ইয়াবা পাচার মামলায় ১১ জনের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
Thumbnail image

চট্টগ্রামে ফিশিং বোট থেকে ২০ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত এই মামলার তদন্তে গাফিলতির জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের দুষেছেন। এ সময় আদালত ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্বভার পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।

গতকাল রোববার চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফুল আলম ভুঞাঁ এই রায় দেন। মামলায় আটজনকে ১৫ বছর ও তিনজনকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৫ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল খালেক ওরফে বুদইন্যা (৬০), জানে আলম (৩২), মো. লোকমান (৫৫), মো. নুরুল মোস্তফা (২৭), মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন (২৪) ও মো. নুর (৪৪); কক্সবাজারের বাসিন্দা মো. মকতুল হোসেন (৫০) এবং নোয়াখালীর মোহাম্মদ এনায়েত উল্ল্যাহ (৭২)। একই সঙ্গে আদালত তাঁদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা মো. মোজাহের মিয়া (৫৫), আব্দুল জলিল (৫৬) ও মো. আব্দুর নুর (৪৫)। একই সঙ্গে তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ১৬ এপ্রিল পতেঙ্গা থানার কর্ণফুলী নদীর মোহনায় একটি ফিশিং বোটে অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে র‍্যাব।

মামলার রায়ে আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘যে ফিশিং বোট থেকে ২০ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই বোটের প্রকৃত মালিককে মামলায় আসামি করা হয়নি। আব্দুল জলিল নামে এক আসামিকে ফিশিং বোটের মালিক হিসেবে দেখানো হয়। প্রকৃত মালিকের নাম তদন্তে উঠে আসেনি। এতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্তে গাফিলতি করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত