বিসিকে উন্নয়নের নামে লুটপাট কর্মকর্তাদের

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
Thumbnail image

নেত্রকোনার বিসিক শিল্পনগরীর উপব্যবস্থাপক আক্রাম হোসেন ও কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে উন্নয়নের নামে লুটপাট ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর ৩ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় হোয়াইট স্টার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফখরুল আলম। গত বুধবার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হোয়াইট স্টার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফখরুল আলম বিসিক শিল্পনগরীতে ২০১৮ সালের মার্চে ৯ হাজার ৫০৬ বর্গফুটের দুটি প্লট বরাদ্দ পান। তাঁর প্লটসহ পাশের আরও কয়েকটি প্লটে মাটি ভরাটের জন্য ২৫ লাখ টাকার টেন্ডার হয়। কিন্তু বিসিক শিল্পনগরীর তৎকালীন উপব্যবস্থাপক মোয়াজ্জেম হোসেন ও কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন মাটি ভরাটের কাজ না করেই মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে ঠিকাদারকে প্রত্যয়ন দিয়ে দেন। এরপর ২০২১ সালের শেষের দিকে মাটি ভরাটের জন্য আবারও ১২ লাখ টাকার টেন্ডার হয়। এই টেন্ডারেও তাঁর প্লটে মাটি ভরাট না করেই বর্তমান উপব্যবস্থাপক আক্রাম হোসেন ও কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ঠিকাদারকে প্রত্যয়ন প্রদান করেছেন।

এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্প ইউনিট ত্রিপক্ষীয় চুক্তি ছাড়াই অন্যত্র ভাড়া দেওয়া, বিসিকের সরকারি মিটার থেকে আট-নয়জন শিল্পমালিককে অবৈধ সংযোগ প্রদান করে তাঁদের কাছ থেকে মাসোহারা নেওয়ার বিষয়েও বিসিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন অফিসে না এসে বাড়িতে বসে অফিস করার অভিযোগ করেছেন ফখরুল আলম।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা বিসিকের উপব্যবস্থাপক আক্রাম হোসেন বলেন, ২০১৬ সালে বিসিক শিল্পনগরীতে মাটি ভরাটের জন্য ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৬ টাকা চুক্তিমূল্যে মেসার্স প্যারাগন ইন্টারন্যাশনাল কার্যাদেশ পায়। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৩ টাকার মাটি ভরাট করা হয়। আর বাকি টাকায় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করা হয়।

অভিযোগকারী ফখরুল আলম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এখন আদালতেও মামলা করব।’ জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত