নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
‘পুলিশের অন্তর্কোন্দলে মাহমুদা আক্তার মিতু খুনের ঘটনা ঘটেছে। বাবুল আক্তার এই কাজ করতে পারেন না। বাবুল আক্তার সম্পূর্ণ নির্দোষ।’ হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন নিহত মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। এসব সাক্ষাৎকারের বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরার মুখে মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তিনি তখন এসব বলেননি।
এ বিষয়ে আজ বুধবার চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করলে এ কথা জানান মামলার বাদী মোশাররফ।
এ নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো মিতুর বাবাকে জেরা করা হয়েছে। দুপুরে শুরু হওয়া এই জেরাপর্ব অসম্পন্ন রেখে পরে বিকেলে এজলাসের কার্যক্রম শেষ হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মিতু খুনের ঘটনার এক সপ্তাহ পর বাবুল আক্তারকে যখন ডিবি পুলিশ ঢাকায় নিয়ে ২৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে মোশাররফ হোসেন এমন সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। যা পরবর্তী সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাপানো হয়েছিল। এ সময় তিনি জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তিও দাবি করেন।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, ‘মোশাররফ হোসেন তখন বক্তব্য দিয়েছিলেন বাবুল আক্তার নির্দোষ। কিন্তু এখন আবার উনি বলছেন বাবুল আক্তার মিতু খুনে জড়িত। তখনকার ওই বক্তব্য ও এখনকার বক্তব্যের বিষয়ে উনাকে প্রশ্ন করেছিলাম, কিন্তু তিনি এসব বলেননি বলে আমাদের জানান। গণমাধ্যমের বিষয়ে বললেও মনে নাই বলে জানান মোশাররফ।’
অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ আরও বলেন, ‘আমরা আরেকটি বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। মিতু খুনের ঘটনার পর বাবুল আক্তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেনের বাসায় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ছিলেন। তখন পুলিশকে ধরিয়ে দেননি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে মোশাররফ বলেন, ‘‘আমি পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ব্যবস্থা নেয়নি।” এভাবে আদালতে দেওয়া মোশারফের সাক্ষ্যের ওপর আরও কিছু বিষয়ে তাঁকে জেরা করেছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার সাক্ষী মোশাররফ হোসেনকে জেরা চলমান রয়েছে। ১৬ মে মামলাটির পরবর্তী নির্ধারিত তারিখেও উনাকে জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।’
চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গত ৯ এপ্রিল এই আদালতে প্রথম সাক্ষী হিসেবে মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২ মে তাঁর সাক্ষ্য দেওয়া শেষে ওই দিনই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে আংশিক জেরা করার সুযোগ পান। এরপর ৮ মে ও সর্বশেষ বুধবারও (১০ মে) আসামিপক্ষের আইনজীবীরা নিহত মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশারফকে জেরা করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, মামলার বাদী আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে যেসব কথা বলেছেন, কিছু বিষয়ে তারা মিল খুঁজে পাননি।
এর আগে দুপুরে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামি বাবুল আক্তারসহ তিন আসামিকে আদালতের এজলাসে আনা হয়। এদিন বাবুল ছাড়াও এ মামলায় আরও চার আসামি এহতেশামুল হক ভোলা (৫৪), মোতালেব মিয়া ওয়াসিম (৩৩), আনোয়ার হোসেন (২৮) ও শাহজাহান মিয়া (২৮) উপস্থিত ছিলেন। এঁদের মধ্যে এহতেশামুল হক ভোলা জামিনে আছেন। মামলায় আরও দুই আসামি মুসা ও কালু পলাতক আছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে নগরীর জিইসি এলাকায় মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন ৬ জুন নিহতের স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। ডিবির হাত ঘুরে পরে মামলাটি পিবিআইয়ের হাতে আসে। ২০২১ সালে ১১ মে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। পরদিন ১২ মে বুধবার পিবিআইর প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বাবুল নিজেই তাঁর স্ত্রী হত্যার সঙ্গে ‘জড়িত’। বাবুলের করা মামলাটিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলাটির তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা। একই দিন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে নতুন একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর বাবুল কারাগারে রয়েছে। ২০২১ সালে মার্চে বাবুলের শ্বশুরের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে আদালতের অনুমতিতে ওই মামলার ডকেট বাবুলকের করা মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে তদন্ত চালায় পিবিআই। তদন্ত শেষে ২০২২ সালে ১০ অক্টোবর মামলার বাদী বাবুলকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করেন। গত ১৩ মার্চ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
‘পুলিশের অন্তর্কোন্দলে মাহমুদা আক্তার মিতু খুনের ঘটনা ঘটেছে। বাবুল আক্তার এই কাজ করতে পারেন না। বাবুল আক্তার সম্পূর্ণ নির্দোষ।’ হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন নিহত মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। এসব সাক্ষাৎকারের বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরার মুখে মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তিনি তখন এসব বলেননি।
এ বিষয়ে আজ বুধবার চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করলে এ কথা জানান মামলার বাদী মোশাররফ।
এ নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো মিতুর বাবাকে জেরা করা হয়েছে। দুপুরে শুরু হওয়া এই জেরাপর্ব অসম্পন্ন রেখে পরে বিকেলে এজলাসের কার্যক্রম শেষ হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মিতু খুনের ঘটনার এক সপ্তাহ পর বাবুল আক্তারকে যখন ডিবি পুলিশ ঢাকায় নিয়ে ২৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে মোশাররফ হোসেন এমন সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। যা পরবর্তী সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাপানো হয়েছিল। এ সময় তিনি জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তিও দাবি করেন।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, ‘মোশাররফ হোসেন তখন বক্তব্য দিয়েছিলেন বাবুল আক্তার নির্দোষ। কিন্তু এখন আবার উনি বলছেন বাবুল আক্তার মিতু খুনে জড়িত। তখনকার ওই বক্তব্য ও এখনকার বক্তব্যের বিষয়ে উনাকে প্রশ্ন করেছিলাম, কিন্তু তিনি এসব বলেননি বলে আমাদের জানান। গণমাধ্যমের বিষয়ে বললেও মনে নাই বলে জানান মোশাররফ।’
অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ আরও বলেন, ‘আমরা আরেকটি বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। মিতু খুনের ঘটনার পর বাবুল আক্তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেনের বাসায় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ছিলেন। তখন পুলিশকে ধরিয়ে দেননি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে মোশাররফ বলেন, ‘‘আমি পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ব্যবস্থা নেয়নি।” এভাবে আদালতে দেওয়া মোশারফের সাক্ষ্যের ওপর আরও কিছু বিষয়ে তাঁকে জেরা করেছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার সাক্ষী মোশাররফ হোসেনকে জেরা চলমান রয়েছে। ১৬ মে মামলাটির পরবর্তী নির্ধারিত তারিখেও উনাকে জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।’
চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গত ৯ এপ্রিল এই আদালতে প্রথম সাক্ষী হিসেবে মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২ মে তাঁর সাক্ষ্য দেওয়া শেষে ওই দিনই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে আংশিক জেরা করার সুযোগ পান। এরপর ৮ মে ও সর্বশেষ বুধবারও (১০ মে) আসামিপক্ষের আইনজীবীরা নিহত মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশারফকে জেরা করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, মামলার বাদী আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে যেসব কথা বলেছেন, কিছু বিষয়ে তারা মিল খুঁজে পাননি।
এর আগে দুপুরে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামি বাবুল আক্তারসহ তিন আসামিকে আদালতের এজলাসে আনা হয়। এদিন বাবুল ছাড়াও এ মামলায় আরও চার আসামি এহতেশামুল হক ভোলা (৫৪), মোতালেব মিয়া ওয়াসিম (৩৩), আনোয়ার হোসেন (২৮) ও শাহজাহান মিয়া (২৮) উপস্থিত ছিলেন। এঁদের মধ্যে এহতেশামুল হক ভোলা জামিনে আছেন। মামলায় আরও দুই আসামি মুসা ও কালু পলাতক আছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে নগরীর জিইসি এলাকায় মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন ৬ জুন নিহতের স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। ডিবির হাত ঘুরে পরে মামলাটি পিবিআইয়ের হাতে আসে। ২০২১ সালে ১১ মে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। পরদিন ১২ মে বুধবার পিবিআইর প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বাবুল নিজেই তাঁর স্ত্রী হত্যার সঙ্গে ‘জড়িত’। বাবুলের করা মামলাটিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলাটির তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা। একই দিন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে নতুন একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর বাবুল কারাগারে রয়েছে। ২০২১ সালে মার্চে বাবুলের শ্বশুরের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে আদালতের অনুমতিতে ওই মামলার ডকেট বাবুলকের করা মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে তদন্ত চালায় পিবিআই। তদন্ত শেষে ২০২২ সালে ১০ অক্টোবর মামলার বাদী বাবুলকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করেন। গত ১৩ মার্চ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৬ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে