নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিজেকে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ভিসি পরিচয় দিয়ে আসছিলেন মো. নুরুল হক সরকার ওরফে শেখ গনি সরকার (৭২)। তার প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছিল না কোনো ক্যাম্পাস কিংবা ক্লাস রুম। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রির সার্টিফিকেট বিক্রি করতেন তিনি। মোবাইলে শেখ গনির সঙ্গে যোগাযোগ করলে টাকার বিনিময়ে কুরিয়ারে সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দিতেন।
রাজধানীর মালিবাগে বসে এভাবেই গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে শত শত মানুষের কাছে সার্টিফিকেট বিক্রি করেছেন শেখ গনি সরকার।
গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সার্টিফিকেট দিতেন গনি। কথিত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে এমবিবিএস, বিডিএস, এমফিল, পিএইচডি, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ ১৪৪টি বিষয়ের সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি। বাদ যেতো না এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি এমন শত শত ভুয়া চিকিৎসককে এমবিবিএস-বিডিএস সার্টিফিকেট দিয়েছেন। বিনিময়ে প্রতিটি এমবিবিএস সার্টিফিকেটের জন্য হাতিয়েছেন পাঁচ থেকে ২৫ লাখ টাকা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মালিবাগের প্যারামাউন্ট টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও একজন সহযোগীসহ চারজন ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিম।
গ্রেপ্তাররা হলেন-চক্রের মূল হোতা প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির কথিত ভিসি ডা. মো. নুরুল হক সরকার ওরফে শেখ গনি সরকার (৭২), সহযোগী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৮), ভুয়া ডাক্তার মো. সাইদুর রহমান ওরফে নজরুল (৩০), মো. মাহফুজুর রহমান ওরফে মাহফুজ (৩৭), ডা. মো. আমান উল্লাহ (৩৮) ও দেবাশীষ কুন্ডু (৫২)। গ্রেপ্তার ভুয়া ডাক্তাররা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তাররা মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও কামিল পাস করে টাকার বিনিময়ে এমবিবিএস ডিগ্রি নেন। দাখিল ও কামিল পাশে কোনোভাবেই এমবিবিএস ডিগ্রি নেওয়া সম্ভব নয়। এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে সুসজ্জিত চেম্বার খুলে এসব চিকিৎসক রোগীও দেখতেন নিয়মিত।
হাফিজ আক্তার জানান, শেখ গনি একাই প্রায় দুই দশক ধরে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজির নামে ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রয়ের ব্যবসা করে আসছিল। প্রতারণার কাজে তারা ভুয়া ওয়েবসাইট, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন, কম্পিউটারাইজড ক্যাম্পাস যা বাস্তবে অস্তিত্বহীন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভুয়া আদেশ হাইকোর্টের জাল রিট প্রদর্শন করে টাকার বিনিময়ে শিক্ষা সনদ বাণিজ্য করে আসছিল। এভাবে শেখ গনি কোটি কোটি টাকা ইনকাম করেছে। ২০১৫ সালে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তবে কারাগার থেকে বের হয়ে আবারও একই কাজ শুরু করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণার সঙ্গে জড়িত।
কথিত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ছাড়াও গ্রেপ্তার শেখ গনি নিজেকে পিটস ব্লেন্ড ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স (পুসট), পিস ল্যান্ড ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভিসি পরিচয় দিতেন। চক্রটি কোনো ধরনের পরীক্ষা ও ক্লাস ছাড়াই টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রির সনদ দিয়ে আসছিল।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে অসংখ্য ভুয়া সনদপত্র, টেস্টিমোনিয়াল, ট্রান্সক্রিপ্ট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, অ্যাডমিট কার্ড, নকল সিল জব্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি চেক, ভুয়া সনদ প্রদানের চটকদার বিজ্ঞাপনের পেপার কাটিং ও লিফলেট, প্রেসক্রিপশন, অসংখ্য ভিজিটিং কার্ড, নব দিগন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ডক্টরস চেম্বারের কপি, একটি সিপিইউ ও একটি প্রিন্টার জব্দ করা হয়। ভুয়া সনদপত্র তৈরি ও ছাপার কাজে এসব ব্যবহার করা হতো।
নিজেকে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ভিসি পরিচয় দিয়ে আসছিলেন মো. নুরুল হক সরকার ওরফে শেখ গনি সরকার (৭২)। তার প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছিল না কোনো ক্যাম্পাস কিংবা ক্লাস রুম। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রির সার্টিফিকেট বিক্রি করতেন তিনি। মোবাইলে শেখ গনির সঙ্গে যোগাযোগ করলে টাকার বিনিময়ে কুরিয়ারে সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দিতেন।
রাজধানীর মালিবাগে বসে এভাবেই গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে শত শত মানুষের কাছে সার্টিফিকেট বিক্রি করেছেন শেখ গনি সরকার।
গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সার্টিফিকেট দিতেন গনি। কথিত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে এমবিবিএস, বিডিএস, এমফিল, পিএইচডি, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ ১৪৪টি বিষয়ের সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি। বাদ যেতো না এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি এমন শত শত ভুয়া চিকিৎসককে এমবিবিএস-বিডিএস সার্টিফিকেট দিয়েছেন। বিনিময়ে প্রতিটি এমবিবিএস সার্টিফিকেটের জন্য হাতিয়েছেন পাঁচ থেকে ২৫ লাখ টাকা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মালিবাগের প্যারামাউন্ট টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও একজন সহযোগীসহ চারজন ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিম।
গ্রেপ্তাররা হলেন-চক্রের মূল হোতা প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির কথিত ভিসি ডা. মো. নুরুল হক সরকার ওরফে শেখ গনি সরকার (৭২), সহযোগী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৮), ভুয়া ডাক্তার মো. সাইদুর রহমান ওরফে নজরুল (৩০), মো. মাহফুজুর রহমান ওরফে মাহফুজ (৩৭), ডা. মো. আমান উল্লাহ (৩৮) ও দেবাশীষ কুন্ডু (৫২)। গ্রেপ্তার ভুয়া ডাক্তাররা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তাররা মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও কামিল পাস করে টাকার বিনিময়ে এমবিবিএস ডিগ্রি নেন। দাখিল ও কামিল পাশে কোনোভাবেই এমবিবিএস ডিগ্রি নেওয়া সম্ভব নয়। এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে সুসজ্জিত চেম্বার খুলে এসব চিকিৎসক রোগীও দেখতেন নিয়মিত।
হাফিজ আক্তার জানান, শেখ গনি একাই প্রায় দুই দশক ধরে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজির নামে ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রয়ের ব্যবসা করে আসছিল। প্রতারণার কাজে তারা ভুয়া ওয়েবসাইট, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন, কম্পিউটারাইজড ক্যাম্পাস যা বাস্তবে অস্তিত্বহীন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভুয়া আদেশ হাইকোর্টের জাল রিট প্রদর্শন করে টাকার বিনিময়ে শিক্ষা সনদ বাণিজ্য করে আসছিল। এভাবে শেখ গনি কোটি কোটি টাকা ইনকাম করেছে। ২০১৫ সালে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তবে কারাগার থেকে বের হয়ে আবারও একই কাজ শুরু করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণার সঙ্গে জড়িত।
কথিত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ছাড়াও গ্রেপ্তার শেখ গনি নিজেকে পিটস ব্লেন্ড ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স (পুসট), পিস ল্যান্ড ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভিসি পরিচয় দিতেন। চক্রটি কোনো ধরনের পরীক্ষা ও ক্লাস ছাড়াই টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রির সনদ দিয়ে আসছিল।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে অসংখ্য ভুয়া সনদপত্র, টেস্টিমোনিয়াল, ট্রান্সক্রিপ্ট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, অ্যাডমিট কার্ড, নকল সিল জব্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি চেক, ভুয়া সনদ প্রদানের চটকদার বিজ্ঞাপনের পেপার কাটিং ও লিফলেট, প্রেসক্রিপশন, অসংখ্য ভিজিটিং কার্ড, নব দিগন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ডক্টরস চেম্বারের কপি, একটি সিপিইউ ও একটি প্রিন্টার জব্দ করা হয়। ভুয়া সনদপত্র তৈরি ও ছাপার কাজে এসব ব্যবহার করা হতো।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৪ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৪ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫