ইফফাত গিয়াস আরেফিন
প্রশ্ন: আমার বয়স ২৩ বছর। দুই বছর আগে পরিবার আমার বাগদান সম্পন্ন করে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। হবু স্বামীর কথায় প্রভাবিত হয়ে আমরা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। বিয়ের তিন মাস আগে হবু স্বামী আমাদের বাগদান ভেঙে দেয়। এতে মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। তবু নিজেকে শক্ত করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আছি। বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে সে আমাকে ফোনে বিরক্ত করছে, কুপ্রস্তাব দিচ্ছে। দেখা করতে চাই না বলায় আগের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। তার কাছে কোন ধরনের ছবি আছে, তা জানতে চাইলে জানাচ্ছে না। আমি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চাই এবং এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। এ ব্যাপারে আমার করণীয় কী?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
সাইবার পর্নোগ্রাফি অপরাধ হচ্ছে, ভুক্তভোগীর একান্ত ব্যক্তিগত বা আপত্তিকর ছবি কিংবা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া বা ছাড়ার হুমকি দেওয়া। আগের বা বর্তমান প্রেমিক কিংবা স্বামীর মাধ্যমে এ ধরনের সাইবার অপরাধ বেশি সংঘটিত হয়। আপনার ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে।
এ ধরনের ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে ভিকটিম নিজেও জানেন না তাঁর তথ্য ও ছবি ব্যবহার করে অপরাধী বা অপরাধীরা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে আপত্তিকর কনটেন্ট। আপনার ব্যক্তিগত ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাতে স্পষ্টত তিনি ব্ল্যাকমেল ও সাইবার নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী অপরাধ করছেন।
এই আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে অন্য কোনো ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া যদি তাঁর ছবি তোলে, প্রকাশ করে বা প্রেরণ করে, তাহলে এমন কাজ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের পরিস্থিতির ক্ষেত্রে অপরাধ। কোনো ব্যক্তি এ ধরনের অপরাধ করলে তিনি অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিতে হবেন।
আপনার অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত ছবি তুলে তিনি অপরাধ করেছেন। সেই ছবি যদি তিনি ইন্টারনেটে প্রকাশ করেন বা প্রকাশের ভয় দেখান, তাহলে সেটাও হবে সাইবার পর্নোগ্রাফি, যা একটি অপরাধ।
এ ক্ষেত্রে আপনি প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করতে পারেন নিকটস্থ থানায়। অথবা ই-মেইলে অভিযোগ জানাতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়। অথবা যদি পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ করতে চান, তাহলে গুগল প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করুন ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ডিভিশনের ‘হ্যালো সিটি’ অ্যাপ। এই অ্যাপ ব্যবহার করে পাঠাতে পারবেন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য। অথবা সরাসরি কথা বলার প্রয়োজন বোধ করলে চলে যেতে পারেন ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ডিভিশনের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অফিসে। কথা বলতে পারেন দায়িত্বরত কর্মকর্তার সঙ্গে ০১৭৬৯৬৯১৫২২ নম্বরে।
ভিক্টিমাইজড হলে যত দ্রুত সম্ভব অভিযোগ জানানো উচিত। অভিযোগ করার ক্ষেত্রে কিছু প্রমাণ প্রয়োজন। যেমন আপনার সঙ্গে আপনার প্রাক্তনের ফোনালাপের রেকর্ড, মেসেজ যদি থাকে তার স্ক্রিনশট, ইন্টারনেটে আপনার ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট আলামতের স্ক্রিনশট, লিংক, অডিও বা ভিডিও ফাইল অথবা সংশ্লিষ্ট নথি। স্ক্রিনশট সংগ্রহের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন অ্যাড্রেস বারের ইউআরএলটি দৃশ্যমান হয়। হ্যালো সিটি অ্যাপ ও ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে চাইলে এসব কনটেন্ট অ্যাটাচ করে আপলোড করতে পারেন। অন্যান্য ক্ষেত্রে সরাসরি সফট কপি দেওয়া যেতে পারে। সর্বোপরি আপনি প্রয়োজনে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অফিসারদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে পারেন, যা আপনার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ায় সহায়ক হতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
প্রশ্ন: আমার বয়স ২৩ বছর। দুই বছর আগে পরিবার আমার বাগদান সম্পন্ন করে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। হবু স্বামীর কথায় প্রভাবিত হয়ে আমরা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। বিয়ের তিন মাস আগে হবু স্বামী আমাদের বাগদান ভেঙে দেয়। এতে মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। তবু নিজেকে শক্ত করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আছি। বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে সে আমাকে ফোনে বিরক্ত করছে, কুপ্রস্তাব দিচ্ছে। দেখা করতে চাই না বলায় আগের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। তার কাছে কোন ধরনের ছবি আছে, তা জানতে চাইলে জানাচ্ছে না। আমি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চাই এবং এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। এ ব্যাপারে আমার করণীয় কী?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
সাইবার পর্নোগ্রাফি অপরাধ হচ্ছে, ভুক্তভোগীর একান্ত ব্যক্তিগত বা আপত্তিকর ছবি কিংবা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া বা ছাড়ার হুমকি দেওয়া। আগের বা বর্তমান প্রেমিক কিংবা স্বামীর মাধ্যমে এ ধরনের সাইবার অপরাধ বেশি সংঘটিত হয়। আপনার ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে।
এ ধরনের ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে ভিকটিম নিজেও জানেন না তাঁর তথ্য ও ছবি ব্যবহার করে অপরাধী বা অপরাধীরা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে আপত্তিকর কনটেন্ট। আপনার ব্যক্তিগত ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাতে স্পষ্টত তিনি ব্ল্যাকমেল ও সাইবার নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী অপরাধ করছেন।
এই আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে অন্য কোনো ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া যদি তাঁর ছবি তোলে, প্রকাশ করে বা প্রেরণ করে, তাহলে এমন কাজ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের পরিস্থিতির ক্ষেত্রে অপরাধ। কোনো ব্যক্তি এ ধরনের অপরাধ করলে তিনি অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিতে হবেন।
আপনার অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত ছবি তুলে তিনি অপরাধ করেছেন। সেই ছবি যদি তিনি ইন্টারনেটে প্রকাশ করেন বা প্রকাশের ভয় দেখান, তাহলে সেটাও হবে সাইবার পর্নোগ্রাফি, যা একটি অপরাধ।
এ ক্ষেত্রে আপনি প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করতে পারেন নিকটস্থ থানায়। অথবা ই-মেইলে অভিযোগ জানাতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়। অথবা যদি পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ করতে চান, তাহলে গুগল প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করুন ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ডিভিশনের ‘হ্যালো সিটি’ অ্যাপ। এই অ্যাপ ব্যবহার করে পাঠাতে পারবেন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য। অথবা সরাসরি কথা বলার প্রয়োজন বোধ করলে চলে যেতে পারেন ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ডিভিশনের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অফিসে। কথা বলতে পারেন দায়িত্বরত কর্মকর্তার সঙ্গে ০১৭৬৯৬৯১৫২২ নম্বরে।
ভিক্টিমাইজড হলে যত দ্রুত সম্ভব অভিযোগ জানানো উচিত। অভিযোগ করার ক্ষেত্রে কিছু প্রমাণ প্রয়োজন। যেমন আপনার সঙ্গে আপনার প্রাক্তনের ফোনালাপের রেকর্ড, মেসেজ যদি থাকে তার স্ক্রিনশট, ইন্টারনেটে আপনার ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট আলামতের স্ক্রিনশট, লিংক, অডিও বা ভিডিও ফাইল অথবা সংশ্লিষ্ট নথি। স্ক্রিনশট সংগ্রহের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন অ্যাড্রেস বারের ইউআরএলটি দৃশ্যমান হয়। হ্যালো সিটি অ্যাপ ও ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে চাইলে এসব কনটেন্ট অ্যাটাচ করে আপলোড করতে পারেন। অন্যান্য ক্ষেত্রে সরাসরি সফট কপি দেওয়া যেতে পারে। সর্বোপরি আপনি প্রয়োজনে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অফিসারদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে পারেন, যা আপনার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ায় সহায়ক হতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৪ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৪ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৮ দিন আগে