গণহত্যার বিচার চলতি মাসেই শুরুর আশা সরকারের: আসিফ নজরুল

বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯: ৪১

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুনর্গঠন করেছে সরকার। এই ট্রাইব্যুনালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যার বিচারকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

সচিবালয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে আসিফ নজরুল জানান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালের সদস্যপদে রাখা হয়েছে।

উপদেষ্টা এ তথ্য জানানোর পর গতকাল আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারকাজ শুরু করার ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা করার ছিল, এটার একটা বড় ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করব, অচিরেই বিচারকাজ শুরু হয়ে যাবে।’

কাজের গতি-প্রকৃতি অনুযায়ী প্রয়োজনে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ধাপে ধাপে যে সহযোগিতা চাওয়া হবে, যদি বলা হয় প্রসিকিউশন টিমে আরও লোক দরকার, ইনভেস্টিগেশন টিমে আরও দরকার, কোনো একটি পর্যায়ে যদি মনে হয় যে আরেকটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ট্রাইব্যুনাল দরকার—এ রকমভাবে আমাদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হলে, আমরা দিতে প্রস্তুত আছি।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গণহত্যার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও বিচার এই আদালতে করা হবে।

আসিফ নজরুল জানান, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিচারপতিরা হয়তো এই মাসের মধ্যে বিচারকাজ শুরু করবেন। এ জন্য পুরোনো হাইকোর্ট ভবনের সংস্কারকাজ তাড়াতাড়ি করা হচ্ছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আসামিপক্ষ যেকোনো দেশের আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বা যে কেউ এখানে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে পারবেন। ডিজিটাল সাক্ষ্য যাতে নেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অংশীজনের সঙ্গে মতামত নিয়ে আইন সংশোধন করতে খসড়া করেছি। এ মাসের মধ্যে সংশোধনী চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সংশোধনীর জন্য বিচার আটকে থাকবে না। গত সরকার সংগঠনেরও শাস্তির বিধান করে গেছে, সবাই বলেছে এই বিধান থাকা উচিত।’

গণহত্যার সঙ্গে জড়িত অনেকে পালিয়ে গেছেন স্বীকার করে আইন উপদেষ্টা বলেন, যাঁরা পালিয়ে গেছেন, তাঁদের বিচার করার বিধান এই আইনে রয়েছে। বিচারে তাঁরা যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের বন্দিবিনিময় চুক্তি আছে, কেউ যদি সেই দেশে থাকেন, তাহলে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে আনার অনুরোধ করব। যাদের সঙ্গে চুক্তি নেই, সেখান থেকেও আনার চেষ্টা করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত