকৃত প্রচ্ছদ যুক্ত করা হয়েছে। এটা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। তবে একটা ঠুনকো বিষয়ে এমডি পদে নিয়োগ ঝুলিয়ে রাখা মেধাবী এবং যোগ্যদের জন্য অসম্মানের। আমার বিষয়ে যাচাই কমিটি সব ইতিবাচক প্রমাণ পেয়েছে বলেই নিয়োগের সুপারিশ করেছে। নিয়োগ বিলম্বে আমি বিব্রত।’ তবে এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বদরে মুনির ফেরদৌস জানান, বিশেষ কারণে নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা দেশে ফিরলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিজের লেখা কবিতার প্রচ্ছদে ব্যবহারের অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ পেতে যাওয়া মো. আব্দুর রহিমের নিয়োগ ঝুলে গেছে। যদিও মাসিক জনপ্রশাসন পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর ‘নিঃশেষে সৃষ্টি’ এবং ‘বৃক্ষের শিক্ষা’ কবিতার প্রচ্ছদ বিকৃতির বিষয়ে ভুল স্বীকার করেছেন সাময়িকীটির সম্পাদক এবং প্রকাশক নঈম মাশরেকী। এর আগে গত সোমবার রাষ্ট্রমালিকানাধীন ৬ এবং ৪ বিশেষায়িত মিলিয়ে ১০ ব্যাংকে এমডি নিয়োগ দেয় সরকার। আব্দুর রহিম ছাড়া বাকি ৯ ব্যাংকের এমডি ইতিমধ্যে যোগদান করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রচ্ছদে শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত ‘নিঃশেষে সৃষ্টি’ এবং ‘বৃক্ষের শিক্ষা’ কবিতা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়ে আব্দুর রহিমকে আওয়ামী লীগার ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করছে একটি মহল। ভিত্তিহীন অভিযোগটি তদন্ত এবং যাচাই ছাড়াই আমলে নিয়ে তাঁর নিয়োগ বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। অথচ এমডি নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটি তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি বলেই নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। তাঁর দীর্ঘ ২৬ বছরের ক্যারিয়ারে আওয়ামীপন্থীদের দ্বারা বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হওয়া কবিতার প্রচ্ছদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাসিক জনপ্রশাসনের প্রকাশক এবং সম্পাদক নঈম মাশরেকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত ২০২২ সালের আগস্ট সংখ্যায় “নিঃশেষে সৃষ্টি” এবং “বৃক্ষের শিক্ষা” কবিতা প্রকাশিত হয়। কবির লেখায় কোনো প্রচ্ছদ ছিল না। তবে আগস্ট সংখ্যা হওয়ায় একটি প্রচ্ছদ দরকার ছিল। তখন ভুলবশত শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রচ্ছদে যোগ করা হয়। মূলত কম্পিউটার অপারেটরই এ কাজটি করেন। তবে আব্দুর রহিম এ কাজের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু ছাপানো ভুল সংশোধনের সুযোগ নেই। এখন তিনি মামলা করলেও আমাদের ভুল স্বীকার ছাড়া কিছু করার নেই।’
আমার লেখা কবিতায় বিকৃত প্রচ্ছদ যুক্ত করা হয়েছে। এটা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। তবে একটা ঠুনকো বিষয়ে এমডি পদে নিয়োগ ঝুলিয়ে রাখা মেধাবী এবং যোগ্যদের জন্য অসম্মানের।মো. আব্দুর রহিম, সুপারিশকৃত এমডি, রূপালী ব্যাংক
জানা গেছে, আব্দুর রহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে বিএসসি সম্মান এবং এমএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে রূপালী ব্যাংকে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। পরে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব শেষে ২০২১ সালে ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপক পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পান। পরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং বেসিক ব্যাংকে সুনামের সঙ্গে ডিএমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ডিএমডি হিসেবে কর্মরত।
এ বিষয়ে মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমার লেখা কবিতায় বিকৃত প্রচ্ছদ যুক্ত করা হয়েছে। এটা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। তবে একটা ঠুনকো বিষয়ে এমডি পদে নিয়োগ ঝুলিয়ে রাখা মেধাবী এবং যোগ্যদের জন্য অসম্মানের। আমার বিষয়ে যাচাই কমিটি সব ইতিবাচক প্রমাণ পেয়েছে বলেই নিয়োগের সুপারিশ করেছে। নিয়োগ বিলম্বে আমি বিব্রত।’ তবে এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বদরে মুনির ফেরদৌস জানান, বিশেষ কারণে নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা দেশে ফিরলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৯ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১০ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১০ ঘণ্টা আগে