আসাদগেটে রাব্বীর ছুরি কেড়ে নিয়েই তাঁকে আঘাত করা হয়: ডিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২২, ১৪: ১০
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২২, ১৫: ৪৫

আসাদগেটে সংঘর্ষের ঘটনায় ছুরিকাঘাতে নিহত রাব্বি ওরফে রাফা ‘জুনিয়রদের শায়েস্তা করতে’ প্রথম ছুরি বের করেছিলেন, যেটা কেড়ে নিয়ে তাঁর উপর পাল্টা আঘাত করা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে। 

এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাতজনের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।  

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘টিকটকারদের পুল পার্টি শেষে গাঁজা সেবন ও ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে সুইচ গিয়ার দিয়ে খুন করা হয় রাব্বি ওরফে রাফাকে। জুনিয়রদের শায়েস্তা করার জন্য রাব্বীই প্রথম সুইচ গিয়ারটি বের করেন। তাঁর হাত থেকে সেটা কেড়ে নিয়ে তাঁকে উপুর্যুপরি আঘাত করে জুনিয়ররা।’

গত মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) হাজারীবাগের ‘টিকটকারদের’ একটি পুল পার্টি ছিল ধামরাইয়ের এক রিসোর্টে। ঘটনার সূত্রপাত সেখান থেকে। পার্টি শেষে ফেরার পথে প্রথমে বাসের ভেতর গাঁজা সেবন নিয়ে ‘সিনিয়র ও জুনিয়র গ্রুপের’ মধ্যে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে ‘জুনিয়ররা’ এক ‘সিনিয়রের’ বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করে। এর জের ধরে ওই মেয়ে আসাদগেট নামার পর দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। ওই ঘটনায় রাব্বী ছাড়াও আহত আরেকজনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

ঘটনার পর বুধবার রাজধানীর হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ। 

হাফিজ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বয়সে কিশোর, কেউ কেউ ছাত্র, কেউ আবার কারখানায় কর্মচারী। তাদের একজনের কাছে ‘রাব্বি হত্যায় ব্যবহৃত সুইচ গিয়ারটি’ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নামে হাজারীবাগ থানায় তিনটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। 

জড়িতরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘মূলত সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, পুল পার্টি থেকে ফেরার পথে বাসে গার্লফ্রেন্ডদের গাঁজা ও সিগারেটের গন্ধ সহ্য করতে না পেরে বয়ফ্রেন্ডের কাছে অভিযোগ ও ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে সমস্যার সূত্রপাত। যার নির্মম পরিণতি এই হত্যাকাণ্ড।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত