মহাকুম্ভ মেলায় ভাইরাল কে এই ‘সুন্দর সাধ্বী’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১: ৪৮
Thumbnail image
হর্ষা রিচারিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে চলমান মহাকুম্ভ মেলায় নজর কেড়েছেন উত্তরাখণ্ডের এক তরুণী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সুন্দর সাধ্বী’ হিসেবে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছেন। তবে হর্ষা রিচারিয়া নামে ৩০ বছর বয়সী ওই নারী পরিষ্কার করেছেন, তিনি কোনো সাধ্বী নন এবং কখনোই নিজেকে সাধ্বী বলে দাবি করেননি।

বুধবার এনডিটিভি জানিয়েছে—মহাকুম্ভ মেলায় ঐতিহ্যবাহী পোশাক, রুদ্রাক্ষ মালা ও তিলক পরিহিত অবস্থায় প্রথমে অনেকেই হর্ষাকে একজন কম বয়সী সাধ্বী হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। পরে তাঁর ছবি ও ভিডিও দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁকে ‘সুন্দর সাধ্বী’ বা ‘ভাইরাল সাধ্বী’ উপাধি দেওয়া হয়।

এ অবস্থায় একটি সংবাদ চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে হর্ষা বলেন, ‘আমি কখনোই বলিনি যে, আমি শৈশব থেকে সাধ্বী ছিলাম। আমি এখনো সাধ্বী নই। আমি বারবার বলছি যে, আমি শুধু মন্ত্র দীক্ষা নিয়েছি।’

হর্ষা রিচারিয়া। ছবি: সংগৃহীত
হর্ষা রিচারিয়া। ছবি: সংগৃহীত

হর্ষা রিচারিয়ার ইনস্টাগ্রাম বায়ো অনুযায়ী, তিনি একজন উপস্থাপিকা, সমাজকর্মী এবং ইনফ্লুয়েন্সার। নিজেকে তিনি নিরঞ্জনী আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী কৈলাসানন্দ গিরিজি মহারাজের শিষ্য হিসেবে পরিচয় দেন।

দুই বছর আগে তিনি উপস্থাপনা, অভিনয় ও মডেলিংয়ের জীবন ছেড়ে আধ্যাত্মিকতার পথে হাঁটতে শুরু করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি সুকুন (মানসিক শান্তি) খুঁজতে সবকিছু ছেড়ে এই নতুন পরিচয় গ্রহণ করেছি।’

মহাকুম্ভ মেলাকে নিজের আধ্যাত্মিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করেন হর্ষা। ত্রিবেণি সঙ্গমে (গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর মিলনস্থল) পবিত্র স্নানকে তিনি অত্যন্ত প্রতীকী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ভাইরাল হওয়া সত্ত্বেও হর্ষা তাঁর আধ্যাত্মিক পথে মনোযোগী। তিনি বলেন, ‘আমি সনাতন সংস্কৃতি ও ধর্মের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ভাগ্যে যা লেখা থাকে, তা ঘুরপথে হলেও একদিন ঠিক পৌঁছে যায়।’

গতকাল মঙ্গলবার মহাকুম্ভের প্রথম ‘অমৃত স্নান’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন হর্ষা। পবিত্র ত্রিবেণি সঙ্গমে স্নান করার পর তিনি এটিকে অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক এবং আধ্যাত্মিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন।

ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘মহাদেব ও পরমপূজ্য গুরুদেবের আশীর্বাদে ১৪৪ বছরের পূর্ণ মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি এবং প্রথম রাজকীয় স্নানে অংশ নিয়ে আত্মতৃপ্তি অনুভব করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত