আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষণ ও মামলার বাদী তার বাবাকে হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের নির্দেশে কিশোরীর বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আজ বুধবার বাড়িটিতে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তাঁরা ওই পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম পৌরসভার ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৪ মার্চ বিকেলে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ওই কিশোরী (১৩)। পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে সিজিত রায় নামের এক যুবকের নেতৃত্বে কয়েকজন অপহরণ করে। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন ৫ মার্চ সকালে ওই কিশোরীকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পার্কে ফেলে রেখে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা (৩৭) ওই দিন রাতেই বরগুনা সদর থানায় সিজিত রায়সহ দুজনের নামে ধর্ষণের মামলা করেন। পরদিন স্থানীয় জনতা দুজনকে ধরে পুলিশে দেয়। পুলিশ সিজিতকে আটক করে এবং তাঁর বন্ধুকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়। কিশোরীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে এবং ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে শাসাতে থাকে আসামিপক্ষ। এরপর ১১ মার্চ কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন কিশোরীর বাবা। ওই দিন রাত সোয়া ১২টার দিকে মোবাইল ফোনের রিংটোনের সূত্র ধরে বাড়ির পাশের ঝোপের মধ্যে কিশোরীর বাবার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামির বাবাসহ চারজনকে আটক করেছিল পুলিশ।
বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছ, মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশের পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তার জন্য একজন এএসআইয়ের নেতৃত্বে চারজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে তাদের বাড়িতে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন তিন পালায় বাড়িটিতে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছোট্ট কাঠ-টিনের জরাজীর্ণ ঘরের সামনে একজন উপপরিদর্শকসহ চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য বাড়ির নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।
স্থানীয় মন্দির সভাপতি বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে নিহতের বাড়িতে পুলিশ সুপার মহোদয় পুলিশ মোতায়েন করেছেন। আগে আমাদের শঙ্কা থাকলেও হাইকোর্টের এই নির্দেশে আমরা শঙ্কামুক্ত। এতে আমরা এলাকাবাসী সন্তুষ্ট।’
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হালিম বলেন, মঙ্গলবার বিকেল থেকে পরিবারটির নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিন পালায় ২৪ ঘণ্টা ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ওই পরিবারের নিরাপত্তার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরে আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে অবহিত করি। আদালত পরিবারটির নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিলে আমরা দুপুরে মৌখিক আদেশ পেয়েই ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করেছি।’
বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষণ ও মামলার বাদী তার বাবাকে হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের নির্দেশে কিশোরীর বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আজ বুধবার বাড়িটিতে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তাঁরা ওই পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম পৌরসভার ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৪ মার্চ বিকেলে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ওই কিশোরী (১৩)। পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে সিজিত রায় নামের এক যুবকের নেতৃত্বে কয়েকজন অপহরণ করে। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন ৫ মার্চ সকালে ওই কিশোরীকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পার্কে ফেলে রেখে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা (৩৭) ওই দিন রাতেই বরগুনা সদর থানায় সিজিত রায়সহ দুজনের নামে ধর্ষণের মামলা করেন। পরদিন স্থানীয় জনতা দুজনকে ধরে পুলিশে দেয়। পুলিশ সিজিতকে আটক করে এবং তাঁর বন্ধুকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়। কিশোরীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে এবং ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে শাসাতে থাকে আসামিপক্ষ। এরপর ১১ মার্চ কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন কিশোরীর বাবা। ওই দিন রাত সোয়া ১২টার দিকে মোবাইল ফোনের রিংটোনের সূত্র ধরে বাড়ির পাশের ঝোপের মধ্যে কিশোরীর বাবার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামির বাবাসহ চারজনকে আটক করেছিল পুলিশ।
বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছ, মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশের পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তার জন্য একজন এএসআইয়ের নেতৃত্বে চারজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে তাদের বাড়িতে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন তিন পালায় বাড়িটিতে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছোট্ট কাঠ-টিনের জরাজীর্ণ ঘরের সামনে একজন উপপরিদর্শকসহ চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য বাড়ির নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।
স্থানীয় মন্দির সভাপতি বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে নিহতের বাড়িতে পুলিশ সুপার মহোদয় পুলিশ মোতায়েন করেছেন। আগে আমাদের শঙ্কা থাকলেও হাইকোর্টের এই নির্দেশে আমরা শঙ্কামুক্ত। এতে আমরা এলাকাবাসী সন্তুষ্ট।’
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হালিম বলেন, মঙ্গলবার বিকেল থেকে পরিবারটির নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিন পালায় ২৪ ঘণ্টা ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ওই পরিবারের নিরাপত্তার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরে আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে অবহিত করি। আদালত পরিবারটির নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিলে আমরা দুপুরে মৌখিক আদেশ পেয়েই ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করেছি।’
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
৪ দিন আগেধর্ষণের শিকার নারীর ছবি বা পরিচয় সংবাদ মাধ্যম কিংবা ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলেই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করতে পারবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বর্ণিত এই অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় জড়িত অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা যাবে।
১১ দিন আগেসাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
২০ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫