৪৩ লাখ টাকার জালনোটসহ গ্রেপ্তার ৫

প্রতিনিধি, গুলশান
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২১, ১৯: ০৯
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, ২০: ৫০

রাজধানীর ভাটারার সাঈদ নগরের একটি বাসায় জাল নোট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ১০টায় জাল নোটের কারখানায় অভিযান চালিয়ে জাল নোট তৈরির যন্ত্র, বিপুল সরঞ্জামসহ প্রায় ৪৩ লাখ টাকার জালনোট উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা  পুলিশ (ডিবি)।

অভিযানে কারখানা থেকে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের প্রায় ৪৩ লাখ তৈরি করা জাল নোট ও তা তৈরির প্রচুর পরিমাণ উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত উপকরণের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সংবলিত বিশেষ কাগজ রয়েছে। যা দিয়ে অন্তত এক কোটি জাল নোট তৈরি করা যেতো বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে সোমবার সকাল থেকেই ওই বাসায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। অভিযানে চক্রের দলনেতা আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তিন সহযোগী গার্মেন্টস পণ্য ব্যবসায়ী হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বামী-স্ত্রী মিলে পারিবারিকভাবে একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরির মিনি কারখানা বানিয়েছিল রহিম ও ফাতেমা দম্পতি। শুধুমাত্র একটি প্রিন্টার দিয়ে লাখ লাখ জাল টাকা ছাপাচ্ছিলো তাঁরা। আব্দুর রহিম ও তাঁর স্ত্রী কারখানাটি পরিচালনা করতেন। বাকিরা তাঁদের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।

তিনি বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা খুচরা এবং পাইকারি বাজারে বিক্রি করছিলেন। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে তাঁদের কার্যক্রম আরও বাড়তে থাকে। গত তিন বছর ধরে ঈদসহ অন্যান্য উৎসবের সময় জাল টাকা তৈরির কাজে নিয়োজিত থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা বাজারে ছেড়েছে চক্রটি।

উপ-কমিশনার জানান, ফাতেমা বেগম ২০১৯ সালে হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় জাল টাকা তৈরি সময় সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। তবে ওই সময় তাঁর স্বামী রহিম পালিয়ে যান। এর আগেও তাঁরা বেশ কয়েকবার জাল টাকা কেনা-বেচায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান মশিউর রহমান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত