অনলাইন জুয়ার ৩৩১ ওয়েবসাইট, ১৪ অ্যাপ বন্ধ করেছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২২, ১৯: ০৯

অনলাইন জুয়ার ৩৩১টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ডিজিটাল নিরাপত্তা সেলের নিয়মিত নজরদারিতে এসব সাইট শনাক্ত করা হয়। পরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক থেকে এগুলো বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। 

এ ছাড়া সার্চ ইঞ্জিন গুগল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনলাইন জুয়ার ১৫০টি অ্যাপ বন্ধের জন্য বলা হলে কর্তৃপক্ষ প্লে স্টোর থেকে ১৪টি অ্যাপ বন্ধ করে দিয়েছে। বাকি অ্যাপস বন্ধ করার জন্য যাচাই-বাছাইসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 

এসব জুয়ার ওয়েবসাইট ও অ্যাপ বন্ধের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মিত্র। তিনি বলেন, ‘অনলাইন জুয়ার এসব ওয়েবসাইট ও অ্যাপ বন্ধে একসঙ্গে কাজ করছে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা ও বিটিআরসি। আমরা এখন পর্যন্ত যতগুলো অ্যাপ ও ওয়েবসাইট শনাক্ত করতে পেরেছি সেগুলো সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন আরও অ্যাপ ও ওয়েবসাইট পেলে সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

সেই সঙ্গে ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে জুয়া খেলার ওয়েবসাইট ও গুগল অ্যাপসের প্রচার এবং অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এমন ২৭টি ফেসবুক লিংক এবং ৬৯টি ইউটিউব লিংক বন্ধের জন্য প্রতিবেদন দেয় বিটিআরসি। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১৭টি ফেসবুক লিংক ও ১৭টি ইউটিউব লিংক বন্ধ করেছে। বাকি লিংকগুলো বন্ধ করার কার্যক্রম চলছে। 

বিটিআরসি বলছে, অ্যাপের নিয়ম অনুযায়ী অনলাইন গেমের চিপস কিনতে প্রয়োজন পড়ে নগদ অর্থ, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড। ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকে পড়েছে অনলাইন জুয়ার দিকে। কয়েকটি অপরাধী চক্র এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করছে। মোবাইল অ্যাপ ছাড়াও অপরাধীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইন গেম বা জুয়া খেলায় অংশ নিয়ে থাকে। এ জন্য দেশে এবং বিদেশে হোস্ট করা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রথমে অ্যাকাউন্ট খুলে নিবন্ধন করতে হয়। এরপর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য কার্ড বা অন্য কোনো মাধ্যমে জমা দিয়ে জুয়ায় অংশ নিতে হয়। অনলাইন জুয়াড়িরা বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা লেনদেন করে। 

দেশের আইনে সব ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফুটবল, ক্রিকেট ও টেনিস খেলাসহ বিভিন্ন লিগ ম্যাচকে ঘিরে প্রতি মুহূর্তে অবৈধ অনলাইন জুয়া বা বাজি খেলা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে প্রকাশ্যে এসব কমলেও অনলাইনে এখন চলছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত