
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, চীন বর্তমানে একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় এটি ভারতের জন্য গ্লোবাল সাউথের (তৃতীয় বিশ্ব) নেতা হওয়ার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলছে এবং প্রতিযোগিতার মুখে ফেলছে।
গতকাল রোববার দিল্লিতে চতুর্থ বিপিন রাওয়াত স্মারক বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, ভবিষ্যতে আফ্রিকা একটি নতুন ক্ষমতাকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে এবং ভারতকে সেই সম্ভাবনার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে চীনের উত্থান বিশ্বরাজনীতিতে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করেছে, প্রতিযোগিতা বাড়িয়েছে এবং গ্লোবাল সাউথের স্বাভাবিক নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।’
সেনাপ্রধান দ্বিবেদী বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবর্তন ও সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতার কারণে ভবিষ্যতে আফ্রিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। তবে, ভারত ভূগোল, জনসংখ্যা, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সফট পাওয়ার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকবে।
ভারতের অনেক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাবহুল দেশ, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভৌগোলিক আয়তন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, ভারত এখনো তুলনামূলকভাবে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে।’
সেনাপ্রধান বলেন, এমনকি ব্রিকস (বিকল্প অর্থনৈতিক জোট) গোষ্ঠীও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মার্কিন ডলারের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রে ব্রিকস–এর প্রচেষ্টা ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছে। এই বাস্তবতায়, আমাদের সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)–এর গতিবিধির ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখতে হবে।’
জাতীয় নিরাপত্তা কেবল যুদ্ধ পরিচালনার সক্ষমতার বিষয় নয়, বরং যুদ্ধ প্রতিরোধের কৌশল হিসেবেও কাজ করে বলে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান দ্বিবেদী।
তিনি উল্লেখ করেন, সামরিক ও বেসামরিক খাতের সমন্বয়, আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্পভিত্তি, দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য সম্পদ, সঠিক সময়ে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নেতৃত্ব এবং ‘সিটিজেন ওয়ারিয়রস’ (সাধারণ নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ) একটি কার্যকর প্রতিরক্ষা কৌশলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সেনাপ্রধান বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এখন প্রতিরোধ শক্তির নতুন মুদ্রা হয়ে উঠেছে, এবং তথ্য (ডেটা) বর্তমানে বাণিজ্য ও নিরাপত্তার প্রধান মূলধন হয়ে উঠেছে।
ভারতকে তার গ্লোবাল সাউথ অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পরামর্শ দিয়ে দ্বিবেদী বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার করে গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সংঘাত নিরসনে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে, বিশ্বজুড়ে ভারতীয় প্রবাসীদের মানবিক কাজে যুক্ত করতে হবে, এবং বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে।
পাশাপাশি ভারতকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াই এবং শান্তিরক্ষী মিশনে নেতৃত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পরমাণু অস্ত্রকে একটি কৌশলগত রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করার পক্ষেও সাফাই দেন সেনাপ্রধান।
পরমাণু অস্ত্রকে সম্ভাব্য সংঘাত যতদিন সম্ভব প্রতিহত করার কৌশলগত রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, ইউক্রেন ও গাজার দুটি বড় সংঘাত থেকে বিশ্ব ধীরে ধীরে থিতু হচ্ছে, তবে এর মধ্যেই উপদ্রুত অঞ্চলগুলোতে ক্ষুদ্র আকারে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া, সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং ব্যাপক সাইবার আক্রমণের মতো সাধারণ হুমকিগুলো বিশ্ব শান্তির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে একটি সূক্ষ্ম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার একটি অন্যতম কারণ।
দ্বিবেদী বলেন, বিশ্ব এখন ইউক্রেন ও গাজার দুটি বড় সংঘাত থেকে ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। এই দুই সংঘাতে বেশির ভাগ দেশ বাস্তববাদ, আদর্শবাদ বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পক্ষ নিয়েছে। তা ছাড়া, বিভিন্ন উপদ্রুত অঞ্চলে ক্ষুদ্র আকারে সংঘাত চলছে এবং সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা, ব্যাপক সাইবার হামলা এবং গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হওয়ার মতো হুমকি বিশ্ব শান্তির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা সংকটের কারণে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং সম্প্রতি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে। বিশ্ব বর্তমানে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যার ফলে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশসহ একাধিক দেশের শাসনব্যবস্থা পতনের মুখে পড়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি যেন একপ্রকার পরিবর্তনশীল বালুকাবেলার মতো, যেখানে কখন উচ্চ জোয়ার আর কখন নিম্ন জোয়ার আসবে, তা অনুমান করা কঠিন।’
তাঁর মতে, বর্তমান বিশ্বে দেশগুলো নিজেদের স্বার্থে ‘আংশিক বন্ধুত্ব’ গড়ে তুলছে, যা একপ্রকার ‘বন্ধুত্বে বাধ্য হওয়া’ বা ‘ফ্রেন্ডস বাই কমপালসন’ নামে পরিচিত।
দ্বিবেদীর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আদর্শবাদীরা এখন বাস্তববাদী হয়ে উঠছে, আবার বাস্তববাদীরাও আদর্শবাদী হয়ে যাচ্ছে। আংশিক বন্ধুত্ব একটি নতুন কূটনৈতিক প্রবণতা হয়ে উঠছে, যেখানে দেশগুলো বাধ্য হয়ে সম্পর্ক বজায় রাখছে। নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ বা নির্বাচিত নেতার পতন একটি দেশের সম্পূর্ণ কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে। আমরা এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে দেখতে পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নিরাপত্তায় উদীয়মান প্রযুক্তির গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এখন প্রতিরোধের নতুন মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং তথ্য (ডেটা) বর্তমানে বাণিজ্য ও নিরাপত্তার নতুন মূলধন হয়ে উঠেছে।
সেনাপ্রধানের মতে, ভবিষ্যতের যুদ্ধে প্রযুক্তিগত দক্ষতাই দেশগুলোর মূল শক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার যুদ্ধ ও আধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নিরাপত্তার মূল স্তম্ভ হয়ে উঠবে।
আরও খবর পড়ুন:

ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, চীন বর্তমানে একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় এটি ভারতের জন্য গ্লোবাল সাউথের (তৃতীয় বিশ্ব) নেতা হওয়ার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলছে এবং প্রতিযোগিতার মুখে ফেলছে।
গতকাল রোববার দিল্লিতে চতুর্থ বিপিন রাওয়াত স্মারক বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, ভবিষ্যতে আফ্রিকা একটি নতুন ক্ষমতাকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে এবং ভারতকে সেই সম্ভাবনার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে চীনের উত্থান বিশ্বরাজনীতিতে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করেছে, প্রতিযোগিতা বাড়িয়েছে এবং গ্লোবাল সাউথের স্বাভাবিক নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।’
সেনাপ্রধান দ্বিবেদী বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবর্তন ও সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতার কারণে ভবিষ্যতে আফ্রিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। তবে, ভারত ভূগোল, জনসংখ্যা, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সফট পাওয়ার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকবে।
ভারতের অনেক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাবহুল দেশ, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভৌগোলিক আয়তন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, ভারত এখনো তুলনামূলকভাবে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে।’
সেনাপ্রধান বলেন, এমনকি ব্রিকস (বিকল্প অর্থনৈতিক জোট) গোষ্ঠীও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মার্কিন ডলারের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রে ব্রিকস–এর প্রচেষ্টা ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছে। এই বাস্তবতায়, আমাদের সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)–এর গতিবিধির ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখতে হবে।’
জাতীয় নিরাপত্তা কেবল যুদ্ধ পরিচালনার সক্ষমতার বিষয় নয়, বরং যুদ্ধ প্রতিরোধের কৌশল হিসেবেও কাজ করে বলে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান দ্বিবেদী।
তিনি উল্লেখ করেন, সামরিক ও বেসামরিক খাতের সমন্বয়, আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্পভিত্তি, দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য সম্পদ, সঠিক সময়ে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নেতৃত্ব এবং ‘সিটিজেন ওয়ারিয়রস’ (সাধারণ নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ) একটি কার্যকর প্রতিরক্ষা কৌশলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সেনাপ্রধান বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এখন প্রতিরোধ শক্তির নতুন মুদ্রা হয়ে উঠেছে, এবং তথ্য (ডেটা) বর্তমানে বাণিজ্য ও নিরাপত্তার প্রধান মূলধন হয়ে উঠেছে।
ভারতকে তার গ্লোবাল সাউথ অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পরামর্শ দিয়ে দ্বিবেদী বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার করে গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সংঘাত নিরসনে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে, বিশ্বজুড়ে ভারতীয় প্রবাসীদের মানবিক কাজে যুক্ত করতে হবে, এবং বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে।
পাশাপাশি ভারতকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াই এবং শান্তিরক্ষী মিশনে নেতৃত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পরমাণু অস্ত্রকে একটি কৌশলগত রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করার পক্ষেও সাফাই দেন সেনাপ্রধান।
পরমাণু অস্ত্রকে সম্ভাব্য সংঘাত যতদিন সম্ভব প্রতিহত করার কৌশলগত রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, ইউক্রেন ও গাজার দুটি বড় সংঘাত থেকে বিশ্ব ধীরে ধীরে থিতু হচ্ছে, তবে এর মধ্যেই উপদ্রুত অঞ্চলগুলোতে ক্ষুদ্র আকারে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া, সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং ব্যাপক সাইবার আক্রমণের মতো সাধারণ হুমকিগুলো বিশ্ব শান্তির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে একটি সূক্ষ্ম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার একটি অন্যতম কারণ।
দ্বিবেদী বলেন, বিশ্ব এখন ইউক্রেন ও গাজার দুটি বড় সংঘাত থেকে ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। এই দুই সংঘাতে বেশির ভাগ দেশ বাস্তববাদ, আদর্শবাদ বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পক্ষ নিয়েছে। তা ছাড়া, বিভিন্ন উপদ্রুত অঞ্চলে ক্ষুদ্র আকারে সংঘাত চলছে এবং সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা, ব্যাপক সাইবার হামলা এবং গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হওয়ার মতো হুমকি বিশ্ব শান্তির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা সংকটের কারণে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং সম্প্রতি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে। বিশ্ব বর্তমানে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যার ফলে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশসহ একাধিক দেশের শাসনব্যবস্থা পতনের মুখে পড়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি যেন একপ্রকার পরিবর্তনশীল বালুকাবেলার মতো, যেখানে কখন উচ্চ জোয়ার আর কখন নিম্ন জোয়ার আসবে, তা অনুমান করা কঠিন।’
তাঁর মতে, বর্তমান বিশ্বে দেশগুলো নিজেদের স্বার্থে ‘আংশিক বন্ধুত্ব’ গড়ে তুলছে, যা একপ্রকার ‘বন্ধুত্বে বাধ্য হওয়া’ বা ‘ফ্রেন্ডস বাই কমপালসন’ নামে পরিচিত।
দ্বিবেদীর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আদর্শবাদীরা এখন বাস্তববাদী হয়ে উঠছে, আবার বাস্তববাদীরাও আদর্শবাদী হয়ে যাচ্ছে। আংশিক বন্ধুত্ব একটি নতুন কূটনৈতিক প্রবণতা হয়ে উঠছে, যেখানে দেশগুলো বাধ্য হয়ে সম্পর্ক বজায় রাখছে। নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ বা নির্বাচিত নেতার পতন একটি দেশের সম্পূর্ণ কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে। আমরা এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে দেখতে পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নিরাপত্তায় উদীয়মান প্রযুক্তির গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এখন প্রতিরোধের নতুন মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং তথ্য (ডেটা) বর্তমানে বাণিজ্য ও নিরাপত্তার নতুন মূলধন হয়ে উঠেছে।
সেনাপ্রধানের মতে, ভবিষ্যতের যুদ্ধে প্রযুক্তিগত দক্ষতাই দেশগুলোর মূল শক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার যুদ্ধ ও আধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নিরাপত্তার মূল স্তম্ভ হয়ে উঠবে।
আরও খবর পড়ুন:

ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, চীন বর্তমানে একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় এটি ভারতের জন্য গ্লোবাল সাউথের (তৃতীয় বিশ্ব) নেতা হওয়ার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলছে এবং প্রতিযোগিতার মুখে ফেলছে।
গতকাল রোববার দিল্লিতে চতুর্থ বিপিন রাওয়াত স্মারক বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, ভবিষ্যতে আফ্রিকা একটি নতুন ক্ষমতাকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে এবং ভারতকে সেই সম্ভাবনার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে চীনের উত্থান বিশ্বরাজনীতিতে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করেছে, প্রতিযোগিতা বাড়িয়েছে এবং গ্লোবাল সাউথের স্বাভাবিক নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।’
সেনাপ্রধান দ্বিবেদী বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবর্তন ও সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতার কারণে ভবিষ্যতে আফ্রিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। তবে, ভারত ভূগোল, জনসংখ্যা, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সফট পাওয়ার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকবে।
ভারতের অনেক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাবহুল দেশ, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভৌগোলিক আয়তন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, ভারত এখনো তুলনামূলকভাবে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে।’
সেনাপ্রধান বলেন, এমনকি ব্রিকস (বিকল্প অর্থনৈতিক জোট) গোষ্ঠীও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মার্কিন ডলারের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রে ব্রিকস–এর প্রচেষ্টা ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছে। এই বাস্তবতায়, আমাদের সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)–এর গতিবিধির ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখতে হবে।’
জাতীয় নিরাপত্তা কেবল যুদ্ধ পরিচালনার সক্ষমতার বিষয় নয়, বরং যুদ্ধ প্রতিরোধের কৌশল হিসেবেও কাজ করে বলে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান দ্বিবেদী।
তিনি উল্লেখ করেন, সামরিক ও বেসামরিক খাতের সমন্বয়, আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্পভিত্তি, দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য সম্পদ, সঠিক সময়ে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নেতৃত্ব এবং ‘সিটিজেন ওয়ারিয়রস’ (সাধারণ নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ) একটি কার্যকর প্রতিরক্ষা কৌশলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সেনাপ্রধান বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এখন প্রতিরোধ শক্তির নতুন মুদ্রা হয়ে উঠেছে, এবং তথ্য (ডেটা) বর্তমানে বাণিজ্য ও নিরাপত্তার প্রধান মূলধন হয়ে উঠেছে।
ভারতকে তার গ্লোবাল সাউথ অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পরামর্শ দিয়ে দ্বিবেদী বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার করে গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সংঘাত নিরসনে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে, বিশ্বজুড়ে ভারতীয় প্রবাসীদের মানবিক কাজে যুক্ত করতে হবে, এবং বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে।
পাশাপাশি ভারতকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াই এবং শান্তিরক্ষী মিশনে নেতৃত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পরমাণু অস্ত্রকে একটি কৌশলগত রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করার পক্ষেও সাফাই দেন সেনাপ্রধান।
পরমাণু অস্ত্রকে সম্ভাব্য সংঘাত যতদিন সম্ভব প্রতিহত করার কৌশলগত রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, ইউক্রেন ও গাজার দুটি বড় সংঘাত থেকে বিশ্ব ধীরে ধীরে থিতু হচ্ছে, তবে এর মধ্যেই উপদ্রুত অঞ্চলগুলোতে ক্ষুদ্র আকারে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া, সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং ব্যাপক সাইবার আক্রমণের মতো সাধারণ হুমকিগুলো বিশ্ব শান্তির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে একটি সূক্ষ্ম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার একটি অন্যতম কারণ।
দ্বিবেদী বলেন, বিশ্ব এখন ইউক্রেন ও গাজার দুটি বড় সংঘাত থেকে ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। এই দুই সংঘাতে বেশির ভাগ দেশ বাস্তববাদ, আদর্শবাদ বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পক্ষ নিয়েছে। তা ছাড়া, বিভিন্ন উপদ্রুত অঞ্চলে ক্ষুদ্র আকারে সংঘাত চলছে এবং সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা, ব্যাপক সাইবার হামলা এবং গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হওয়ার মতো হুমকি বিশ্ব শান্তির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা সংকটের কারণে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং সম্প্রতি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে। বিশ্ব বর্তমানে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যার ফলে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশসহ একাধিক দেশের শাসনব্যবস্থা পতনের মুখে পড়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি যেন একপ্রকার পরিবর্তনশীল বালুকাবেলার মতো, যেখানে কখন উচ্চ জোয়ার আর কখন নিম্ন জোয়ার আসবে, তা অনুমান করা কঠিন।’
তাঁর মতে, বর্তমান বিশ্বে দেশগুলো নিজেদের স্বার্থে ‘আংশিক বন্ধুত্ব’ গড়ে তুলছে, যা একপ্রকার ‘বন্ধুত্বে বাধ্য হওয়া’ বা ‘ফ্রেন্ডস বাই কমপালসন’ নামে পরিচিত।
দ্বিবেদীর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আদর্শবাদীরা এখন বাস্তববাদী হয়ে উঠছে, আবার বাস্তববাদীরাও আদর্শবাদী হয়ে যাচ্ছে। আংশিক বন্ধুত্ব একটি নতুন কূটনৈতিক প্রবণতা হয়ে উঠছে, যেখানে দেশগুলো বাধ্য হয়ে সম্পর্ক বজায় রাখছে। নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ বা নির্বাচিত নেতার পতন একটি দেশের সম্পূর্ণ কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে। আমরা এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে দেখতে পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নিরাপত্তায় উদীয়মান প্রযুক্তির গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এখন প্রতিরোধের নতুন মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং তথ্য (ডেটা) বর্তমানে বাণিজ্য ও নিরাপত্তার নতুন মূলধন হয়ে উঠেছে।
সেনাপ্রধানের মতে, ভবিষ্যতের যুদ্ধে প্রযুক্তিগত দক্ষতাই দেশগুলোর মূল শক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার যুদ্ধ ও আধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নিরাপত্তার মূল স্তম্ভ হয়ে উঠবে।
আরও খবর পড়ুন:

ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, চীন বর্তমানে একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় এটি ভারতের জন্য গ্লোবাল সাউথের (তৃতীয় বিশ্ব) নেতা হওয়ার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলছে এবং প্রতিযোগিতার মুখে ফেলছে।
গতকাল রোববার দিল্লিতে চতুর্থ বিপিন রাওয়াত স্মারক বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, ভবিষ্যতে আফ্রিকা একটি নতুন ক্ষমতাকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে এবং ভারতকে সেই সম্ভাবনার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে চীনের উত্থান বিশ্বরাজনীতিতে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করেছে, প্রতিযোগিতা বাড়িয়েছে এবং গ্লোবাল সাউথের স্বাভাবিক নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।’
সেনাপ্রধান দ্বিবেদী বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবর্তন ও সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতার কারণে ভবিষ্যতে আফ্রিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। তবে, ভারত ভূগোল, জনসংখ্যা, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সফট পাওয়ার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকবে।
ভারতের অনেক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাবহুল দেশ, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভৌগোলিক আয়তন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, ভারত এখনো তুলনামূলকভাবে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে।’
সেনাপ্রধান বলেন, এমনকি ব্রিকস (বিকল্প অর্থনৈতিক জোট) গোষ্ঠীও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মার্কিন ডলারের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রে ব্রিকস–এর প্রচেষ্টা ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছে। এই বাস্তবতায়, আমাদের সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)–এর গতিবিধির ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখতে হবে।’
জাতীয় নিরাপত্তা কেবল যুদ্ধ পরিচালনার সক্ষমতার বিষয় নয়, বরং যুদ্ধ প্রতিরোধের কৌশল হিসেবেও কাজ করে বলে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান দ্বিবেদী।
তিনি উল্লেখ করেন, সামরিক ও বেসামরিক খাতের সমন্বয়, আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্পভিত্তি, দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য সম্পদ, সঠিক সময়ে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নেতৃত্ব এবং ‘সিটিজেন ওয়ারিয়রস’ (সাধারণ নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ) একটি কার্যকর প্রতিরক্ষা কৌশলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সেনাপ্রধান বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এখন প্রতিরোধ শক্তির নতুন মুদ্রা হয়ে উঠেছে, এবং তথ্য (ডেটা) বর্তমানে বাণিজ্য ও নিরাপত্তার প্রধান মূলধন হয়ে উঠেছে।
ভারতকে তার গ্লোবাল সাউথ অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পরামর্শ দিয়ে দ্বিবেদী বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার করে গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সংঘাত নিরসনে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে, বিশ্বজুড়ে ভারতীয় প্রবাসীদের মানবিক কাজে যুক্ত করতে হবে, এবং বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে।
পাশাপাশি ভারতকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াই এবং শান্তিরক্ষী মিশনে নেতৃত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পরমাণু অস্ত্রকে একটি কৌশলগত রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করার পক্ষেও সাফাই দেন সেনাপ্রধান।
পরমাণু অস্ত্রকে সম্ভাব্য সংঘাত যতদিন সম্ভব প্রতিহত করার কৌশলগত রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, ইউক্রেন ও গাজার দুটি বড় সংঘাত থেকে বিশ্ব ধীরে ধীরে থিতু হচ্ছে, তবে এর মধ্যেই উপদ্রুত অঞ্চলগুলোতে ক্ষুদ্র আকারে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া, সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং ব্যাপক সাইবার আক্রমণের মতো সাধারণ হুমকিগুলো বিশ্ব শান্তির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে একটি সূক্ষ্ম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার একটি অন্যতম কারণ।
দ্বিবেদী বলেন, বিশ্ব এখন ইউক্রেন ও গাজার দুটি বড় সংঘাত থেকে ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। এই দুই সংঘাতে বেশির ভাগ দেশ বাস্তববাদ, আদর্শবাদ বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পক্ষ নিয়েছে। তা ছাড়া, বিভিন্ন উপদ্রুত অঞ্চলে ক্ষুদ্র আকারে সংঘাত চলছে এবং সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা, ব্যাপক সাইবার হামলা এবং গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হওয়ার মতো হুমকি বিশ্ব শান্তির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা সংকটের কারণে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং সম্প্রতি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে। বিশ্ব বর্তমানে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যার ফলে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশসহ একাধিক দেশের শাসনব্যবস্থা পতনের মুখে পড়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি যেন একপ্রকার পরিবর্তনশীল বালুকাবেলার মতো, যেখানে কখন উচ্চ জোয়ার আর কখন নিম্ন জোয়ার আসবে, তা অনুমান করা কঠিন।’
তাঁর মতে, বর্তমান বিশ্বে দেশগুলো নিজেদের স্বার্থে ‘আংশিক বন্ধুত্ব’ গড়ে তুলছে, যা একপ্রকার ‘বন্ধুত্বে বাধ্য হওয়া’ বা ‘ফ্রেন্ডস বাই কমপালসন’ নামে পরিচিত।
দ্বিবেদীর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আদর্শবাদীরা এখন বাস্তববাদী হয়ে উঠছে, আবার বাস্তববাদীরাও আদর্শবাদী হয়ে যাচ্ছে। আংশিক বন্ধুত্ব একটি নতুন কূটনৈতিক প্রবণতা হয়ে উঠছে, যেখানে দেশগুলো বাধ্য হয়ে সম্পর্ক বজায় রাখছে। নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ বা নির্বাচিত নেতার পতন একটি দেশের সম্পূর্ণ কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে। আমরা এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে দেখতে পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নিরাপত্তায় উদীয়মান প্রযুক্তির গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এখন প্রতিরোধের নতুন মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং তথ্য (ডেটা) বর্তমানে বাণিজ্য ও নিরাপত্তার নতুন মূলধন হয়ে উঠেছে।
সেনাপ্রধানের মতে, ভবিষ্যতের যুদ্ধে প্রযুক্তিগত দক্ষতাই দেশগুলোর মূল শক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার যুদ্ধ ও আধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নিরাপত্তার মূল স্তম্ভ হয়ে উঠবে।
আরও খবর পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগে
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১০ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন—অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহরের অন্যতম বড় পর্যটন কেন্দ্র এই বন্ডাই বিচে গুলিবর্ষণের সময় প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ইহুদীদের হানুক্কা উৎসব পালনের জন্য আয়োজিত বার্ষিক এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ বলেছে, বন্দুকধারীদের মধ্যে একজন হলেন ৫০ বছর বয়সী পিতা সাজিদ আকরাম, যিনি অফিসারদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। অন্যজন হলেন তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম, যিনি হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে গুরুতর আহত অবস্থায় আছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সময় সন্ধ্যা ৭টা বেজে ৪৭ মিনিটে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে জানায়, তারা বন্ডাই বিচে একটি ‘ক্রমবর্ধমান ঘটনা’র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। তারা সতর্ক করে বলে, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাইক নিরাপদে আশ্রয় নিতে হবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, কালো পোশাক পরা দুই বন্দুকধারী ভিড়ের দিকে গুলি চালাচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা একজন অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হেরাল্ডকে বলেন, বন্দুকধারীরা নির্বিচারে শিশু এবং বয়স্কদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। কিছু ছবিতে লোকজনকে অন্যদের বুকের ওপর সিপিআর করতে দেখা যায়।
এই ঘটনার পর বিরোধী দলের নেতা সুসান লে বলেন, অস্ট্রেলিয়ানরা গভীর শোকে মূহ্যমান, ‘ঘৃণ্য সহিংসতা একটি আইকনিক অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রদায়ের কেন্দ্রস্থলে আঘাত করেছে, যে জায়গাটিকে আমরা সবাই খুব ভালোভাবে জানি এবং ভালোবাসি, সেটি হলো বন্ডাই।’ তিনি বলেন, ‘এই হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে তা গুরুতর এবং আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হয়ে সকল অস্ট্রেলিয়ানকে পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। এই হামলাটি ঘটেছে যখন আমাদের ইহুদি সম্প্রদায় হানুক্কা বাই দ্য সি উদযাপনের জন্য একত্রিত হয়েছিল। এটি ছিল শান্তি এবং ভবিষ্যতের আশার একটি উদযাপন, যা ঘৃণা দ্বারা ছিন্ন করা হলো।’
অস্ট্রেলিয়ান জিউয়িশ অ্যাসোসিয়েশন এই গুলিবর্ষণের ঘটনায় আলবানিজ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং বলেছে যে দেশের ইহুদিরা এখন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ‘আজ রাতে যা ঘটেছে তা একটি ট্র্যাজেডি, তবে এটি সম্পূর্ণরূপে অনুমেয় ছিল। আলবানিজ সরকারকে বহুবার সতর্ক করা হয়েছিল, কিন্তু ইহুদি সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য তারা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ রাতে, অনেক ইহুদি ভাবছেন যে অস্ট্রেলিয়ায় তাদের কোনো ভবিষ্যৎ আছে কিনা। আমাদের চিন্তা আমাদের সম্প্রদায় এবং ক্ষতিগ্রস্থ সকলের সাথে রয়েছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন—অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহরের অন্যতম বড় পর্যটন কেন্দ্র এই বন্ডাই বিচে গুলিবর্ষণের সময় প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ইহুদীদের হানুক্কা উৎসব পালনের জন্য আয়োজিত বার্ষিক এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ বলেছে, বন্দুকধারীদের মধ্যে একজন হলেন ৫০ বছর বয়সী পিতা সাজিদ আকরাম, যিনি অফিসারদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। অন্যজন হলেন তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম, যিনি হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে গুরুতর আহত অবস্থায় আছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সময় সন্ধ্যা ৭টা বেজে ৪৭ মিনিটে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে জানায়, তারা বন্ডাই বিচে একটি ‘ক্রমবর্ধমান ঘটনা’র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। তারা সতর্ক করে বলে, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাইক নিরাপদে আশ্রয় নিতে হবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, কালো পোশাক পরা দুই বন্দুকধারী ভিড়ের দিকে গুলি চালাচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা একজন অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হেরাল্ডকে বলেন, বন্দুকধারীরা নির্বিচারে শিশু এবং বয়স্কদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। কিছু ছবিতে লোকজনকে অন্যদের বুকের ওপর সিপিআর করতে দেখা যায়।
এই ঘটনার পর বিরোধী দলের নেতা সুসান লে বলেন, অস্ট্রেলিয়ানরা গভীর শোকে মূহ্যমান, ‘ঘৃণ্য সহিংসতা একটি আইকনিক অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রদায়ের কেন্দ্রস্থলে আঘাত করেছে, যে জায়গাটিকে আমরা সবাই খুব ভালোভাবে জানি এবং ভালোবাসি, সেটি হলো বন্ডাই।’ তিনি বলেন, ‘এই হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে তা গুরুতর এবং আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হয়ে সকল অস্ট্রেলিয়ানকে পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। এই হামলাটি ঘটেছে যখন আমাদের ইহুদি সম্প্রদায় হানুক্কা বাই দ্য সি উদযাপনের জন্য একত্রিত হয়েছিল। এটি ছিল শান্তি এবং ভবিষ্যতের আশার একটি উদযাপন, যা ঘৃণা দ্বারা ছিন্ন করা হলো।’
অস্ট্রেলিয়ান জিউয়িশ অ্যাসোসিয়েশন এই গুলিবর্ষণের ঘটনায় আলবানিজ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং বলেছে যে দেশের ইহুদিরা এখন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ‘আজ রাতে যা ঘটেছে তা একটি ট্র্যাজেডি, তবে এটি সম্পূর্ণরূপে অনুমেয় ছিল। আলবানিজ সরকারকে বহুবার সতর্ক করা হয়েছিল, কিন্তু ইহুদি সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য তারা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ রাতে, অনেক ইহুদি ভাবছেন যে অস্ট্রেলিয়ায় তাদের কোনো ভবিষ্যৎ আছে কিনা। আমাদের চিন্তা আমাদের সম্প্রদায় এবং ক্ষতিগ্রস্থ সকলের সাথে রয়েছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ।’

ভারতের অনেক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাবহুল দেশ, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভৌগোলিক আয়তন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, ভারত এখনো তুলনামূলকভাবে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে।’
১৭ মার্চ ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১০ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

ভারতের অনেক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাবহুল দেশ, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভৌগোলিক আয়তন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, ভারত এখনো তুলনামূলকভাবে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে।’
১৭ মার্চ ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

ভারতের অনেক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাবহুল দেশ, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভৌগোলিক আয়তন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, ভারত এখনো তুলনামূলকভাবে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে।’
১৭ মার্চ ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগে
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

ভারতের অনেক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাবহুল দেশ, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভৌগোলিক আয়তন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, ভারত এখনো তুলনামূলকভাবে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে।’
১৭ মার্চ ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগে
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১০ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১২ ঘণ্টা আগে