তৃতীয় লিঙ্গের কেউ যদি বাসাবাড়িতে, সড়কে ও যানবাহনে চাঁদাবাজি করে তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। আজ শনিবার সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সম্প্রতি শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় একটি ঘটনায় তৃতীয় লিঙ্গের একজনের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তৃতীয় লিঙ্গের বিভিন্ন সদস্যের নামে বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব অভিযোগের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ পুলিশের সেবা পেতে প্রথমে থানায় আসে। ডিএমপি জনসেবায় কতটা আন্তরিক, তা দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত নগরবাসীকে বোঝাতে হবে। পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে আরও বেগবান করতে হবে। রাষ্ট্র আমাদের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে। পেশাদারত্ব ও কাঙ্ক্ষিত সেবা দিয়ে তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হবে।’

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রমজানে যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থার ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে। এখন পর্যন্ত রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থা বেশ ভালো অবস্থানে আছে, এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। ট্রাফিকের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের অফিসারদেরও রাস্তায় থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি সব ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ছাড়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, চুরি ও ছিনতাই মামলা, মামলা তদন্ত, চোরাই গাড়ি উদ্ধার, মাদক উদ্ধার ও মুলতবি মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা।