বিএলআরআই
অরূপ রায়, সাভার (ঢাকা)
ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) ১১টি অকেজো গাড়ি বছরের পর বছর ধরে খোলা জায়গায় পড়ে রয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন ও গবেষণা প্রকল্পের জন্য কেনা এসব যান এখন মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। চুরি হচ্ছে যন্ত্রাংশ। গাড়িগুলো এভাবে ফেলে না রেখে নিলামে বিক্রি করা হলে সরকারের এ খাত থেকে আয় হতো বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
বিএলআরআই সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নানা ধরনের ৩৭টি যানবাহন কেনা হয়। এর মধ্যে ছিল মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, জিপ, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার। এর মধ্যে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত কেনা ছয়টি জিপ, তিনটি পিকআপ ভ্যান এবং একটি করে মিনিবাস ও ট্রাক বেশ কয়েক বছর আগে অকেজো ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে এসব যান খোলা জায়গায় পড়ে আছে।
সম্প্রতি বিএলআরআইয়ে গিয়ে প্রশাসনিক ভবনের পেছনে জীর্ণপ্রায় একটি ট্রাক ও একটি মিনিবাস পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে ১০০ ফুট দূরে পড়ে ছিল জীর্ণ তিনটি জিপ ও দুটি পিকআপ ভ্যান। জিপ ও পিকআপগুলোর অধিকাংশ যন্ত্রই চুরি হয়ে গেছে। বাকি চারটি যানবাহন প্রতিষ্ঠানের ভেতরে অন্য কোনো স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে বলে জানান এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে কেনা ১১টি যানবাহন প্রকল্পের কাজ ছাড়াও কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কাজে যত্রতত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গাড়িগুলো অনেকটা চালানোর অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মেরামত করে করে তা প্রকল্প চলাকালে সচল রাখা হয়। পরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে তা উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রাখা হয়। অবহেলায় ফেলে রাখা এসব যানবাহনের অনেক যন্ত্র চুরি হয়ে যায়।
এ কর্মকর্তা আরও মনে করেন, অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ১১টি যানবাহনের যে পরিমাণ মেরামতের প্রয়োজন ছিল তা করা হয়নি। কিন্তু খরচ ঠিকই দেখানো হয়েছে। এ কারণে এগুলো অল্প সময়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএলআরআইয়ের তথ্য কর্মকর্তা দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ‘যানবাহনগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল তাই ফেলে রাখা হয়েছে। নিলামে কেন বিক্রি করা হয়নি তা আমার জানা নেই। এসব যানবাহন থেকে কোনো যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে কি না তাও জানা নেই।’ ব্যক্তিগত কাজে অনেক কর্মকর্তা প্রকল্পের যানবাহন ব্যবহার করে থাকেন বলে জানান তিনি।
তথ্য দিতে অসহযোগিতা: ৩৭টি গাড়ির ক্রয়মূল্য এবং এ পর্যন্ত প্রতিটির মেরামত ও জ্বালানি খরচের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালকের দপ্তরে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয়নি। পরে এ বিষয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে দেবজ্যোতি বলেন, ‘আমি সব প্রকল্প পরিচালকের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছি। কেউ আমাকে তথ্য দেননি।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে সংস্থার মহাপরিচালক (সাময়িক দায়িত্ব) শাকিলা ফারুককে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) ১১টি অকেজো গাড়ি বছরের পর বছর ধরে খোলা জায়গায় পড়ে রয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন ও গবেষণা প্রকল্পের জন্য কেনা এসব যান এখন মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। চুরি হচ্ছে যন্ত্রাংশ। গাড়িগুলো এভাবে ফেলে না রেখে নিলামে বিক্রি করা হলে সরকারের এ খাত থেকে আয় হতো বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
বিএলআরআই সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নানা ধরনের ৩৭টি যানবাহন কেনা হয়। এর মধ্যে ছিল মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, জিপ, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার। এর মধ্যে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত কেনা ছয়টি জিপ, তিনটি পিকআপ ভ্যান এবং একটি করে মিনিবাস ও ট্রাক বেশ কয়েক বছর আগে অকেজো ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে এসব যান খোলা জায়গায় পড়ে আছে।
সম্প্রতি বিএলআরআইয়ে গিয়ে প্রশাসনিক ভবনের পেছনে জীর্ণপ্রায় একটি ট্রাক ও একটি মিনিবাস পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে ১০০ ফুট দূরে পড়ে ছিল জীর্ণ তিনটি জিপ ও দুটি পিকআপ ভ্যান। জিপ ও পিকআপগুলোর অধিকাংশ যন্ত্রই চুরি হয়ে গেছে। বাকি চারটি যানবাহন প্রতিষ্ঠানের ভেতরে অন্য কোনো স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে বলে জানান এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে কেনা ১১টি যানবাহন প্রকল্পের কাজ ছাড়াও কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কাজে যত্রতত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গাড়িগুলো অনেকটা চালানোর অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মেরামত করে করে তা প্রকল্প চলাকালে সচল রাখা হয়। পরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে তা উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রাখা হয়। অবহেলায় ফেলে রাখা এসব যানবাহনের অনেক যন্ত্র চুরি হয়ে যায়।
এ কর্মকর্তা আরও মনে করেন, অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ১১টি যানবাহনের যে পরিমাণ মেরামতের প্রয়োজন ছিল তা করা হয়নি। কিন্তু খরচ ঠিকই দেখানো হয়েছে। এ কারণে এগুলো অল্প সময়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএলআরআইয়ের তথ্য কর্মকর্তা দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ‘যানবাহনগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল তাই ফেলে রাখা হয়েছে। নিলামে কেন বিক্রি করা হয়নি তা আমার জানা নেই। এসব যানবাহন থেকে কোনো যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে কি না তাও জানা নেই।’ ব্যক্তিগত কাজে অনেক কর্মকর্তা প্রকল্পের যানবাহন ব্যবহার করে থাকেন বলে জানান তিনি।
তথ্য দিতে অসহযোগিতা: ৩৭টি গাড়ির ক্রয়মূল্য এবং এ পর্যন্ত প্রতিটির মেরামত ও জ্বালানি খরচের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালকের দপ্তরে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয়নি। পরে এ বিষয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে দেবজ্যোতি বলেন, ‘আমি সব প্রকল্প পরিচালকের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছি। কেউ আমাকে তথ্য দেননি।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে সংস্থার মহাপরিচালক (সাময়িক দায়িত্ব) শাকিলা ফারুককে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪