কার্যালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ০১
Thumbnail image

পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। দুর্নীতি ও ‘প্রভাব খাটানোর’ অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে সরকারি অফিসে অভিযান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিফ অব স্টাফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই পদত্যাগের ঘোষণা আসে।

প্রধানমন্ত্রী কস্তা ২০১৫ সাল থেকে ক্ষমতায় ছিলেন। টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, কোনো ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে তাঁর জড়িয়ে যাওয়া দেখে তিনি ‘বিস্মিত’। ‘কোনো অবৈধ কাজকে প্রশ্রয় দেওয়া আমার বিবেক বিরুদ্ধ।’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী পদের মর্যাদা সততা, ভালো আচরণ এবং কোনো অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ তৈরির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অতএব, এই পরিস্থিতিতে আমি পদত্যাগ করেছি।’

প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির এক বিচারক পুলিশকে ৩৭টি স্থানে তল্লাশি করার অনুমতি দিয়েছেন। এসব স্থানের মধ্যে রয়েছে—প্রধানমন্ত্রী কস্তার চিফ অব স্টাফের কার্যালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পরিকাঠামো মন্ত্রণালয়, সাইনস শহরের সিটি কাউন্সিলের অফিস এবং বেশ কিছু ব্যক্তিগত বাড়ি। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তদন্তটি উত্তর পর্তুগালে লিথিয়াম অনুসন্ধান, দেশের দক্ষিণ উপকূলে সাইনসের একটি হাইড্রোজেন উৎপাদন প্ল্যান্ট এবং ডেটা সেন্টার স্থাপনে অবৈধ সুবিধা আদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। 

বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী কস্তার নাম উল্লেখ করা না হলেও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে ভিতর এসকারিয়া। সেই সঙ্গে সাইনসের মেয়র এবং আরও তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পর্তুগালের অবকাঠামো মন্ত্রী এবং পর্তুগালের পরিবেশ সংস্থার প্রধানকেও বিবৃতিতে সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

প্রসিকিউটরের কার্যালয় বলেছে, তদন্তে দেখা গেছে, সন্দেহভাজনরা লিথিয়াম অনুসন্ধানের জন্য প্রক্রিয়াগুলো সহজ করতে প্রধানমন্ত্রী কস্তার নাম এবং কর্তৃত্বকে ব্যবহার করেছেন। বিনিময়ে তাঁরা সুবিধা নিয়েছেন।

পর্তুগালে লিথিয়ামের উল্লেখযোগ্য মজুত রয়েছে। এই ধাতু বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি ও নবায়নযোগ্য শক্তির একটি অপরিহার্য উপাদান।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সন্দেহভাজনের তালিকায় তাঁর নাম না এলেও তিনি মনে করেন, তদন্তের স্বার্থে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।

সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা কস্তা ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। একটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর দুটি ছোট বামপন্থী দলের সমর্থন নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। সে সময় এই জোট নিয়ে বিরোধীরা উপহাস করেছিল এবং বলেছিল, এটি বেশি দিন টিকবে না। কিন্তু কস্তা শেষ পর্যন্ত টিকে গেছেন।

সমাজতন্ত্রীরা ২০২২ সালের আগাম নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জোট ছাড়াই সংসদে যথেষ্ট আসন পায় তারা। ফলে পূর্ণ স্বস্তি নিয়ে ক্ষমতায় বসেন কস্তা। করোনাভাইরাস মহামারিতে নানা ব্যবস্থার জন্য তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। যদিও অর্থনীতিতে তাঁর পদক্ষেপ খুব একটা সন্তোষজনক হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত