মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং রামু উপজেলার পূর্ব-উত্তরে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য। দুই উপজেলার অন্তত ৫০ কিলোমিটার সীমানা পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের গবাদিপশু পাচারের জোন। এই সীমানা এলাকায় বড় কোনো নদী নেই। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে হেঁটেই যাওয়া যায় মিয়ানমারের ওপারে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি এবং রামু উপজেলার বিভিন্ন চোরাই পথ দিয়ে মিয়ানমারের গবাদিপশুর রমরমা বাণিজ্য চলে আসছে, যা বন্ধে এ সীমান্তে পাহারারত ১১ বিজিবি তৎপর থাকলেও কোনোভাবেই তা বন্ধ করা যাচ্ছে না।
সূত্রের দাবি, এ সীমান্তের দুই উপজেলার যেসব পয়েন্ট দিয়ে গরু আসছে তা হলো, জামছড়ি, ফুলতলী, আশারতলী চাকঢালা, কম্বনিয়ার জারুলিয়াছড়ি, বামহাতিছড়া, নিকুছড়ি, চেরারমাঠ, বাইশফাড়ি ও তুমব্রু।
সূত্র আরও দাবি করে, চোরাকারবারি স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়ে এই অবৈধ বাণিজ্য করে আসলেও এখন শত শত লেবার টাকার লোভে এ চোরাকারবারিতে জড়িয়ে পড়ছে।
তারা দিনে পথ খোঁজে আর রাতে গরু পাচার করে। যাতে বিজিবিকে ফাঁকি দেওয়া যায়। এভাবে এখানে ১০ চোরাই পথ দিয়ে গবাদিপশু পাচার হচ্ছে।
এতে করে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব যেমন হারাচ্ছে, ঠিক তেমনি মাদক বিস্তারের সুযোগও তৈরি করেছে এ চক্রটি।
কিন্তু গত আগস্ট মাসে মিয়ানমার সীমান্তে সে দেশের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় থাকার পরও ওপার থেকে কীভাবে অবাধে গরু আসছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, কোথাও মিয়ানমারের বিজিপি, আবার কোথাও আরাকান আর্মি ও আরসার সদস্যদের সঙ্গে আঁতাত করার কারণেই বিনা বাধায় মিয়ানমারের গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ ক্ষেত্রে চোরাকারবারি চক্রটি ওপারে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের তথ্য পাচার করছে কি না সেই প্রশ্নও উঠেছে।
অবৈধ পথে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুর কচ্ছপিয়া বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবাধে মিয়ানমারের গরু-মহিষ বাংলাদেশে ঢুকছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত বান্দরবান ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাংস বিক্রির জন্যই সারা বছর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু আনা হয়। এসব গরুর বেশির ভাগই স্টেরয়েড দিয়ে মোটাতাজা করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমার থেকে আসা গরু মাংসের দোকানগুলোতে কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই জবাই করে বিক্রি করা হয়। এসব গরুর মাংসের মাধ্যমে জনসাধারণের নানান জটিল রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জামছড়ি ও ফুলতলী এবং জারুলিয়াছড়ি এলাকা দিয়ে গত এক মাসে অধিক সময় ধরে অবৈধ গরুর ব্যবসা চলে আসছে।
এ সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি কয়েক মাসে প্রায় ১ কোটি ৭৪ লাখ ২৭ হাজার টাকার মহিষ, গরু জব্দ করে এবং কক্সবাজার জেলার ৩৪ বিজিবি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু থানার পুলিশ একাধিক অভিযান করে অসংখ্য অবৈধ গরু আটক করতে সক্ষম হয়।
কয়েক মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ও পুলিশ চোরাই গরু আটকে তৎপর হলে চোরাকারবারিরা পথ পাল্টিয়ে রামুর কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়ার ফাক্রিকাটা, ক্যাজর বিল নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী, ঈদগড়, কাগজিখোলা পথ ব্যবহার করে আসছে।
চোরাকারবারিরা মিয়ানমারের ওপারের ব্যবসায়ী ও বিজিপির সঙ্গে সম্পর্ক না রাখলে সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতে গরু আনা সম্ভব নয়। তাই এসব চোরাকারবারি দ্বারা রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ জানান, যারা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু বাংলাদেশে আনছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং রামু উপজেলার পূর্ব-উত্তরে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য। দুই উপজেলার অন্তত ৫০ কিলোমিটার সীমানা পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের গবাদিপশু পাচারের জোন। এই সীমানা এলাকায় বড় কোনো নদী নেই। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে হেঁটেই যাওয়া যায় মিয়ানমারের ওপারে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি এবং রামু উপজেলার বিভিন্ন চোরাই পথ দিয়ে মিয়ানমারের গবাদিপশুর রমরমা বাণিজ্য চলে আসছে, যা বন্ধে এ সীমান্তে পাহারারত ১১ বিজিবি তৎপর থাকলেও কোনোভাবেই তা বন্ধ করা যাচ্ছে না।
সূত্রের দাবি, এ সীমান্তের দুই উপজেলার যেসব পয়েন্ট দিয়ে গরু আসছে তা হলো, জামছড়ি, ফুলতলী, আশারতলী চাকঢালা, কম্বনিয়ার জারুলিয়াছড়ি, বামহাতিছড়া, নিকুছড়ি, চেরারমাঠ, বাইশফাড়ি ও তুমব্রু।
সূত্র আরও দাবি করে, চোরাকারবারি স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়ে এই অবৈধ বাণিজ্য করে আসলেও এখন শত শত লেবার টাকার লোভে এ চোরাকারবারিতে জড়িয়ে পড়ছে।
তারা দিনে পথ খোঁজে আর রাতে গরু পাচার করে। যাতে বিজিবিকে ফাঁকি দেওয়া যায়। এভাবে এখানে ১০ চোরাই পথ দিয়ে গবাদিপশু পাচার হচ্ছে।
এতে করে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব যেমন হারাচ্ছে, ঠিক তেমনি মাদক বিস্তারের সুযোগও তৈরি করেছে এ চক্রটি।
কিন্তু গত আগস্ট মাসে মিয়ানমার সীমান্তে সে দেশের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় থাকার পরও ওপার থেকে কীভাবে অবাধে গরু আসছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, কোথাও মিয়ানমারের বিজিপি, আবার কোথাও আরাকান আর্মি ও আরসার সদস্যদের সঙ্গে আঁতাত করার কারণেই বিনা বাধায় মিয়ানমারের গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ ক্ষেত্রে চোরাকারবারি চক্রটি ওপারে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের তথ্য পাচার করছে কি না সেই প্রশ্নও উঠেছে।
অবৈধ পথে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুর কচ্ছপিয়া বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবাধে মিয়ানমারের গরু-মহিষ বাংলাদেশে ঢুকছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত বান্দরবান ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাংস বিক্রির জন্যই সারা বছর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু আনা হয়। এসব গরুর বেশির ভাগই স্টেরয়েড দিয়ে মোটাতাজা করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমার থেকে আসা গরু মাংসের দোকানগুলোতে কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই জবাই করে বিক্রি করা হয়। এসব গরুর মাংসের মাধ্যমে জনসাধারণের নানান জটিল রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জামছড়ি ও ফুলতলী এবং জারুলিয়াছড়ি এলাকা দিয়ে গত এক মাসে অধিক সময় ধরে অবৈধ গরুর ব্যবসা চলে আসছে।
এ সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি কয়েক মাসে প্রায় ১ কোটি ৭৪ লাখ ২৭ হাজার টাকার মহিষ, গরু জব্দ করে এবং কক্সবাজার জেলার ৩৪ বিজিবি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু থানার পুলিশ একাধিক অভিযান করে অসংখ্য অবৈধ গরু আটক করতে সক্ষম হয়।
কয়েক মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ও পুলিশ চোরাই গরু আটকে তৎপর হলে চোরাকারবারিরা পথ পাল্টিয়ে রামুর কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়ার ফাক্রিকাটা, ক্যাজর বিল নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী, ঈদগড়, কাগজিখোলা পথ ব্যবহার করে আসছে।
চোরাকারবারিরা মিয়ানমারের ওপারের ব্যবসায়ী ও বিজিপির সঙ্গে সম্পর্ক না রাখলে সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতে গরু আনা সম্ভব নয়। তাই এসব চোরাকারবারি দ্বারা রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ জানান, যারা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু বাংলাদেশে আনছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৪ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৪ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে