Ajker Patrika

শিশু লামিয়ার হত্যা: বোনের বর্ণনায় সন্দেহভাজন ২ হত্যাকারীর স্কেচ

পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, ২২: ২৩
শিশু লামিয়ার হত্যা: বোনের বর্ণনায় সন্দেহভাজন ২ হত্যাকারীর স্কেচ

ফেনীর পরশুরামে শিশু লামিয়া হত্যার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী বড় বোনের বর্ণনা অনুযায়ী হত্যাকারীদের ছবি (স্কেচ) এঁকে নিয়েছে পুলিশ। স্কেচটি ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার নিহত শিশু লামিয়ার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহার (১২) বর্ণনা অনুযায়ী চারুকলা বিভাগের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী দিনভর এ স্কেচ করেন। 

নিহত শিশু উম্মে সালমা লামিয়ার বোনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক বাসায় গিয়ে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের লোক পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েন। তারা লামিয়াকে হাত-মুখ-পা স্কচটেপ দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এ সময় বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা পাশের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে প্রাণে বেঁচে যায়। 

ঘটনার পর থেকে নিহা পুলিশকে জানিয়ে আসছেন লামিয়াকে দুই যুবক হত্যা করেছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত দুজনকে তিনি ইতিপূর্বে পরশুরামে দেখেছেন। এ ঘটনায় পরশুরামে ঘটনার দিন নিহত লামিয়ার বাবা মো. নুরুন্নবী বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে পরশুরাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

নিহত লামিয়ার বাবা মামলার বাদী মো. নুরুন্নবী আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি নিয়মিত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। শিগগিরই লামিয়া হত্যার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে বলে পুলিশ তাঁকে আশ্বস্ত করেছে। 

অপরদিকে ফেনীর পরশুরামের বাঁশপদুযা গ্রামের লামিয়া হত্যার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখন কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যার মূল রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি। হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে লামিয়ার সৎ মা আয়েশা আক্তার কারাগারে রয়েছেন। 

হত্যার ঘটনায় পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আয়েশা আক্তারকে পুলিশ দুই দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে আবর কারাগারে পাঠান। তিনি ফেনী কারাগারেই রয়েছেন। 

এ বিষয়ে পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসাইন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নিহার কাছ থেকে বিবরণ শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে পাস করা এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে স্কেচ করানো হয়েছে। আঁকা স্কেচ ইতিমধ্যে দেশের সব থানায় পাঠানো হয়েছে।’ 

ওসি আরও বলেন, ‘পুলিশ হত্যার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই হত্যার রহস্য উন্মোচিত করে মূল হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।’

আরও পড়ুন:–

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত