আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
অনৈতিকভাবে কারসাজি। অব্যাহত দরপতন। টানা লোকসান। আরও লোকসানের ভয়-আতঙ্কে শেয়ার বিক্রির হিড়িক। তারল্যসংকট। নতুন বিনিয়োগে ঘাটতি। ভালো কোম্পানির অভাব এবং দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিপরীতে নামমাত্র মুনাফা। গত দেড় দশকে এসব হলো পুঁজিবাজারের দৈনন্দিন চিত্র। এরই মধ্যে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি। নতুন সরকার। নতুন কমিশন। নানামুখী উদ্যোগ। তবু সেই পতনের ধারায় ঘুরপাক খাচ্ছে পুঁজিবাজার। কিছুতেই ফিরছে না আস্থা। সব মিলিয়ে দিশেহারা বিনিয়োগকারীদের শনির দশা কাটছে না।
গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম দিনের লেনেদেনেও একই পরিস্থিতি। দিন শেষে পুঁজিবাজারে ১০০ পয়েন্টের মতো সূচক পতন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে টানা পাঁচ কর্মদিবস দরপতনের ধারায় প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এতেই শেষ নয়, পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৬ কর্মদিবসের মধ্যে ১৩ দিনই ঘটেছে দরপতন। এতে বাজার মূলধন কমেছে ৩১ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর সূচক কমেছে ৬০০ পয়েন্টের বেশি। নিয়মিত লেনদেনের সীমা সেই ৩০০ কোটি টাকার ঘরে।
আলোচনা রয়েছে, পুঁজিবাজারে সেই পতিত সরকারের কারসাজির হোতারা এখন সক্রিয় হয়েছে। যারা শত শত কোটি টাকা বাজার থেকে লুট করেছে। পুঁজিবাজার সংস্কারে বর্তমান কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ কারণে কারসাজি চক্রটি কমিশনের ওপর চাপ বাড়াতে শেয়ার বিক্রি বাড়িয়ে পুঁজিবাজারকে দরপতনে ফেলছে। যদিও পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ দাবির সঙ্গে একমত নন।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমস্যা অনেক পুরোনো, তাই সময় লাগবে। ভালো শেয়ার আনা হলে অবশ্যই বিনিয়োগকারী আসবে। বাজারকে কোনোভাবে ঠেকা দিয়ে তোলার চেষ্টা করা ঠিক হবে না। নিজস্ব প্রকৃতিতে চলতে দিতে হবে। মার্জিন কল চলে এসেছে, ট্রিগার সেল হচ্ছে। এটা রোধ করতে হবে। তারল্যের প্রবাহ বাড়াতে হবে।’
ডিএসইর তথ্য বলছে, ২৪ সেপ্টেম্বরে সূচক ছিল ৫ হাজার ৭৭৭ পয়েন্ট, যা গতকাল ঠেকেছে ৫ হাজার ১৬০ পয়েন্টে। এ সময়ে সূচক কমেছে ৬১৭ পয়েন্ট।
ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, যা গতকাল দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৬১৫ কোটি টাকায়।
টানা ১০ কর্মদিবস ৩০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হচ্ছে, এর মধ্যে ১৬ অক্টোবরে লেনদেন ২০০ কোটি টাকার ঘরে নামার নজিরও রয়েছে।
বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে কারণেই দরপতন হোক না কেন, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পরে দরপতন হলো, সেটা মেনে নিলাম। এরপর কিছুটা উত্থান হলেও এখন আবার সেই আগের মতো পতন। এবার তো পোর্টফোলিও ফাঁকা হওয়ার পথে। আমরা দিশেহারা হয়ে গেছি, কী করব, বুঝে উঠতে পারছি না।’
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজার পতনের পেছনে সামষ্টিক অর্থনীতির কিছু বিষয় দায়ী। উচ্চ সুদের হারের কারণে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ কমে এসেছে। তদুপরি আছে শেয়ার বিক্রির চাপ, তার চেয়েও বড় বিষয় হলো ক্রেতা নেই। অনেকে সাইডলাইনে আছেন, অপেক্ষা করছেন আরও কম দামে কেনার জন্য। তবে আশা করছি, দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার। কমিশন এর লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার প্রতিফলন দ্রুতই দেখা যাবে।’
অনৈতিকভাবে কারসাজি। অব্যাহত দরপতন। টানা লোকসান। আরও লোকসানের ভয়-আতঙ্কে শেয়ার বিক্রির হিড়িক। তারল্যসংকট। নতুন বিনিয়োগে ঘাটতি। ভালো কোম্পানির অভাব এবং দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিপরীতে নামমাত্র মুনাফা। গত দেড় দশকে এসব হলো পুঁজিবাজারের দৈনন্দিন চিত্র। এরই মধ্যে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি। নতুন সরকার। নতুন কমিশন। নানামুখী উদ্যোগ। তবু সেই পতনের ধারায় ঘুরপাক খাচ্ছে পুঁজিবাজার। কিছুতেই ফিরছে না আস্থা। সব মিলিয়ে দিশেহারা বিনিয়োগকারীদের শনির দশা কাটছে না।
গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম দিনের লেনেদেনেও একই পরিস্থিতি। দিন শেষে পুঁজিবাজারে ১০০ পয়েন্টের মতো সূচক পতন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে টানা পাঁচ কর্মদিবস দরপতনের ধারায় প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এতেই শেষ নয়, পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৬ কর্মদিবসের মধ্যে ১৩ দিনই ঘটেছে দরপতন। এতে বাজার মূলধন কমেছে ৩১ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর সূচক কমেছে ৬০০ পয়েন্টের বেশি। নিয়মিত লেনদেনের সীমা সেই ৩০০ কোটি টাকার ঘরে।
আলোচনা রয়েছে, পুঁজিবাজারে সেই পতিত সরকারের কারসাজির হোতারা এখন সক্রিয় হয়েছে। যারা শত শত কোটি টাকা বাজার থেকে লুট করেছে। পুঁজিবাজার সংস্কারে বর্তমান কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ কারণে কারসাজি চক্রটি কমিশনের ওপর চাপ বাড়াতে শেয়ার বিক্রি বাড়িয়ে পুঁজিবাজারকে দরপতনে ফেলছে। যদিও পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ দাবির সঙ্গে একমত নন।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমস্যা অনেক পুরোনো, তাই সময় লাগবে। ভালো শেয়ার আনা হলে অবশ্যই বিনিয়োগকারী আসবে। বাজারকে কোনোভাবে ঠেকা দিয়ে তোলার চেষ্টা করা ঠিক হবে না। নিজস্ব প্রকৃতিতে চলতে দিতে হবে। মার্জিন কল চলে এসেছে, ট্রিগার সেল হচ্ছে। এটা রোধ করতে হবে। তারল্যের প্রবাহ বাড়াতে হবে।’
ডিএসইর তথ্য বলছে, ২৪ সেপ্টেম্বরে সূচক ছিল ৫ হাজার ৭৭৭ পয়েন্ট, যা গতকাল ঠেকেছে ৫ হাজার ১৬০ পয়েন্টে। এ সময়ে সূচক কমেছে ৬১৭ পয়েন্ট।
ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, যা গতকাল দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৬১৫ কোটি টাকায়।
টানা ১০ কর্মদিবস ৩০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হচ্ছে, এর মধ্যে ১৬ অক্টোবরে লেনদেন ২০০ কোটি টাকার ঘরে নামার নজিরও রয়েছে।
বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে কারণেই দরপতন হোক না কেন, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পরে দরপতন হলো, সেটা মেনে নিলাম। এরপর কিছুটা উত্থান হলেও এখন আবার সেই আগের মতো পতন। এবার তো পোর্টফোলিও ফাঁকা হওয়ার পথে। আমরা দিশেহারা হয়ে গেছি, কী করব, বুঝে উঠতে পারছি না।’
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজার পতনের পেছনে সামষ্টিক অর্থনীতির কিছু বিষয় দায়ী। উচ্চ সুদের হারের কারণে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ কমে এসেছে। তদুপরি আছে শেয়ার বিক্রির চাপ, তার চেয়েও বড় বিষয় হলো ক্রেতা নেই। অনেকে সাইডলাইনে আছেন, অপেক্ষা করছেন আরও কম দামে কেনার জন্য। তবে আশা করছি, দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার। কমিশন এর লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার প্রতিফলন দ্রুতই দেখা যাবে।’
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য ব্যাপক হারে হ্রাস পাবে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব কেমন হবে? এটি ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদারীকরণ যুগের অবসান ঘটাবে নাকি...
১১ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার পর জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসত। সেসব পণ্যও বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের দুটি কিডনিই খেয়ে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
১৪ ঘণ্টা আগেঅক্টোবরে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, আর টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরুর পর ভারতে পোশাক রপ্তানির অর্ডার বেড়েছে বলে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে