অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। এই বিষয়টি সত্যিই অস্বাভাবিক। ড. ইউনূস বাংলাদেশে অর্থপাচারকে ‘সরাসরি ডাকাতি’ বলে অভিহিত করে তা থেকে টিউলিপ সুবিধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এবং তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের সঙ্গে টিউলিপের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পর পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়। বিপদে থাকা ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ে। তিনি চীন সফরে যাওয়া সরকারি প্রতিনিধিদলে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকেন এবং মন্ত্রীদের আচরণবিধি নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসের কাছে বিষয়টি তদন্তের জন্য তুলে দেন এবং অবশেষে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন। টিউলিপ তাঁর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন।
চলতি মাসে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, টিউলিপ তাঁর খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ডেভেলপারের কাছ থেকে লন্ডনের কেন্দ্রে একটি দুই-বেডরুমের ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছেন। টিউলিপ দাবি করেন, এই ফ্ল্যাটটি তিনি তাঁর বাবা-মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন। তবে ম্যাগনাসকে তিনি জানান, এই বাড়িটি যে একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর উপহার ছিল তা তিনি সম্প্রতি জানতে পেরেছেন।
টিউলিপ ২০১৮ সাল পর্যন্ত হ্যাম্পস্টেডে তাঁর ছোট বোনের নামে থাকা আরেকটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। এই ফ্ল্যাটটিও হাসিনা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেক ব্যবসায়ী উপহার দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যবসায়ীর ভাড়া করা বাড়িতে বসবাস করছেন। ২০১৫ সালে সিদ্দিক প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনে জয়ের পর তিনি তাঁর সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান, বিশেষ করে ব্রিটিশ আওয়ামী লীগের বাংলাদেশি সদস্যদের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে ২০১৩ সালের একটি ছবি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ছবিটিতে তাঁকে তাঁর খালা হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা গেছে। ছবিটি বাংলাদেশে ১২ বিলিয়ন ডলারের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তোলা। টিউলিপ দাবি করেন, এটি স্রেফ একটি পারিবারিক সফর এবং তিনি সেখানে গিয়েছিলেন পর্যটক হিসেবে। ম্যাগনাস তার ব্যাখ্যা মেনে নিয়েছেন। তবে এখন টিউলিপ বাংলাদেশের ওই চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির তদন্তের মুখোমুখি।
এদিকে, লরি ম্যাগনাস লন্ডনে টিউলিপের বাড়িগুলোর বিষয়েও কোনো নিয়ম ভঙ্গের প্রমাণ পাননি এবং লেনদেনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেননি। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর কাছে তথ্য ছিল সীমিত এবং টিউলিপের পারিবারিক সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট ভাবমূর্তি ঝুঁকি সম্পর্কে আরও সচেতন হতে পারতেন। তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার টিউলিপের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে চাইলে করতে পারেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায়, টিউলিপ পদত্যাগে বাধ্য হন।
তবে হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে হয়তো বিষয়গুলো ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু গত বছর আগস্টে হাসিনার ক্রমবর্ধমান অজনপ্রিয় শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তিনি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। রাজধানী ঢাকার রাস্তায় শিক্ষার্থীরা মিছিল করে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারদের জন্য নির্ধারিত সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটার অবসান দাবি জানায়। এই কোটা ছিল এক ধরনের স্বজনপ্রীতির নিদর্শন, যা হাসিনার দলের সমর্থকদের জন্য চিরস্থায়ী সুবিধা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল।
হাসিনা পুলিশকে বলপ্রয়োগের নির্দেশ দেন এবং প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারী নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই ছিল নিরস্ত্র। এমনকি অনেককে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। শিক্ষার্থীদের কথা শোনার পরিবর্তে হাসিনা তাদের ‘রাজাকার’ বলে আখ্যায়িত করেন। এই শব্দটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের সমর্থনকারীদের চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত একটি অত্যন্ত অবমাননাকর শব্দ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ছিল রক্তক্ষয়ী। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পর ভারত থেকে আলাদা হয়ে পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তানের পশ্চিম অংশ ছিল পাঞ্জাবি-প্রধান এবং পূর্ব অংশ ছিল বাংলা ভাষাভাষী। এই দুই অংশের মধ্যে ছিল ১ হাজার মাইলেরও বেশি দূরত্ব।
পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ চেয়েছিল বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে, কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ১৯৬০-এর দশকে এই ভাষা প্রশ্ন নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করে। এই জয় এতটাই বিশাল ছিল যে, তারা পুরো পাকিস্তান শাসনের মতো আসন পায়। এই ফলাফল পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃত্ব, বিশেষ করে সামরিক কর্মকর্তাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তোলে।
এর ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের মার্চে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চালায়। যার ফলে হাজার হাজার পূর্ব পাকিস্তানির মৃত্যু হয় এবং নেতাদের (যাদের মধ্যে মুজিবও ছিলেন) কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর নয় মাসব্যাপী যুদ্ধে, লাখো বাংলাদেশি নিহত হন এবং অনেক নারী ধর্ষণের শিকার হন, প্রায় ১ কোটি শরণার্থী ভারতে চলে যায়। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রথমদিকে নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দেন এবং বাংলাদেশের গেরিলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। কিন্তু ওই বছর ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করলে ভারত পাল্টা আক্রমণ করে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বেশির ভাগ শরণার্থী বাংলাদেশে ফিরে আসে। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে মুজিব বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন।
মুজিবের জনপ্রিয়তা ১৯৭৪ সালের পর ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয় এবং বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ আঘাত হানে। নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারে তিনি এক দলীয় শাসনব্যবস্থা গঠন করেন এবং নির্বাহী আদেশে দেশ শাসন করতে থাকেন। ১৯৭৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা এক অভ্যুত্থান চালায় এবং মুজিব ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে। হাসিনা এবং তাঁর বোন রেহানা (টিউলিপের মা) বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।
হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন এবং বাংলাদেশে জেনারেল এরশাদের স্বৈরশাসনের কবল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শরিক হন। এরশাদের পতনের পর দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচনে তিনি ১৯৯৬ সালে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেন। ২০০৮ সালে তিনি আবার ক্ষমতায় ফেরেন। সাম্প্রতিক বাংলাদেশের ইতিহাসে শেষবারের মতো সত্যিকার অর্থে মুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচনটি ছিল ২০০৮ সালের নির্বাচন। এরপর হাসিনা ধীরে ধীরে একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করতে থাকেন। যদিও আওয়ামী লীগ পর পর তিনটি নির্বাচন জয়লাভ করে কিন্তু প্রধান বিরোধী দল ও অন্যান্য দলগুলো জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট করে।
হাসিনা সরকারের আমলে গুম, নিখোঁজ এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে যায়। পাশাপাশি গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়। ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। হাসিনা তাঁর পিতার খ্যাতি পুনঃস্থাপনে অনেক কাজ করলেও তাঁর শাসনামলের এত বিরোধিতা সৃষ্টি হয় যে, তাঁর পতনের পর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়ি আক্রমণ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, তাঁর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়।
মুজিবের অসম্মানের জন্য হাসিনা অনেকাংশেই দায়ী। তিনি নিজেকে সারা বিশ্বের কাছে ধর্মীয় মৌলবাদ মোকাবিলায় দৃঢ় অবস্থানে থাকা একজন নেতা হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো একজন শক্তিশালী মিত্র পেয়েছিলেন। অন্যদিকে, টিউলিপ বহু জায়গায়, যেমন—সিরিয়া ও গাজায় মানবাধিকার নিয়ে সক্রিয়ভাবে কথা বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের দ্রুত অবনতি হওয়া মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অদ্ভুতভাবে নীরব থেকেছেন এবং বারবার বলেছেন যে তিনি কেবল ‘একজন ব্রিটিশ এমপি’।
শেষ পর্যন্ত, বাংলাদেশের সঙ্গে টিউলিপের সম্পর্কই তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বিপদ ডেকে আনে। হাসিনা সরকারের অধীনে দুর্নীতি ব্যাপক আকার ধারণ করে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ২ লাখ কোটি বিদেশে পাচার হয়েছে। এই অর্থ পাচার হয়েছে জোরপূর্বক ব্যাংক একীভূতকরণ, মিথ্যা আমদানি বিল এবং অন্যান্য অসংগত কার্যকলাপের মাধ্যমে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট টিউলিপ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যুক্ত সব ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের বিবরণ সংগ্রহ করার জন্য স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশে রেজিম পরিবর্তনের সুযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই প্রতিশোধ নিতে তাদের পূর্বসূরিদের বিরুদ্ধে মামলা এবং তদন্তের মাধ্যমে বিদ্বেষ চরিতার্থ করে থাকে। কিন্তু হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো (এবং টিউলিপ সম্পর্কে ওঠা প্রশ্নগুলো) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। রাজনীতিবিদদের অভিযোগ তোলার পেছনে যাই উদ্দেশ্য থাকুক না কেন, বাস্তবতা হলো—বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাতিল করেছিল বিশ্বাসযোগ্য দুর্নীতির অভিযোগের কারণে। এ ছাড়া, হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষা কর্মীদের দমন করার ঘটনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
রাজনীতি একটি নির্মম ক্ষেত্র। টিউলিপ এমন দুটি জগতের অংশীদার হয়ে উঠেছিলেন, যেখানে আলাদা নিয়মে খেলা চলে। এখন তাঁর পরিবারের সুনাম বাংলাদেশ এবং ব্রিটেন—উভয় জায়গায়ই কলঙ্কিত। আর তিনি কোনো জায়গাতেই সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছেন না।
দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক ও সাংবাদিক সলিল ত্রিপাঠির লেখা থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। এই বিষয়টি সত্যিই অস্বাভাবিক। ড. ইউনূস বাংলাদেশে অর্থপাচারকে ‘সরাসরি ডাকাতি’ বলে অভিহিত করে তা থেকে টিউলিপ সুবিধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এবং তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের সঙ্গে টিউলিপের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পর পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়। বিপদে থাকা ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ে। তিনি চীন সফরে যাওয়া সরকারি প্রতিনিধিদলে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকেন এবং মন্ত্রীদের আচরণবিধি নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসের কাছে বিষয়টি তদন্তের জন্য তুলে দেন এবং অবশেষে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন। টিউলিপ তাঁর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন।
চলতি মাসে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, টিউলিপ তাঁর খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ডেভেলপারের কাছ থেকে লন্ডনের কেন্দ্রে একটি দুই-বেডরুমের ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছেন। টিউলিপ দাবি করেন, এই ফ্ল্যাটটি তিনি তাঁর বাবা-মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন। তবে ম্যাগনাসকে তিনি জানান, এই বাড়িটি যে একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর উপহার ছিল তা তিনি সম্প্রতি জানতে পেরেছেন।
টিউলিপ ২০১৮ সাল পর্যন্ত হ্যাম্পস্টেডে তাঁর ছোট বোনের নামে থাকা আরেকটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। এই ফ্ল্যাটটিও হাসিনা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেক ব্যবসায়ী উপহার দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যবসায়ীর ভাড়া করা বাড়িতে বসবাস করছেন। ২০১৫ সালে সিদ্দিক প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনে জয়ের পর তিনি তাঁর সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান, বিশেষ করে ব্রিটিশ আওয়ামী লীগের বাংলাদেশি সদস্যদের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে ২০১৩ সালের একটি ছবি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ছবিটিতে তাঁকে তাঁর খালা হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা গেছে। ছবিটি বাংলাদেশে ১২ বিলিয়ন ডলারের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তোলা। টিউলিপ দাবি করেন, এটি স্রেফ একটি পারিবারিক সফর এবং তিনি সেখানে গিয়েছিলেন পর্যটক হিসেবে। ম্যাগনাস তার ব্যাখ্যা মেনে নিয়েছেন। তবে এখন টিউলিপ বাংলাদেশের ওই চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির তদন্তের মুখোমুখি।
এদিকে, লরি ম্যাগনাস লন্ডনে টিউলিপের বাড়িগুলোর বিষয়েও কোনো নিয়ম ভঙ্গের প্রমাণ পাননি এবং লেনদেনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেননি। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর কাছে তথ্য ছিল সীমিত এবং টিউলিপের পারিবারিক সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট ভাবমূর্তি ঝুঁকি সম্পর্কে আরও সচেতন হতে পারতেন। তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার টিউলিপের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে চাইলে করতে পারেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায়, টিউলিপ পদত্যাগে বাধ্য হন।
তবে হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে হয়তো বিষয়গুলো ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু গত বছর আগস্টে হাসিনার ক্রমবর্ধমান অজনপ্রিয় শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তিনি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। রাজধানী ঢাকার রাস্তায় শিক্ষার্থীরা মিছিল করে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারদের জন্য নির্ধারিত সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটার অবসান দাবি জানায়। এই কোটা ছিল এক ধরনের স্বজনপ্রীতির নিদর্শন, যা হাসিনার দলের সমর্থকদের জন্য চিরস্থায়ী সুবিধা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল।
হাসিনা পুলিশকে বলপ্রয়োগের নির্দেশ দেন এবং প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারী নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই ছিল নিরস্ত্র। এমনকি অনেককে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। শিক্ষার্থীদের কথা শোনার পরিবর্তে হাসিনা তাদের ‘রাজাকার’ বলে আখ্যায়িত করেন। এই শব্দটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের সমর্থনকারীদের চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত একটি অত্যন্ত অবমাননাকর শব্দ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ছিল রক্তক্ষয়ী। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পর ভারত থেকে আলাদা হয়ে পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তানের পশ্চিম অংশ ছিল পাঞ্জাবি-প্রধান এবং পূর্ব অংশ ছিল বাংলা ভাষাভাষী। এই দুই অংশের মধ্যে ছিল ১ হাজার মাইলেরও বেশি দূরত্ব।
পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ চেয়েছিল বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে, কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ১৯৬০-এর দশকে এই ভাষা প্রশ্ন নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করে। এই জয় এতটাই বিশাল ছিল যে, তারা পুরো পাকিস্তান শাসনের মতো আসন পায়। এই ফলাফল পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃত্ব, বিশেষ করে সামরিক কর্মকর্তাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তোলে।
এর ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের মার্চে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চালায়। যার ফলে হাজার হাজার পূর্ব পাকিস্তানির মৃত্যু হয় এবং নেতাদের (যাদের মধ্যে মুজিবও ছিলেন) কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর নয় মাসব্যাপী যুদ্ধে, লাখো বাংলাদেশি নিহত হন এবং অনেক নারী ধর্ষণের শিকার হন, প্রায় ১ কোটি শরণার্থী ভারতে চলে যায়। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রথমদিকে নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দেন এবং বাংলাদেশের গেরিলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। কিন্তু ওই বছর ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করলে ভারত পাল্টা আক্রমণ করে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বেশির ভাগ শরণার্থী বাংলাদেশে ফিরে আসে। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে মুজিব বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন।
মুজিবের জনপ্রিয়তা ১৯৭৪ সালের পর ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয় এবং বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ আঘাত হানে। নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারে তিনি এক দলীয় শাসনব্যবস্থা গঠন করেন এবং নির্বাহী আদেশে দেশ শাসন করতে থাকেন। ১৯৭৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা এক অভ্যুত্থান চালায় এবং মুজিব ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে। হাসিনা এবং তাঁর বোন রেহানা (টিউলিপের মা) বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।
হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন এবং বাংলাদেশে জেনারেল এরশাদের স্বৈরশাসনের কবল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শরিক হন। এরশাদের পতনের পর দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচনে তিনি ১৯৯৬ সালে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেন। ২০০৮ সালে তিনি আবার ক্ষমতায় ফেরেন। সাম্প্রতিক বাংলাদেশের ইতিহাসে শেষবারের মতো সত্যিকার অর্থে মুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচনটি ছিল ২০০৮ সালের নির্বাচন। এরপর হাসিনা ধীরে ধীরে একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করতে থাকেন। যদিও আওয়ামী লীগ পর পর তিনটি নির্বাচন জয়লাভ করে কিন্তু প্রধান বিরোধী দল ও অন্যান্য দলগুলো জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট করে।
হাসিনা সরকারের আমলে গুম, নিখোঁজ এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে যায়। পাশাপাশি গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়। ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। হাসিনা তাঁর পিতার খ্যাতি পুনঃস্থাপনে অনেক কাজ করলেও তাঁর শাসনামলের এত বিরোধিতা সৃষ্টি হয় যে, তাঁর পতনের পর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়ি আক্রমণ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, তাঁর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়।
মুজিবের অসম্মানের জন্য হাসিনা অনেকাংশেই দায়ী। তিনি নিজেকে সারা বিশ্বের কাছে ধর্মীয় মৌলবাদ মোকাবিলায় দৃঢ় অবস্থানে থাকা একজন নেতা হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো একজন শক্তিশালী মিত্র পেয়েছিলেন। অন্যদিকে, টিউলিপ বহু জায়গায়, যেমন—সিরিয়া ও গাজায় মানবাধিকার নিয়ে সক্রিয়ভাবে কথা বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের দ্রুত অবনতি হওয়া মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অদ্ভুতভাবে নীরব থেকেছেন এবং বারবার বলেছেন যে তিনি কেবল ‘একজন ব্রিটিশ এমপি’।
শেষ পর্যন্ত, বাংলাদেশের সঙ্গে টিউলিপের সম্পর্কই তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বিপদ ডেকে আনে। হাসিনা সরকারের অধীনে দুর্নীতি ব্যাপক আকার ধারণ করে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ২ লাখ কোটি বিদেশে পাচার হয়েছে। এই অর্থ পাচার হয়েছে জোরপূর্বক ব্যাংক একীভূতকরণ, মিথ্যা আমদানি বিল এবং অন্যান্য অসংগত কার্যকলাপের মাধ্যমে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট টিউলিপ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যুক্ত সব ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের বিবরণ সংগ্রহ করার জন্য স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশে রেজিম পরিবর্তনের সুযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই প্রতিশোধ নিতে তাদের পূর্বসূরিদের বিরুদ্ধে মামলা এবং তদন্তের মাধ্যমে বিদ্বেষ চরিতার্থ করে থাকে। কিন্তু হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো (এবং টিউলিপ সম্পর্কে ওঠা প্রশ্নগুলো) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। রাজনীতিবিদদের অভিযোগ তোলার পেছনে যাই উদ্দেশ্য থাকুক না কেন, বাস্তবতা হলো—বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাতিল করেছিল বিশ্বাসযোগ্য দুর্নীতির অভিযোগের কারণে। এ ছাড়া, হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষা কর্মীদের দমন করার ঘটনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
রাজনীতি একটি নির্মম ক্ষেত্র। টিউলিপ এমন দুটি জগতের অংশীদার হয়ে উঠেছিলেন, যেখানে আলাদা নিয়মে খেলা চলে। এখন তাঁর পরিবারের সুনাম বাংলাদেশ এবং ব্রিটেন—উভয় জায়গায়ই কলঙ্কিত। আর তিনি কোনো জায়গাতেই সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছেন না।
দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক ও সাংবাদিক সলিল ত্রিপাঠির লেখা থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
এ সপ্তাহে সংবাদপত্রের প্রথম পাতা বেশ রমরমা ছিল। প্রচুর নতুন নতুন খবর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের জ্বালাময়ী ভাষণ কিংবা হুমকি, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র, শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি, শুল্ক বাড়ার পরও মানুষের কষ্ট তেমন হবে না বলে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের জাদুকরি উক্তি...
১৬ ঘণ্টা আগেএকজন প্রবীণ শিক্ষাবিদ একটা ঘটনার কথা বললেন। বাস্তব সত্য ঘটনা। ঘটনা বলার সময় তিনি ভারাক্রান্ত ছিলেন। ঘটনাটি এমন যে সম্প্রতি এক সেমিনারে তিনি আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য প্রদানের আগে তিনি ছাত্রদের উদ্দেশে জানতে চাইলেন, কে কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছে...
১৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার ১৩ জানুয়ারি মাদারীপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভ্যাট বৃদ্ধিতে তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। সরকারের রাজস্ব ঘাটতি পূরণে ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয়টি যৌক্তিক বলে দাবি করে তিনি জানিয়েছেন, ভর্তুকি ও খাদ্য আমদানির জন্য রাজস্বের প্রয়োজন
১৭ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে যে কমিশনগুলো গঠিত হয়েছিল, তার চারটি কমিশন গত বুধবার তাদের খসড়া প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধানেরা এই দিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তাঁদের প্রতিবেদনগুলো...
১৭ ঘণ্টা আগে