ঢাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক (সাবেক) নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, ‘শামসের অপরাধ ছিল তিনি তাঁর প্রতিবেদনে মানুষের সংকটের কথা তুলে ধরেছেন। দেশের সাড়ে ৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে—এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে?’
আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গ্রেপ্তারকৃত প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদর মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদানকালে এ মন্তব্য করেন প্রিন্স।
প্রিন্স বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময়ে আমরা পড়েছি, তখন দেখেছি শামস কীভাবে শিক্ষার্থীদের অধিকারের পক্ষে কলম ধরেছিল, সত্যের সঙ্গে শামস কখনো আপস করেনি, সত্যের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে শামস সব সময় অবস্থান নিয়েছিল। ব্যক্তিগত জীবনে শামসের অনেক কিছু গ্রহণ করার সুযোগ ছিল, কিন্তু শামস সেগুলো গ্রহণ করেনি, সত্যকে বিসর্জন দেয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে সাংবাদিক, লেখক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের টুঁটি চেপে ধরা হচ্ছে।’
মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী কল্লোল ভৌমিক বলেন, ‘বাংলাদেশের আশি ভাগ মানুষের আয় নির্দিষ্ট, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে তাদের আয় কমে গেছে, ৩০ ভাগ বেশি খরচ করে বাজার করতে হচ্ছে। সাংবাদিক হিসেবে শামস দায়িত্বশীল আচরণ করেছে। আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি শামসকে ধন্যবাদ দিতে, মানুষের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরার সৎ সাহস শামস দেখিয়েছে। এ দেশের স্বাধীনতা মানে মানুষের ভাতের স্বাধীনতা, মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণের স্বাধীনতা। সত্য কথা লেখার কারণে শামসকে যেভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে মনে হয় একাত্তর-পূর্ববর্তী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রেতাত্মা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ওপর ভর করেছে। শামসকে মুক্তি দেওয়া না হলে আমরা রাজপথে থাকব, প্রয়োজনে জেলে যাব এবং এই অসহনীয় পরিস্থিতি মেনে নেব না।’
শামসুজ্জামান শামসের বন্ধু ও গণমাধ্যমকর্মী ইমন রহমান বলেন, ‘শামসের মুক্তির দাবিতে আমাদের দাঁড়াতে হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। যে ভুলটির কথা বলা হচ্ছে একাত্তর টিভির প্রতিবেদনে, তাতে শামসের কোনো দোষ নেই। ভুল হতে পারে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের, যারা ছবি বসিয়েছে তাদের, ১৭ মিনিট পরে তারা ছবি প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং ক্ষমা চেয়েছে। সংবাদে ভুল হতে পারে, কিন্তু ভুলের জের ধরে একজন সাংবাদিককে জেলে পাঠাতে হবে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকারের ভুল থাকলে আমরা সেটা তুলে ধরছি, লিখছি। তার মানে এই নয় যে, আমরা সরকারের বিরোধিতা করছি। স্বাধীনতা নিয়ে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকদের তা তুলে ধরার স্বাধীনতা রয়েছে।’
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের খবর পেয়ে একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ‘মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও গুজব ছড়ানোর’ অভিযোগ এনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ, গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে ছাত্রলীগ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক (সাবেক) নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, ‘শামসের অপরাধ ছিল তিনি তাঁর প্রতিবেদনে মানুষের সংকটের কথা তুলে ধরেছেন। দেশের সাড়ে ৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে—এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে?’
আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গ্রেপ্তারকৃত প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদর মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদানকালে এ মন্তব্য করেন প্রিন্স।
প্রিন্স বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময়ে আমরা পড়েছি, তখন দেখেছি শামস কীভাবে শিক্ষার্থীদের অধিকারের পক্ষে কলম ধরেছিল, সত্যের সঙ্গে শামস কখনো আপস করেনি, সত্যের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে শামস সব সময় অবস্থান নিয়েছিল। ব্যক্তিগত জীবনে শামসের অনেক কিছু গ্রহণ করার সুযোগ ছিল, কিন্তু শামস সেগুলো গ্রহণ করেনি, সত্যকে বিসর্জন দেয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে সাংবাদিক, লেখক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের টুঁটি চেপে ধরা হচ্ছে।’
মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী কল্লোল ভৌমিক বলেন, ‘বাংলাদেশের আশি ভাগ মানুষের আয় নির্দিষ্ট, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে তাদের আয় কমে গেছে, ৩০ ভাগ বেশি খরচ করে বাজার করতে হচ্ছে। সাংবাদিক হিসেবে শামস দায়িত্বশীল আচরণ করেছে। আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি শামসকে ধন্যবাদ দিতে, মানুষের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরার সৎ সাহস শামস দেখিয়েছে। এ দেশের স্বাধীনতা মানে মানুষের ভাতের স্বাধীনতা, মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণের স্বাধীনতা। সত্য কথা লেখার কারণে শামসকে যেভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে মনে হয় একাত্তর-পূর্ববর্তী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রেতাত্মা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ওপর ভর করেছে। শামসকে মুক্তি দেওয়া না হলে আমরা রাজপথে থাকব, প্রয়োজনে জেলে যাব এবং এই অসহনীয় পরিস্থিতি মেনে নেব না।’
শামসুজ্জামান শামসের বন্ধু ও গণমাধ্যমকর্মী ইমন রহমান বলেন, ‘শামসের মুক্তির দাবিতে আমাদের দাঁড়াতে হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। যে ভুলটির কথা বলা হচ্ছে একাত্তর টিভির প্রতিবেদনে, তাতে শামসের কোনো দোষ নেই। ভুল হতে পারে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের, যারা ছবি বসিয়েছে তাদের, ১৭ মিনিট পরে তারা ছবি প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং ক্ষমা চেয়েছে। সংবাদে ভুল হতে পারে, কিন্তু ভুলের জের ধরে একজন সাংবাদিককে জেলে পাঠাতে হবে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকারের ভুল থাকলে আমরা সেটা তুলে ধরছি, লিখছি। তার মানে এই নয় যে, আমরা সরকারের বিরোধিতা করছি। স্বাধীনতা নিয়ে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকদের তা তুলে ধরার স্বাধীনতা রয়েছে।’
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের খবর পেয়ে একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ‘মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও গুজব ছড়ানোর’ অভিযোগ এনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ, গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে ছাত্রলীগ।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৭ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৬ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫