Ajker Patrika

গুলশানে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা: মাস্টারমাইন্ডসহ গ্রেপ্তার ২

 উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদ ও মামুন ওরফে বেলাল। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদ ও মামুন ওরফে বেলাল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশানে ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সুমন মিয়া ওরফে সুমনকে গুলি করে হত্যার ঘটনার মাস্টারমাইন্ডসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। পটুয়াখালী সদরের চৌরাস্তা এবং গাজীপুরের টঙ্গী থানা এলাকা তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার র‍্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপস অ্যান্ড মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালমান নূর আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

র‍্যাবের তথ্য অনুযায়ী- গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদ (৫৯)। তিনি ঝালকাঠি সদরের সঞ্জয়পুর গ্রামের মৃত এম এ আজিজের বড় ছেলে। সাঈদ রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে থাকতেন। অপরজন হলেন- মামুন ওরফে বেলাল (৪২)। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে।

র‍্যাব কর্মকর্তা সালমান নূর আলম বলেন, ‘গুলশানে ডিশ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পটুয়াখালী থেকে মাস্টারমাইন্ড ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদ এবং গাজীপুরের টঙ্গী থেকে মামুন ওরফে বেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

নূরে আলম বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় ছায়াতদন্ত ও মাঠ পর্যায়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়—মেহেদী নামের এক সন্ত্রাসী ওয়াসির মাহমুদ সাঈদের মাধ্যমে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে বিগত কয়েক বছর যাবৎ গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মেহেদী পালিয়ে যায় এবং তাঁর বাহিনীর সদস্য সাঈদের মাধ্যমে গুলশান ও বাড্ডা এলাকার চাঁদা সংগ্রহ করে।’

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সরকার পতনের পর আরেকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ “রবিন গ্রুপের” হয়ে সুমন গুলশান বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি শুরু করে। গুলশান এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে রবিন গ্রুপের সুমনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের কারণে মেহেদী গ্রুপের প্রধান মেহেদীর নির্দেশে সুমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে সাঈদ। হত্যার ঘটনার আনুমানিক ৮ থেকে ১০ দিন আগে সুমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেলাল ও মামুনের নেতৃত্বে মেহেদী গ্রুপের ৪-৫ জন সন্ত্রাসী দিয়ে একটি কিলার গ্রুপ গঠন করে সাঈদ। মেহেদী গ্রুপের সদস্যরা প্রতিদিন সুমনের ওপর নজর রাখত।’

সালমান নূর আলম বলেন, ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মেহেদী গ্রুপের একটি কিলার গ্রুপ সাঈদের বাসায় মিটিং করে এবং তাঁর বাসা থেকে অস্ত্র নিয়ে গুলশানে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেহেদীর বাহিনীর সদস্যরা সুমনকে গুলশান-১ পুলিশ প্লাজায় ডাক্তার ফজলে রাব্বি পার্কের সামনে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়ে গুলি করে। সুমন গুলিবিদ্ধ হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা তাঁকে আরও কয়েকটি গুলি করে। পরে সুমনের মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা কৌশলে পালিয়ে যায়।’

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে রাজধানীর গুলশানের পুলিশ প্লাজার সামনে গুলশান - বনানী এলাকার ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সুমন মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় যে কারণে চীনের সঙ্গে পেরে উঠছে না ভারত

মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ঢাকা: প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপিকে বৈষম্যবিরোধীদের বাধা

নির্বাচনে প্রার্থীর প্রচারে পোস্টার থাকছে না

মিয়ানমার যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল

নেপালে রাজতন্ত্র ও হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে বিক্ষোভের পেছনে কারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত