রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির মহোৎসব চলছে। অবৈধভাবে কয়েক শ বিঘা ফসলি জমির মাটি কেটে সাবাড় করছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। এরই মধ্যে কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে মাটি কাটায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনেছে প্রশাসন, কিন্তু তবু থামছে না তাদের দৌরাত্ম্য।
সম্প্রতি উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের পোড়াদিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বহন করা হচ্ছে ট্রাক্টরে (মাহিন্দ্র গাড়ি) করে। এতে গ্রামীণ বিভিন্ন সড়ক ভেঙেচুরে গেছে। পোড়াদিয়া-চালাকচর সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। ওই এলাকার গাছগাছালি, বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েছে ধুলার আস্তরণ।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, উপজেলার পাটুলী, সল্লাবাদ, বাজনাব, নারায়ণপুর, বিন্নাবাইদ ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানে রাত দিন ভেকু (এক্সকাভেটর) মেশিন দিয়ে গভীর গর্ত করে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। গভীর গর্ত করে মাটি কাটার ফলে ফসলি জমিগুলো পরিণত হয়েছে জলাশয়ে। সবচেয়ে বেশি মাটি কাটা হচ্ছে উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের উত্তর পোড়াদিয়া ও মোঘা এলাকায়। মাটিবাহী যানবাহনের কারণে ওই এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থাও বেহাল।
এদিকে গত সোমবার পাটুলী ইউনিয়নের উত্তর পোড়াদিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় সরাসরি ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে বালুমহাল আইনে বিলাল মিয়া ও লুলু মিয়া নামের দুই ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে দুজনকে শাস্তি দিলেও স্থানীয়রা বলছেন, মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত আরও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাটুলী ইউনিয়নের একজন জনপ্রতিনিধি জানান, উত্তর মোঘা গ্রামের আকরাম হোসেন; মোঘা গ্রামের কবির, আল আমিন, কবির, কালাম, আলামিন, শ্যামল মিয়া, আসাদ মিয়া, শফিকুল ইসলাম; পোড়াদিয়া গ্রামের সেলিম মিয়া, আসাদ মিয়া, রিপন মিয়া, বাবুল মিয়া, এমরান হোসেন; উত্তর পোড়াদিয়া গ্রামের মোবারক, রঙ্গু মিয়া; টংগীরটেক গ্রামের আলম মিয়াসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা বছরের পর বছর ওই এলাকার শত শত একর ফসলি জমি থেকে দেদার মাটি কাটছেন।
উপজেলার সল্লাবাদ, বাজনাব, বিন্নাবাইদসহ বিভিন্ন এলাকায়ও চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দলসহ বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও রয়েছেন কয়েকজন। তাঁদের ভয়ে এলাকার কেউ কথা বলতে পারছেন না। কৃষকদের একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিয়ে আবার অনেক ক্ষেত্রে কৃষকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও মাটি কেটে নেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
পোড়াদিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হক ছন্দু, মিলন মিয়া, মোরাদ মিয়াসহ বেশ কয়েকজন জানান, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরেই ফসলি জমির মাটি কাটছেন। কিন্তু কীভাবে কাটছেন, সে সম্পর্কে জানেন না তাঁরা।
সচেতন এলাকাবাসী মনে করছেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এভাবে মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। কৃষিজমি রক্ষায় সরকারের কড়া নির্দেশ থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে দু-একজনকে সাজার আওতায়
আনা হলেও জড়িতদের বেশির ভাগই থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্কুলশিক্ষার্থী আমিনুল হক বলে, ‘প্রতিদিন রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে স্কুলে যেতে হয়। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি আনা-নেওয়ার কারণে চলাচলের রাস্তা বেহাল।’
পাটুলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আক্তার হোসেন বলেন, ‘তাঁরা (অভিযুক্তরা) দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে ফসলি জমির মাটি কাটছে। তাঁদের শক্তি যে কোথায় জানি না। আমরা চাই মাটি কাটা যেন দ্রুত বন্ধ হয়।’
পাটুলী ইউপির চেয়ারম্যান ইফরানুল হক ভূঁইয়া জামান বলেন, ‘মাটি কাটা বন্ধে বারবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা থামছে না। অভিযানের পরও তাঁরা কীভাবে মাটি কাটে, বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। ফসলি জমি রক্ষা ও কৃষক বাঁচাতে মাটি কাটা বন্ধ করা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইল বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুর করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সবেমাত্র বেলাবতে যোগদান করেছি। সম্প্রতি মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত দুজনকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছি। পর্যায়ক্রমে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির মহোৎসব চলছে। অবৈধভাবে কয়েক শ বিঘা ফসলি জমির মাটি কেটে সাবাড় করছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। এরই মধ্যে কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে মাটি কাটায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনেছে প্রশাসন, কিন্তু তবু থামছে না তাদের দৌরাত্ম্য।
সম্প্রতি উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের পোড়াদিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বহন করা হচ্ছে ট্রাক্টরে (মাহিন্দ্র গাড়ি) করে। এতে গ্রামীণ বিভিন্ন সড়ক ভেঙেচুরে গেছে। পোড়াদিয়া-চালাকচর সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। ওই এলাকার গাছগাছালি, বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েছে ধুলার আস্তরণ।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, উপজেলার পাটুলী, সল্লাবাদ, বাজনাব, নারায়ণপুর, বিন্নাবাইদ ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানে রাত দিন ভেকু (এক্সকাভেটর) মেশিন দিয়ে গভীর গর্ত করে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। গভীর গর্ত করে মাটি কাটার ফলে ফসলি জমিগুলো পরিণত হয়েছে জলাশয়ে। সবচেয়ে বেশি মাটি কাটা হচ্ছে উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের উত্তর পোড়াদিয়া ও মোঘা এলাকায়। মাটিবাহী যানবাহনের কারণে ওই এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থাও বেহাল।
এদিকে গত সোমবার পাটুলী ইউনিয়নের উত্তর পোড়াদিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় সরাসরি ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে বালুমহাল আইনে বিলাল মিয়া ও লুলু মিয়া নামের দুই ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে দুজনকে শাস্তি দিলেও স্থানীয়রা বলছেন, মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত আরও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাটুলী ইউনিয়নের একজন জনপ্রতিনিধি জানান, উত্তর মোঘা গ্রামের আকরাম হোসেন; মোঘা গ্রামের কবির, আল আমিন, কবির, কালাম, আলামিন, শ্যামল মিয়া, আসাদ মিয়া, শফিকুল ইসলাম; পোড়াদিয়া গ্রামের সেলিম মিয়া, আসাদ মিয়া, রিপন মিয়া, বাবুল মিয়া, এমরান হোসেন; উত্তর পোড়াদিয়া গ্রামের মোবারক, রঙ্গু মিয়া; টংগীরটেক গ্রামের আলম মিয়াসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা বছরের পর বছর ওই এলাকার শত শত একর ফসলি জমি থেকে দেদার মাটি কাটছেন।
উপজেলার সল্লাবাদ, বাজনাব, বিন্নাবাইদসহ বিভিন্ন এলাকায়ও চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দলসহ বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও রয়েছেন কয়েকজন। তাঁদের ভয়ে এলাকার কেউ কথা বলতে পারছেন না। কৃষকদের একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিয়ে আবার অনেক ক্ষেত্রে কৃষকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও মাটি কেটে নেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
পোড়াদিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হক ছন্দু, মিলন মিয়া, মোরাদ মিয়াসহ বেশ কয়েকজন জানান, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরেই ফসলি জমির মাটি কাটছেন। কিন্তু কীভাবে কাটছেন, সে সম্পর্কে জানেন না তাঁরা।
সচেতন এলাকাবাসী মনে করছেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এভাবে মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। কৃষিজমি রক্ষায় সরকারের কড়া নির্দেশ থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে দু-একজনকে সাজার আওতায়
আনা হলেও জড়িতদের বেশির ভাগই থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্কুলশিক্ষার্থী আমিনুল হক বলে, ‘প্রতিদিন রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে স্কুলে যেতে হয়। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি আনা-নেওয়ার কারণে চলাচলের রাস্তা বেহাল।’
পাটুলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আক্তার হোসেন বলেন, ‘তাঁরা (অভিযুক্তরা) দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে ফসলি জমির মাটি কাটছে। তাঁদের শক্তি যে কোথায় জানি না। আমরা চাই মাটি কাটা যেন দ্রুত বন্ধ হয়।’
পাটুলী ইউপির চেয়ারম্যান ইফরানুল হক ভূঁইয়া জামান বলেন, ‘মাটি কাটা বন্ধে বারবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা থামছে না। অভিযানের পরও তাঁরা কীভাবে মাটি কাটে, বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। ফসলি জমি রক্ষা ও কৃষক বাঁচাতে মাটি কাটা বন্ধ করা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইল বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুর করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সবেমাত্র বেলাবতে যোগদান করেছি। সম্প্রতি মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত দুজনকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছি। পর্যায়ক্রমে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে