বাগেরহাট প্রতিনিধি
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়িসংলগ্ন বনে লাগা আগুন আজ শনিবার রাত ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নেভানো যায়নি। ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে বনে টেপারবিল এলাকায় ধোঁয়া দেখতে পান পাশের এলাকার বাসিন্দারা। দুপুরে বন বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে বন বিভাগ আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয়রা সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে বনের মধ্যে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা ধরে ফায়ার লাইন (শুকনো পাতা, মাটি সরিয়ে নালা) তৈরি করেছে। তবে কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকায় পানি দেওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের শরণখোলা স্টেশনের কর্মকর্তা আফতাদ-ই-আলম বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। আগুন আশা করা যায় আর ছড়াবে না। কোথাও ধোঁয়া আছে, কোথাও এখনো একটু একটু করে জ্বলছে। আলো না থাকায় রাতে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। অর্ধেকটা পথ পর্যন্ত পাইপ টেনে নেওয়া গেছে। তবে পানি দেওয়া যায়নি। পাইপ টেনে সকাল (কাল) থেকে পানি দেওয়া যাবে।’
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বনাঞ্চলে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখার পর বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। বন বিভাগের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকসহ শত শত স্থানীয় বাসিন্দা আগুন নিয়ন্ত্রণে বনের মাঝে ফায়ার লাইন কাটার কাজ করেছে। তবে কাছাকাছি কোনো নদী-খাল না থাকায় সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি দেওয়ার কাজ শুরু করা যায়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বনের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে ঘুরে আসা শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা এলাকার বাসিন্দা শাহিন হাওলাদার বলেন, এবার যেখানে আগুন লেগেছে, তা বনের বেশ ভেতরে। দীর্ঘক্ষণ হেঁটে ঘটনাস্থলে যেতে হবে। গাছপালার মধ্যে হাঁটা যায় না। এখানে বনের মধ্যে ভালো ছিলাও (পায়ে হাঁটার পথ) নেই। গাছের কারণে কিছু জায়গা দিয়ে নিচু হয়ে চলতে হয়।
রাজাপুর এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য পান্না মিয়া বলেন, ‘শত শত মানুষ আগুন নিয়ন্ত্রণে বন বিভাগের সঙ্গে কাজ শুরু করে। আমিও সেখানে গেছি। বেশ দুর্গম পথ। আশপাশে কোনো নদী-খাল নেই। তাই পানি নিতে দেরি হচ্ছে। আগুন যেন না ছড়ায়, সে জন্য সরু পথ (ফায়ার লাইন) কাটা হয়েছে এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকা ধরে। সেখানে প্রচুর শুকনো পাতা, এটাই ভয়। তবে দাউ দাউ করে কোথাও জ্বলছে না, আগুন আর ছড়ানোর কথা নয়। কিন্তু পানির পাইপ নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
স্থানীয়রা বলছেন, আগুন লাগা ওই এলাকাটিতে তেমন বড় গাছ নেই। গাছের শুকনো পাতার পুরো আস্তরণ রয়েছে মাটির ওপর। ওই শুকনো পাতার কারণে আগুন ছড়াচ্ছে। আগুন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, এ জন্য স্থানীয় লোকজন নিয়ে বন বিভাগ কিছুটা পাতার স্তূপ সরালেও গভীর ফায়ার লাইন কাটতে পারেনি। তাই রাতে বাতাস হলে দীর্ঘ বছর ধরে জমা পাতার স্তূপের নিচ দিয়েও আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আগুন ততটা বেশি নয়, বেশি হলো ধোঁয়া। আগুন যেন আর না ছড়ায়, সে জন্য চারপাশ থেকে পাতা সরিয়ে সরু নালা করা হয়েছে। পাইপ এখনো ওই এলাকা পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। আশা করি সকালে আরও গতি নিয়ে কাজ করা যাবে।’
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়িসংলগ্ন বনে লাগা আগুন আজ শনিবার রাত ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নেভানো যায়নি। ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে বনে টেপারবিল এলাকায় ধোঁয়া দেখতে পান পাশের এলাকার বাসিন্দারা। দুপুরে বন বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে বন বিভাগ আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয়রা সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে বনের মধ্যে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা ধরে ফায়ার লাইন (শুকনো পাতা, মাটি সরিয়ে নালা) তৈরি করেছে। তবে কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকায় পানি দেওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের শরণখোলা স্টেশনের কর্মকর্তা আফতাদ-ই-আলম বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। আগুন আশা করা যায় আর ছড়াবে না। কোথাও ধোঁয়া আছে, কোথাও এখনো একটু একটু করে জ্বলছে। আলো না থাকায় রাতে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। অর্ধেকটা পথ পর্যন্ত পাইপ টেনে নেওয়া গেছে। তবে পানি দেওয়া যায়নি। পাইপ টেনে সকাল (কাল) থেকে পানি দেওয়া যাবে।’
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বনাঞ্চলে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখার পর বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। বন বিভাগের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকসহ শত শত স্থানীয় বাসিন্দা আগুন নিয়ন্ত্রণে বনের মাঝে ফায়ার লাইন কাটার কাজ করেছে। তবে কাছাকাছি কোনো নদী-খাল না থাকায় সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি দেওয়ার কাজ শুরু করা যায়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বনের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে ঘুরে আসা শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা এলাকার বাসিন্দা শাহিন হাওলাদার বলেন, এবার যেখানে আগুন লেগেছে, তা বনের বেশ ভেতরে। দীর্ঘক্ষণ হেঁটে ঘটনাস্থলে যেতে হবে। গাছপালার মধ্যে হাঁটা যায় না। এখানে বনের মধ্যে ভালো ছিলাও (পায়ে হাঁটার পথ) নেই। গাছের কারণে কিছু জায়গা দিয়ে নিচু হয়ে চলতে হয়।
রাজাপুর এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য পান্না মিয়া বলেন, ‘শত শত মানুষ আগুন নিয়ন্ত্রণে বন বিভাগের সঙ্গে কাজ শুরু করে। আমিও সেখানে গেছি। বেশ দুর্গম পথ। আশপাশে কোনো নদী-খাল নেই। তাই পানি নিতে দেরি হচ্ছে। আগুন যেন না ছড়ায়, সে জন্য সরু পথ (ফায়ার লাইন) কাটা হয়েছে এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকা ধরে। সেখানে প্রচুর শুকনো পাতা, এটাই ভয়। তবে দাউ দাউ করে কোথাও জ্বলছে না, আগুন আর ছড়ানোর কথা নয়। কিন্তু পানির পাইপ নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
স্থানীয়রা বলছেন, আগুন লাগা ওই এলাকাটিতে তেমন বড় গাছ নেই। গাছের শুকনো পাতার পুরো আস্তরণ রয়েছে মাটির ওপর। ওই শুকনো পাতার কারণে আগুন ছড়াচ্ছে। আগুন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, এ জন্য স্থানীয় লোকজন নিয়ে বন বিভাগ কিছুটা পাতার স্তূপ সরালেও গভীর ফায়ার লাইন কাটতে পারেনি। তাই রাতে বাতাস হলে দীর্ঘ বছর ধরে জমা পাতার স্তূপের নিচ দিয়েও আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আগুন ততটা বেশি নয়, বেশি হলো ধোঁয়া। আগুন যেন আর না ছড়ায়, সে জন্য চারপাশ থেকে পাতা সরিয়ে সরু নালা করা হয়েছে। পাইপ এখনো ওই এলাকা পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। আশা করি সকালে আরও গতি নিয়ে কাজ করা যাবে।’
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
৯ দিন আগেধর্ষণের শিকার নারীর ছবি বা পরিচয় সংবাদ মাধ্যম কিংবা ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলেই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করতে পারবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বর্ণিত এই অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় জড়িত অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা যাবে।
১৬ দিন আগেসাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫