থুতু ফেলায় কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩ 

নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১৮: ৪৯

নরসিংদীর মাধবদীতে থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে শাহ আলমকে (১৭) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় মাধবদীর দক্ষিণ বিরামপুর এলাকা এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোবারক নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। সে মাধবদীর এসপি ইনস্টিটিউশন থেকে সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

নিহতের স্বজনরা বলছেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মোবারক বাড়ি থেকে বেরিয়ে আওয়াল মোল্লার চায়ের দোকানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সে থুতু ফেললে ইয়াসিন নামের এক কিশোরের পায়ের সামনে পড়ে। এতে ইয়াসিন ও মোবারক উত্তেজিত হয়ে উঠলে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে সেখান থেকে মোবারক চলে যায়।

এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় ইয়াসিনসহ ১০ থেকে ১২ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ওই চায়ের দোকানের সামনে ওত পেতে থাকে। এ সময় চায়ের দোকানটির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মোবারকের ওপর হামলা করে তারা। একপর্যায়ে তারা চাপাতি, ছুরি ও দা দিয়ে মোবারককে কুপিয়ে আহত করে। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায় মোবারক। পরে তাকে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।

নিহত কিশোরের চাচাতো ভাই সেলিম হোসেন বলেন, ‘ইয়াসিনসহ কয়েক কিশোর আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা প্রত্যেকেই স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তাদের সবার বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে হবে। পায়ের সামনে থুতু পড়ার মতো একটি তুচ্ছ বিষয়ে যারা তাকে হত্যা করেছে আমরা তাদের বিচার চাই।’

সেলিম হোসেন আরও জানান, মোবারকের লাশ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরবেন।

এ বিষয়ে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকীবুজ্জামান জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলাও প্রক্রিয়াধীন। এরই মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে আটক করেছে। মামলা পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত