
কানাডার ওপর শেষ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নেওয়া কানাডা প্রতিক্রিয়ায় এবার কী করতে যাচ্ছে সেদিকে চোখ সবার। এদিকে বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ প্রায় নিশ্চিতভাবেই একটি বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে কানাডার লড়াই যেভাবে এগিয়ে যেতে পারে—
১. মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক
মার্কিন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট রপ্তানির ১৭ শতাংশ যায় কানাডায়, অন্যদিকে কানাডার ৭৫ শতাংশেরও বেশি রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে যায়। এ অবস্থায় ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কানাডার অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১০ শতাংশ এবং স্টিলের ওপর ২৫ শতাংশের শুল্ক আরোপ করেছিলেন।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কানাডা বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিল। ফ্লোরিডার কমলার রস, টেনেসি ও কেনটাকির হুইস্কি ও বোরবনের ওপর শুল্ক বসানো হয়েছিল। অবশ্য এক বছর পর এই শুল্ক লড়াইয়ে ইতি টানে দুই দেশ।
কানাডার শীর্ষ কর্মকর্তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প আবারও শুল্ক আরোপ করলে, কানাডার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে সম্ভবত আবারও নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবে।
তবে মন্ট্রিয়লের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রভাষক এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে কানাডার দূতাবাসের সাবেক ফিন্যান্স কাউন্সেলর জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, ‘গতবারের মতো একই প্রভাব এবার পড়বে না।’
২. ‘ডলার-ফর-ডলার’ শুল্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম শুল্ক যুদ্ধে ডলার-ফর-ডলার শুল্ক কৌশল ব্যবহার করেছিল কানাডা। দেশটি মার্কিন অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের ওপর একই হারে শুল্ক আরোপ করেছিল এবং নিশ্চিত করেছিল, যে পরিমাণ মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বসানো হবে, তার মোট আর্থিক মূল্য যুক্তরাষ্ট্রের কানাডার রপ্তানির ওপর বসানো শুল্কের সমান হবে। সেই সময় এটির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬.৬ বিলিয়ন কানাডীয় ডলার।
এবার, ডলার-ফর-ডলার শুল্ক ব্যবহারের সম্ভাবনা আরও বড় পরিসরে হতে পারে। কানাডা এরই মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলারের সম্ভাব্য মার্কিন পণ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে ‘যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র কানাডার ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করে’। এই তালিকায় কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে দাঁতের ফ্লস ও লাগেজের মতো ভোগ্যপণ্যও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এটি আরও ১১০ বিলিয়ন কানাডীয় ডলারের অতিরিক্ত পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির দিকে যেতে পারে। তবে, ট্রাম্প যত বেশি ব্যাপকভাবে শুল্ক আরোপ করবেন, কানাডাও তত বেশি মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বসাতে পারে।
অর্থনীতিবিদ জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, মার্কিন শুল্কের ফলে কানাডা মন্দার মুখে পড়তে পারে। যদি কানাডা ডলার-ফর-ডলার শুল্কের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখায়, তবে এটি মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি করতে পারে। শেষ পর্যন্ত ‘স্ট্যাগফ্লেশন’ বা নিশ্চলতা-স্ফীতিতে পরিণত হতে পারে, যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি বেকারত্বও বেড়ে যায়।
৩. জ্বালানির ‘পারমাণবিক’ বিকল্প
কানাডার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদের একটি হলো জ্বালানি। মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (ইআইএ) তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির ৬০ শতাংশ কানাডা থেকে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো, বিশেষ করে, ভারমন্ট ও নিউইয়র্ক প্রতিবেশী কানাডীয় প্রদেশগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও ম্যানিটোবা রাজ্যগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ও মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
কানাডার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩০টি রাজ্য কিছু পরিমাণ বিদ্যুৎ কানাডা থেকে পায়। এছাড়াও, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী দেশ।
অন্টারিওর প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড প্রস্তাব দিয়েছেন, কানাডা যদি মার্কিন জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে এটি মার্কিনিদের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে জ্বালানির দাম বাড়লে তা সরাসরি পাম্পের দামে প্রভাব ফেলবে।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, ‘একমাত্র জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিনিদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারে জ্বালানির দাম দ্রুত কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’
৪. মার্কিন মদ প্রত্যাহার
অন্টারিওর প্রধানমন্ত্রী ফোর্ড বলেন, বিভিন্ন প্রদেশের প্রধানমন্ত্রীরা যদি রাজি হন, তাহলে আমেরিকার তৈরি মদ দোকানের শেলফ থেকে সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডা চাইলে এই মুহূর্তে শুল্ক আরোপ নিয়ে প্রতিশোধের পর্যায়ে নাও যেতে পারে। কয়েক সপ্তাহ ধরে কানাডার কর্মকর্তারা তাদের মার্কিন সহকর্মীদের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে বৈঠক করছেন, যাতে কোনো মার্কিন শুল্ক আরোপ এড়ানো যায়।
তবে গতকাল সোমবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্পষ্ট, যদি ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেন, আমরা প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, অটোয়া মার্কিন আমদানির ওপর ১৫৫ বিলিয়ন কানাডীয় ডলার মূল্যের পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে, যার প্রথম ধাপে ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শুল্ক অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। এই শুল্কের তালিকায় পাস্তা, পোশাক ও সুগন্ধির মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
কানাডা আরও সংকেত দিয়েছে, সম্ভাব্য শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য একটি প্রণোদনা কর্মসূচি চালু করা হতে পারে, যেমনটা করোনা মহামারির সময় করা হয়েছিল।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিশোধের অর্থনৈতিক খরচের কথা বিবেচনায় নিয়ে, কানাডার উচিত বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৈচিত্র্যময় করা এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা। জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, কানাডা এই শুল্কগুলোকে একটি সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে তাদের পণ্য অন্য বাজারে বিক্রি করতে পারে।
কানাডার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য নীতি নিয়ে কর্মরত পিটার ক্লার্ক মনে করেন, যে কোনো বাণিজ্য যুদ্ধে কানাডা তুলনামূলকভাবে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ধাক্কা খেতে পারে। এই বৈষম্যের কারণেই লক্ষ্যভিত্তিক শুল্ক আরোপ প্রথম এবং সবচেয়ে নিরাপদ পদক্ষেপ।
নির্দিষ্ট মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে নিজের নাগরিকদের ওপর বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধির চাপ সৃষ্টি না করেই কানাডা যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এই কৌশলের কারণেই কর্মকর্তারা ‘কানাডীয় পণ্য কিনুন’ প্রচারণাকে উৎসাহিত করছেন, যাতে প্রতিশোধমূলক শুল্কের প্রভাব কিছুটা কমানো যায়।
মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনাগুলোর অন্যতম প্রধান অংশ এই বাণিজ্য শুল্ক আরোপ। তিনি এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, চাকরি সুরক্ষা এবং কর রাজস্ব বৃদ্ধির একটি উপায় হিসেবে দেখেন। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি কানাডার অর্থনীতিতে ধ্বংসাত্মক তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে, পাশাপাশি মার্কিন বাজারেও উচ্চমূল্যের কারণ হতে পারে।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার ট্রাম্প রাজনৈতিকভাবে আগের মতো দুর্বল নন, কারণ তিনি হোয়াইট হাউসে তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না। তাই এবার তার পদক্ষেপগুলো তীব্র আঘাত হানতে পারে।

কানাডার ওপর শেষ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নেওয়া কানাডা প্রতিক্রিয়ায় এবার কী করতে যাচ্ছে সেদিকে চোখ সবার। এদিকে বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ প্রায় নিশ্চিতভাবেই একটি বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে কানাডার লড়াই যেভাবে এগিয়ে যেতে পারে—
১. মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক
মার্কিন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট রপ্তানির ১৭ শতাংশ যায় কানাডায়, অন্যদিকে কানাডার ৭৫ শতাংশেরও বেশি রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে যায়। এ অবস্থায় ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কানাডার অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১০ শতাংশ এবং স্টিলের ওপর ২৫ শতাংশের শুল্ক আরোপ করেছিলেন।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কানাডা বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিল। ফ্লোরিডার কমলার রস, টেনেসি ও কেনটাকির হুইস্কি ও বোরবনের ওপর শুল্ক বসানো হয়েছিল। অবশ্য এক বছর পর এই শুল্ক লড়াইয়ে ইতি টানে দুই দেশ।
কানাডার শীর্ষ কর্মকর্তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প আবারও শুল্ক আরোপ করলে, কানাডার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে সম্ভবত আবারও নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবে।
তবে মন্ট্রিয়লের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রভাষক এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে কানাডার দূতাবাসের সাবেক ফিন্যান্স কাউন্সেলর জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, ‘গতবারের মতো একই প্রভাব এবার পড়বে না।’
২. ‘ডলার-ফর-ডলার’ শুল্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম শুল্ক যুদ্ধে ডলার-ফর-ডলার শুল্ক কৌশল ব্যবহার করেছিল কানাডা। দেশটি মার্কিন অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের ওপর একই হারে শুল্ক আরোপ করেছিল এবং নিশ্চিত করেছিল, যে পরিমাণ মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বসানো হবে, তার মোট আর্থিক মূল্য যুক্তরাষ্ট্রের কানাডার রপ্তানির ওপর বসানো শুল্কের সমান হবে। সেই সময় এটির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬.৬ বিলিয়ন কানাডীয় ডলার।
এবার, ডলার-ফর-ডলার শুল্ক ব্যবহারের সম্ভাবনা আরও বড় পরিসরে হতে পারে। কানাডা এরই মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলারের সম্ভাব্য মার্কিন পণ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে ‘যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র কানাডার ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করে’। এই তালিকায় কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে দাঁতের ফ্লস ও লাগেজের মতো ভোগ্যপণ্যও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এটি আরও ১১০ বিলিয়ন কানাডীয় ডলারের অতিরিক্ত পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির দিকে যেতে পারে। তবে, ট্রাম্প যত বেশি ব্যাপকভাবে শুল্ক আরোপ করবেন, কানাডাও তত বেশি মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বসাতে পারে।
অর্থনীতিবিদ জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, মার্কিন শুল্কের ফলে কানাডা মন্দার মুখে পড়তে পারে। যদি কানাডা ডলার-ফর-ডলার শুল্কের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখায়, তবে এটি মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি করতে পারে। শেষ পর্যন্ত ‘স্ট্যাগফ্লেশন’ বা নিশ্চলতা-স্ফীতিতে পরিণত হতে পারে, যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি বেকারত্বও বেড়ে যায়।
৩. জ্বালানির ‘পারমাণবিক’ বিকল্প
কানাডার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদের একটি হলো জ্বালানি। মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (ইআইএ) তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির ৬০ শতাংশ কানাডা থেকে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো, বিশেষ করে, ভারমন্ট ও নিউইয়র্ক প্রতিবেশী কানাডীয় প্রদেশগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও ম্যানিটোবা রাজ্যগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ও মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
কানাডার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩০টি রাজ্য কিছু পরিমাণ বিদ্যুৎ কানাডা থেকে পায়। এছাড়াও, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী দেশ।
অন্টারিওর প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড প্রস্তাব দিয়েছেন, কানাডা যদি মার্কিন জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে এটি মার্কিনিদের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে জ্বালানির দাম বাড়লে তা সরাসরি পাম্পের দামে প্রভাব ফেলবে।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, ‘একমাত্র জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিনিদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারে জ্বালানির দাম দ্রুত কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’
৪. মার্কিন মদ প্রত্যাহার
অন্টারিওর প্রধানমন্ত্রী ফোর্ড বলেন, বিভিন্ন প্রদেশের প্রধানমন্ত্রীরা যদি রাজি হন, তাহলে আমেরিকার তৈরি মদ দোকানের শেলফ থেকে সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডা চাইলে এই মুহূর্তে শুল্ক আরোপ নিয়ে প্রতিশোধের পর্যায়ে নাও যেতে পারে। কয়েক সপ্তাহ ধরে কানাডার কর্মকর্তারা তাদের মার্কিন সহকর্মীদের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে বৈঠক করছেন, যাতে কোনো মার্কিন শুল্ক আরোপ এড়ানো যায়।
তবে গতকাল সোমবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্পষ্ট, যদি ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেন, আমরা প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, অটোয়া মার্কিন আমদানির ওপর ১৫৫ বিলিয়ন কানাডীয় ডলার মূল্যের পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে, যার প্রথম ধাপে ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শুল্ক অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। এই শুল্কের তালিকায় পাস্তা, পোশাক ও সুগন্ধির মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
কানাডা আরও সংকেত দিয়েছে, সম্ভাব্য শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য একটি প্রণোদনা কর্মসূচি চালু করা হতে পারে, যেমনটা করোনা মহামারির সময় করা হয়েছিল।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিশোধের অর্থনৈতিক খরচের কথা বিবেচনায় নিয়ে, কানাডার উচিত বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৈচিত্র্যময় করা এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা। জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, কানাডা এই শুল্কগুলোকে একটি সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে তাদের পণ্য অন্য বাজারে বিক্রি করতে পারে।
কানাডার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য নীতি নিয়ে কর্মরত পিটার ক্লার্ক মনে করেন, যে কোনো বাণিজ্য যুদ্ধে কানাডা তুলনামূলকভাবে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ধাক্কা খেতে পারে। এই বৈষম্যের কারণেই লক্ষ্যভিত্তিক শুল্ক আরোপ প্রথম এবং সবচেয়ে নিরাপদ পদক্ষেপ।
নির্দিষ্ট মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে নিজের নাগরিকদের ওপর বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধির চাপ সৃষ্টি না করেই কানাডা যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এই কৌশলের কারণেই কর্মকর্তারা ‘কানাডীয় পণ্য কিনুন’ প্রচারণাকে উৎসাহিত করছেন, যাতে প্রতিশোধমূলক শুল্কের প্রভাব কিছুটা কমানো যায়।
মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনাগুলোর অন্যতম প্রধান অংশ এই বাণিজ্য শুল্ক আরোপ। তিনি এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, চাকরি সুরক্ষা এবং কর রাজস্ব বৃদ্ধির একটি উপায় হিসেবে দেখেন। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি কানাডার অর্থনীতিতে ধ্বংসাত্মক তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে, পাশাপাশি মার্কিন বাজারেও উচ্চমূল্যের কারণ হতে পারে।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার ট্রাম্প রাজনৈতিকভাবে আগের মতো দুর্বল নন, কারণ তিনি হোয়াইট হাউসে তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না। তাই এবার তার পদক্ষেপগুলো তীব্র আঘাত হানতে পারে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি
৩ ঘণ্টা আগে
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবিএসের কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ওয়াহিদুল ইসলাম প্রতিবেদনটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন, যা এরই মধ্যে বিবিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিএসের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শীতকালীন ভুট্টার আবাদ ও ফলন উভয়ই বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে ভুট্টার উৎপাদন ছিল প্রায় ৪২ লাখ ৪৬ হাজার টন, সেখানে গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টনে।
কৃষি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার, সেচ সুবিধা ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় ভুট্টা ও সবজিতে উৎপাদন বেড়েছে। তবে ডাল ও কিছু তেলবীজে উৎপাদন কমার পেছনে আবহাওয়া, জমির ব্যবহার পরিবর্তন এবং কৃষকের আগ্রহ কমে যাওয়ার বিষয়গুলো ভূমিকা রেখেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদন বাড়াতে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি।’
সরিষা-সয়াবিনে অগ্রগতি, ডালে উদ্বেগ
বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, তেলবীজের মধ্যে সরিষার উৎপাদন বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরিষার উৎপাদন ছিল প্রায় ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার টন, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৬৪ লাখ ৪ হাজার টনে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে একরপ্রতি ফলনও বেড়েছে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী চাষেও উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। একই সময়ে বিগত অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৩২ লাখ ২১ হাজার ৪৩১ টন, যা আগের বছর উৎপাদিত হয় ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৪ টন।
ডালজাতীয় ফসলে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ছোলা, মসুর ও মটরশুঁটির আবাদি জমি ও মোট উৎপাদন কমেছে; বিশেষ করে মসুর ডালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মসুর ডালের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টন, যা পরের অর্থবছরে কমে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার টনে এসেছে।
মসুর ডাল কমলেও মুগ ডালের আবাদ ও উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক বছরে মুগ ডালের আবাদ বেড়েছে ১৫৬ শতাংশ এবং উৎপাদন বেড়েছে ২০৯ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ডালজাতীয় শস্যের আবাদ হয়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭ একর জমিতে, যেখানে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬২৯ টনে।
সবজিতে উল্লম্ফন
সবজি উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন উভয় মৌসুমে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ, শিম ও শাকজাতীয় সবজির উৎপাদন বেড়েছে। বিবিএসের তথ্যমতে, শুধু টমেটোর উৎপাদনই ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৫ লাখ ৩৯ হাজার টনে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগের বছর ছিল ৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৭ টন।
ফল, আখ ও তালজাতীয় ফসল
বিগত অর্থবছরে ফলের কলা, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা ও তরমুজের উৎপাদন বেড়েছে। চিনিজাতীয় ফসলের মধ্যে আখের উৎপাদন সামান্য কমেছে। তবে খেজুর ও তালের রস এবং ফলের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। এসব ফসলের ক্ষেত্রে ফলধারী গাছপ্রতি ফলন ধরে উৎপাদন হিসাব করা হয়েছে।
তুলা চাষ
চাহিদা বাড়লেও দেশে তুলা চাষের জমি উল্টো কমছে। এক বছরের ব্যবধানে তুলা আবাদি জমি কমেছে ৯ শতাংশের বেশি। পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে তুলা ও তুলাজাতীয় ফসলের আবাদ হয়েছিল ৩৬ হাজার ৩৮৪ একর জমিতে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৩ একরে। অর্থাৎ এক বছরে তুলা চাষের জমি কমেছে প্রায় ৩ হাজার ৩৭০ একর।
সার্বিক বিষয়ে কৃষি উদ্যোক্তারা বলছেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো জরুরি। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সুবিধা জোরদার করলে কৃষকেরা এসব ফসল চাষে আরও আগ্রহী হবেন।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবিএসের কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ওয়াহিদুল ইসলাম প্রতিবেদনটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন, যা এরই মধ্যে বিবিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিএসের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শীতকালীন ভুট্টার আবাদ ও ফলন উভয়ই বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে ভুট্টার উৎপাদন ছিল প্রায় ৪২ লাখ ৪৬ হাজার টন, সেখানে গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টনে।
কৃষি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার, সেচ সুবিধা ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় ভুট্টা ও সবজিতে উৎপাদন বেড়েছে। তবে ডাল ও কিছু তেলবীজে উৎপাদন কমার পেছনে আবহাওয়া, জমির ব্যবহার পরিবর্তন এবং কৃষকের আগ্রহ কমে যাওয়ার বিষয়গুলো ভূমিকা রেখেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদন বাড়াতে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি।’
সরিষা-সয়াবিনে অগ্রগতি, ডালে উদ্বেগ
বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, তেলবীজের মধ্যে সরিষার উৎপাদন বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরিষার উৎপাদন ছিল প্রায় ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার টন, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৬৪ লাখ ৪ হাজার টনে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে একরপ্রতি ফলনও বেড়েছে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী চাষেও উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। একই সময়ে বিগত অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৩২ লাখ ২১ হাজার ৪৩১ টন, যা আগের বছর উৎপাদিত হয় ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৪ টন।
ডালজাতীয় ফসলে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ছোলা, মসুর ও মটরশুঁটির আবাদি জমি ও মোট উৎপাদন কমেছে; বিশেষ করে মসুর ডালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মসুর ডালের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টন, যা পরের অর্থবছরে কমে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার টনে এসেছে।
মসুর ডাল কমলেও মুগ ডালের আবাদ ও উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক বছরে মুগ ডালের আবাদ বেড়েছে ১৫৬ শতাংশ এবং উৎপাদন বেড়েছে ২০৯ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ডালজাতীয় শস্যের আবাদ হয়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭ একর জমিতে, যেখানে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬২৯ টনে।
সবজিতে উল্লম্ফন
সবজি উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন উভয় মৌসুমে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ, শিম ও শাকজাতীয় সবজির উৎপাদন বেড়েছে। বিবিএসের তথ্যমতে, শুধু টমেটোর উৎপাদনই ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৫ লাখ ৩৯ হাজার টনে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগের বছর ছিল ৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৭ টন।
ফল, আখ ও তালজাতীয় ফসল
বিগত অর্থবছরে ফলের কলা, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা ও তরমুজের উৎপাদন বেড়েছে। চিনিজাতীয় ফসলের মধ্যে আখের উৎপাদন সামান্য কমেছে। তবে খেজুর ও তালের রস এবং ফলের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। এসব ফসলের ক্ষেত্রে ফলধারী গাছপ্রতি ফলন ধরে উৎপাদন হিসাব করা হয়েছে।
তুলা চাষ
চাহিদা বাড়লেও দেশে তুলা চাষের জমি উল্টো কমছে। এক বছরের ব্যবধানে তুলা আবাদি জমি কমেছে ৯ শতাংশের বেশি। পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে তুলা ও তুলাজাতীয় ফসলের আবাদ হয়েছিল ৩৬ হাজার ৩৮৪ একর জমিতে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৩ একরে। অর্থাৎ এক বছরে তুলা চাষের জমি কমেছে প্রায় ৩ হাজার ৩৭০ একর।
সার্বিক বিষয়ে কৃষি উদ্যোক্তারা বলছেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো জরুরি। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সুবিধা জোরদার করলে কৃষকেরা এসব ফসল চাষে আরও আগ্রহী হবেন।

কানাডার ওপর শেষ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নেওয়া কানাডা প্রতিক্রিয়ায় এবার কী করতে যাচ্ছে সেদিকে চোখ সবার। এদিকে বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ
০৪ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি
৩ ঘণ্টা আগে
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি ব্রিডার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. সাফির রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম-কমিউনিটি সেন্টারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। মোট ৫৭৪ জন ভোট দেন।
সহসভাপতি হিসেবে ডায়মন্ড এগ লিমিটেডের সিইও মো. আসাদুজ্জামান ও খান অ্যাগ্রো ফিড প্রোডাক্টের প্রোপ্রাইটর মো. সৈয়দুল হক খান নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এনার্জি টেকনোলজির প্রোপ্রাইটর মোস্তফা জাহান, যুগ্ম মহাসচিব পদে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও অঞ্জন মজুমদার, প্রচার সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে গাজী নূর আহাম্মাদ নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন শাহ ফাহাদ হাবিব, মিজানুর রহমান মিন্টু, রাশিদ আহামাদ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, খায়রুল বাসার সাগর, ফয়েজ রাজা চৌধুরী, মো. সালাউদ্দিন মুন্সী, মো. সোলেমান কবীর, মো, ইমরান হোসাইন ও নাবিল আহামেদ।
নবনির্বাচিত সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘খামারিদের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কাজ করে যেতে চাই। পোলট্রি খাতকে আরও কীভাবে সমৃদ্ধ করতে পারি, সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে যাব। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে পোলট্রি শিল্পকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটিও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন দেশের পোলট্রি খাতের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও টেকসই বিকাশে নিবেদিত একটি শীর্ষস্থানীয় সংগঠন। যেখানে খামারি, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং আধুনিক প্রযুক্তি, সুষ্ঠু নীতিমালা ও মানসম্মত উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্পের অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে, যা আগামী দুই বছর পোলট্রি খাতের দিকনির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি ব্রিডার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. সাফির রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম-কমিউনিটি সেন্টারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। মোট ৫৭৪ জন ভোট দেন।
সহসভাপতি হিসেবে ডায়মন্ড এগ লিমিটেডের সিইও মো. আসাদুজ্জামান ও খান অ্যাগ্রো ফিড প্রোডাক্টের প্রোপ্রাইটর মো. সৈয়দুল হক খান নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এনার্জি টেকনোলজির প্রোপ্রাইটর মোস্তফা জাহান, যুগ্ম মহাসচিব পদে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও অঞ্জন মজুমদার, প্রচার সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে গাজী নূর আহাম্মাদ নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন শাহ ফাহাদ হাবিব, মিজানুর রহমান মিন্টু, রাশিদ আহামাদ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, খায়রুল বাসার সাগর, ফয়েজ রাজা চৌধুরী, মো. সালাউদ্দিন মুন্সী, মো. সোলেমান কবীর, মো, ইমরান হোসাইন ও নাবিল আহামেদ।
নবনির্বাচিত সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘খামারিদের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কাজ করে যেতে চাই। পোলট্রি খাতকে আরও কীভাবে সমৃদ্ধ করতে পারি, সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে যাব। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে পোলট্রি শিল্পকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটিও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন দেশের পোলট্রি খাতের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও টেকসই বিকাশে নিবেদিত একটি শীর্ষস্থানীয় সংগঠন। যেখানে খামারি, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং আধুনিক প্রযুক্তি, সুষ্ঠু নীতিমালা ও মানসম্মত উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্পের অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে, যা আগামী দুই বছর পোলট্রি খাতের দিকনির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কানাডার ওপর শেষ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নেওয়া কানাডা প্রতিক্রিয়ায় এবার কী করতে যাচ্ছে সেদিকে চোখ সবার। এদিকে বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ
০৪ মার্চ ২০২৫
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
ক্যাব জানায়, গতকাল রোববার বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভা শেষে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ও বিএসটিআইয়ের কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মানসম্মত ও নিরাপদ পণ্য নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও তদারকি কার্যক্রমে সহযোগিতা, নকল ও ভেজালবিরোধী উদ্যোগ জোরদার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
ক্যাব জানায়, গতকাল রোববার বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভা শেষে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ও বিএসটিআইয়ের কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মানসম্মত ও নিরাপদ পণ্য নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও তদারকি কার্যক্রমে সহযোগিতা, নকল ও ভেজালবিরোধী উদ্যোগ জোরদার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

কানাডার ওপর শেষ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নেওয়া কানাডা প্রতিক্রিয়ায় এবার কী করতে যাচ্ছে সেদিকে চোখ সবার। এদিকে বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ
০৪ মার্চ ২০২৫
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হবে, তা নিয়ে নীতিমালা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে থ্রি-হুইলার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে অর্থনীতির গতি আরও বেগবান হবে।
আজ সোমবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘স্টাডি অন ইন্টিগ্রিটিংস ইলেকট্রনিক থ্রি-হুইলার ইনটু ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়েফরওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সিপিডির প্রোগ্রাম সহযোগী মো. খালিদ মাহমুদ বলেন, দেশে লাখ লাখ যানবাহন চলে। কিন্তু নিবন্ধিত আছে মাত্র সাড়ে ২২ হাজার। এর বাইরে থ্রি-হুইলার রিকশা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। সেবা নিচ্ছেন ১১২ কোটি মানুষ, যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এত বড়সংখ্যক যানের রেজিস্ট্রেশন নেই। যারা চালান, তাঁদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। এতে দক্ষতা বাড়ছে না। মুখের কথায় চলে এসব যান। যদি প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যায়, তখন একটা আয় পাবে সরকার। আবার নীতিমালার কারণে ক্ষতি কমবে। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আয় বাড়বে। যার বিশাল ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘নীতিমালা ছাড়া লাখ লাখ থ্রি-হুইলার চলছে। এই গণপরিবহন যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে চলছে। এটার সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে। স্ট্রাকচার থাকতে হবে। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে হবে। ইলেকট্রনিক যান হওয়ায় পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কীভাবে কার অনুমোদন নিয়ে চলবে, নির্ধারণ করতে হবে। আইনের আওতায় আনা জরুরি। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তার শাস্তি দিতে হবে ৷ তখন এলোমেলো চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে। মানুষ উন্নত সেবা পাবে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের যানের প্রায় ৪০ লাখ চালক, তাঁদের পরিবারসহ বিশাল জনগোষ্ঠী সুবিধাভোগী। তাঁদের রোড নেটওয়ার্ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক সেফটি, এয়ার কোয়ালিটির ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট কাঠামো ও নীতিমালা জরুরি।
অনুষ্ঠানে নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন এবং চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা; বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা; প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত, স্বল্পগতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করা; ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ করা, জব্দ গাড়ি ও ব্যাটারি ফেরত দেওয়া; চালকসহ সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করা এবং চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হবে, তা নিয়ে নীতিমালা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে থ্রি-হুইলার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে অর্থনীতির গতি আরও বেগবান হবে।
আজ সোমবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘স্টাডি অন ইন্টিগ্রিটিংস ইলেকট্রনিক থ্রি-হুইলার ইনটু ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়েফরওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সিপিডির প্রোগ্রাম সহযোগী মো. খালিদ মাহমুদ বলেন, দেশে লাখ লাখ যানবাহন চলে। কিন্তু নিবন্ধিত আছে মাত্র সাড়ে ২২ হাজার। এর বাইরে থ্রি-হুইলার রিকশা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। সেবা নিচ্ছেন ১১২ কোটি মানুষ, যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এত বড়সংখ্যক যানের রেজিস্ট্রেশন নেই। যারা চালান, তাঁদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। এতে দক্ষতা বাড়ছে না। মুখের কথায় চলে এসব যান। যদি প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যায়, তখন একটা আয় পাবে সরকার। আবার নীতিমালার কারণে ক্ষতি কমবে। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আয় বাড়বে। যার বিশাল ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘নীতিমালা ছাড়া লাখ লাখ থ্রি-হুইলার চলছে। এই গণপরিবহন যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে চলছে। এটার সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে। স্ট্রাকচার থাকতে হবে। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে হবে। ইলেকট্রনিক যান হওয়ায় পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কীভাবে কার অনুমোদন নিয়ে চলবে, নির্ধারণ করতে হবে। আইনের আওতায় আনা জরুরি। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তার শাস্তি দিতে হবে ৷ তখন এলোমেলো চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে। মানুষ উন্নত সেবা পাবে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের যানের প্রায় ৪০ লাখ চালক, তাঁদের পরিবারসহ বিশাল জনগোষ্ঠী সুবিধাভোগী। তাঁদের রোড নেটওয়ার্ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক সেফটি, এয়ার কোয়ালিটির ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট কাঠামো ও নীতিমালা জরুরি।
অনুষ্ঠানে নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন এবং চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা; বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা; প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত, স্বল্পগতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করা; ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ করা, জব্দ গাড়ি ও ব্যাটারি ফেরত দেওয়া; চালকসহ সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করা এবং চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

কানাডার ওপর শেষ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নেওয়া কানাডা প্রতিক্রিয়ায় এবার কী করতে যাচ্ছে সেদিকে চোখ সবার। এদিকে বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ
০৪ মার্চ ২০২৫
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি
৩ ঘণ্টা আগে
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
৬ ঘণ্টা আগে