নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ঈদুল ফিতরের পর এপ্রিলের মাঝামাঝি এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বার কাউন্সিলের সাধারণ কমিটির আজ রোববারের সভায় আগামী এপ্রিলের মাঝামিঝি আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা গ্রহণের এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এনরোলমেন্ট কমিটি।
বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শিগগিরই পরীক্ষার তারিখ ঘোষাণ করব। আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষা নেব।’
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আগামী এপ্রিলের মধ্যে আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা এক সপ্তাহের মধ্যে তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
বার কাউন্সিলের সদস্য নজরুল ইসলাম খান আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘বার কাউন্সিলের সাধারণ কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে আগামী এপ্রিল মাসে আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে। সাধারণ কমিটি এনরোলমেন্ট কমিটিকে এ বিষয়ে অনুরোধ করবে।’
নজরুল ইসলাম খান আরও জানান, ‘এখন থেকে নিয়মিত পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তাঁরা চেষ্টা করবেন।
আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছেন হাজার হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী। পরীক্ষার ঘোষণা এলে তাঁরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন।’
মো. এম হোসেন আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ২০১৮ সালে। তিনি ২০২১ এবং ২০২৩ সালে বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এ কারণে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সাত বছর পার হলেও তিনি এখনো শিক্ষানবিশ আইনজীবী।
একজন নারী শিক্ষানবিশ আইনজীবী আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০২১ এবং ২০২৩ সালে বার কাউন্সিল আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু উত্তীর্ণ হতে না পারায় আইনজীবী হতে পারছেন না।
বার কাউন্সিল আইন অনুযায়ী বছরে প্রতি ৬ মাসে একটি করে আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু গত সাত বছরে দেখা গেছে মাত্র তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা মনে করেন পরীক্ষায় দুয়েকবার খারাপ ফলাফল করলেও যদি বছরে দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে তাঁরা আইনজীবী হতে পারতেন।
গত কয়েক বছরের পরীক্ষায় দেখা গেছে, ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। এখন শিক্ষানবিশ আইনজীবীর সংখ্যা আরও বেশি। এই অবস্থায় দুই-তিন বছরে একবার পরীক্ষা আইন বিষয়ে শিক্ষিত যুবকদের হয়রানি করা ছাড়া অন্য কিছু নয় বলে মনে করেন আইনজীবীরা।
এক মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও বার কাউন্সিলকে নির্দেশনা দিয়েছিল আইন অনুযায়ী নিয়মিত আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে ওই নির্দেশনা মানা হয়নি। শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা মনে করেন, আইনজীবীর সংখ্যা বাড়াতে চায় না এ জন্য বার কাউন্সিল কৌশলগত কারণে সময়মতো পরীক্ষা নেয় না।
গত ১০ বছর শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে আছেন এমন একজন বলেন, ‘আমরা তো চাকরি চাই না। শুধু একটি সনদ চাই। সেই সনদপ্রাপ্তির পরীক্ষা সময়মতো না হলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু নেই।’
গত কয়েক বছরে অনেক শিক্ষানবিশ আইনজীবী আদালতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে শেষ পর্যন্ত এ পেশায় থাকার সিদ্ধান্ত বদল করেছেন।
তরিকুল ইসলাম নামের এমন একজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী এপ্রিলে যদি পরীক্ষা হয় তিনি তাতে অংশ নেবেন। হয়তো নিয়মিত আইন পেশায় আর থাকতে পারবেন না। তবে তাঁর স্বপ্ন ছিল আইনজীবী হওয়ার, তা পূরণ করতে চান।
মাইনুল হোসেন নামের একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী বলেন, ‘বার কাউন্সিলে কমিটিতে যাঁরা আছেন তাঁরা বার কাউন্সিল আইন অনুযায়ী নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণ করবেন, এটিই সবার কাম্য।’
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ঈদুল ফিতরের পর এপ্রিলের মাঝামাঝি এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বার কাউন্সিলের সাধারণ কমিটির আজ রোববারের সভায় আগামী এপ্রিলের মাঝামিঝি আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা গ্রহণের এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এনরোলমেন্ট কমিটি।
বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শিগগিরই পরীক্ষার তারিখ ঘোষাণ করব। আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষা নেব।’
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আগামী এপ্রিলের মধ্যে আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা এক সপ্তাহের মধ্যে তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
বার কাউন্সিলের সদস্য নজরুল ইসলাম খান আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘বার কাউন্সিলের সাধারণ কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে আগামী এপ্রিল মাসে আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে। সাধারণ কমিটি এনরোলমেন্ট কমিটিকে এ বিষয়ে অনুরোধ করবে।’
নজরুল ইসলাম খান আরও জানান, ‘এখন থেকে নিয়মিত পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তাঁরা চেষ্টা করবেন।
আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছেন হাজার হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী। পরীক্ষার ঘোষণা এলে তাঁরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন।’
মো. এম হোসেন আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ২০১৮ সালে। তিনি ২০২১ এবং ২০২৩ সালে বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এ কারণে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সাত বছর পার হলেও তিনি এখনো শিক্ষানবিশ আইনজীবী।
একজন নারী শিক্ষানবিশ আইনজীবী আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০২১ এবং ২০২৩ সালে বার কাউন্সিল আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু উত্তীর্ণ হতে না পারায় আইনজীবী হতে পারছেন না।
বার কাউন্সিল আইন অনুযায়ী বছরে প্রতি ৬ মাসে একটি করে আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু গত সাত বছরে দেখা গেছে মাত্র তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা মনে করেন পরীক্ষায় দুয়েকবার খারাপ ফলাফল করলেও যদি বছরে দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে তাঁরা আইনজীবী হতে পারতেন।
গত কয়েক বছরের পরীক্ষায় দেখা গেছে, ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। এখন শিক্ষানবিশ আইনজীবীর সংখ্যা আরও বেশি। এই অবস্থায় দুই-তিন বছরে একবার পরীক্ষা আইন বিষয়ে শিক্ষিত যুবকদের হয়রানি করা ছাড়া অন্য কিছু নয় বলে মনে করেন আইনজীবীরা।
এক মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও বার কাউন্সিলকে নির্দেশনা দিয়েছিল আইন অনুযায়ী নিয়মিত আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে ওই নির্দেশনা মানা হয়নি। শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা মনে করেন, আইনজীবীর সংখ্যা বাড়াতে চায় না এ জন্য বার কাউন্সিল কৌশলগত কারণে সময়মতো পরীক্ষা নেয় না।
গত ১০ বছর শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে আছেন এমন একজন বলেন, ‘আমরা তো চাকরি চাই না। শুধু একটি সনদ চাই। সেই সনদপ্রাপ্তির পরীক্ষা সময়মতো না হলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু নেই।’
গত কয়েক বছরে অনেক শিক্ষানবিশ আইনজীবী আদালতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে শেষ পর্যন্ত এ পেশায় থাকার সিদ্ধান্ত বদল করেছেন।
তরিকুল ইসলাম নামের এমন একজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী এপ্রিলে যদি পরীক্ষা হয় তিনি তাতে অংশ নেবেন। হয়তো নিয়মিত আইন পেশায় আর থাকতে পারবেন না। তবে তাঁর স্বপ্ন ছিল আইনজীবী হওয়ার, তা পূরণ করতে চান।
মাইনুল হোসেন নামের একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী বলেন, ‘বার কাউন্সিলে কমিটিতে যাঁরা আছেন তাঁরা বার কাউন্সিল আইন অনুযায়ী নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণ করবেন, এটিই সবার কাম্য।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪