চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিবের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩নং নাচোল ইউনিয়ন ও ৪নং নেজাপুর ইউনিয়নের কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়ন ফরমে ভুল সংশোধনের নামে তিনি ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে প্রার্থীরা।
নেজামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্যপ্রার্থী আবু হেনা মোস্তফা কামাল অভিযোগে জানান, গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের তফশিল অনুযায়ী নাচোল উপজেলার নেজাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল। গত ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইকালে আবু হেনা মোস্তফা কামালের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন নাচোল ও নেজাপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিব।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৬ষ্ঠ বিধিমালা ২ এর ‘ছ’ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ১০ / (দশ) টাকা মূল্যের (কার্ডের) ওএমএস ডিলারশিপ থাকায় আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর মনোনয়নটি বাতিল করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন রিটার্নিং ও সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিব তাঁকে বলেন, আপনার ১০ / (দশ) টাকার কার্ডের ওএমএস ডিলারশিপ থাকায় আপনার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হবে। এ কথা বলে সেই রাতেই তাঁর অফিসে দেখা করতে বলেন। পরে ওই প্রার্থী তাঁর কথা মত সেদিন রাত ৮টার দিকে তাঁর অফিসে দেখা করতে গেলে আল গালিব তাকে বলেন, আধা ঘণ্টার মধ্যে আমাকে ব্যাক ডেটে ডিলারশিপ বাতিলের একটি দরখাস্ত এবং ২০ হাজার টাকা দিতে হবে অন্যথায় আপনার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হবে। আবু হেনা মোস্তফা কামাল সময় মত ঘুষের টাকা দিতে না পারায় আল গালিব তাঁর মনোনয়নপত্র সেদিন রাত ১০টার দিকে বাতিল করে দেন। পরে তিনি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট আপিল করেন। সেখানে শুনানি শেষে মনোনয়নপত্রের বৈধতা পান। ওই প্রার্থী এ কর্মকর্তার অধীনে নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট হওয়া নিয়ে নানা সংশয়ে ভুগছেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন রিটার্নিং ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা আল গালিবের ঘুষ বাণিজ্যের হাত থেকে রেহাই পায়নি ৩নং নাচোল ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী ও আদিবাসী নেত্রী শ্রীমতি নয়ন তারা। শ্রীমতি নয়ন তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন মনোনয়নপত্রে আমার নামের ভুল সংশোধনের অজুহাতে আমার নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আল গালিব।’
নেজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানা (মাষ্টার) জানান, নেজামপুর ইউনিয়নের এক সদস্য প্রার্থী সন্তোষ কুমারের মনোনয়নপত্রে একটি ঘরে নাম লিখতে ভুলে যাওয়ায় সে প্রার্থীর নিকট থেকে দুই হাজার টাকা ঘুষ নেন আল গালিব।
অভিযোগকারীরা আরও বলেন, ফরমের ভুল সংশোধনের নামে ২ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিয়েছেন দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু এমন কর্মকাণ্ডের পরেও নির্বাচনে ক্ষতির আশঙ্কায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নাচোল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মনোনয়ন ফরম সংশোধনের নামে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। আপনাদের যদি এ বিষয়ে কোন অভিযোগ থাকে তাহলে ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ জানান, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কিছুই করা যাবে না। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্তে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, রিটার্নিং অফিসার ও সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিব এর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিভাগীয় কর্মকর্তা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিবের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩নং নাচোল ইউনিয়ন ও ৪নং নেজাপুর ইউনিয়নের কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়ন ফরমে ভুল সংশোধনের নামে তিনি ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে প্রার্থীরা।
নেজামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্যপ্রার্থী আবু হেনা মোস্তফা কামাল অভিযোগে জানান, গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের তফশিল অনুযায়ী নাচোল উপজেলার নেজাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল। গত ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইকালে আবু হেনা মোস্তফা কামালের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন নাচোল ও নেজাপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিব।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৬ষ্ঠ বিধিমালা ২ এর ‘ছ’ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ১০ / (দশ) টাকা মূল্যের (কার্ডের) ওএমএস ডিলারশিপ থাকায় আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর মনোনয়নটি বাতিল করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন রিটার্নিং ও সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিব তাঁকে বলেন, আপনার ১০ / (দশ) টাকার কার্ডের ওএমএস ডিলারশিপ থাকায় আপনার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হবে। এ কথা বলে সেই রাতেই তাঁর অফিসে দেখা করতে বলেন। পরে ওই প্রার্থী তাঁর কথা মত সেদিন রাত ৮টার দিকে তাঁর অফিসে দেখা করতে গেলে আল গালিব তাকে বলেন, আধা ঘণ্টার মধ্যে আমাকে ব্যাক ডেটে ডিলারশিপ বাতিলের একটি দরখাস্ত এবং ২০ হাজার টাকা দিতে হবে অন্যথায় আপনার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হবে। আবু হেনা মোস্তফা কামাল সময় মত ঘুষের টাকা দিতে না পারায় আল গালিব তাঁর মনোনয়নপত্র সেদিন রাত ১০টার দিকে বাতিল করে দেন। পরে তিনি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট আপিল করেন। সেখানে শুনানি শেষে মনোনয়নপত্রের বৈধতা পান। ওই প্রার্থী এ কর্মকর্তার অধীনে নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট হওয়া নিয়ে নানা সংশয়ে ভুগছেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন রিটার্নিং ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা আল গালিবের ঘুষ বাণিজ্যের হাত থেকে রেহাই পায়নি ৩নং নাচোল ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী ও আদিবাসী নেত্রী শ্রীমতি নয়ন তারা। শ্রীমতি নয়ন তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন মনোনয়নপত্রে আমার নামের ভুল সংশোধনের অজুহাতে আমার নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আল গালিব।’
নেজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানা (মাষ্টার) জানান, নেজামপুর ইউনিয়নের এক সদস্য প্রার্থী সন্তোষ কুমারের মনোনয়নপত্রে একটি ঘরে নাম লিখতে ভুলে যাওয়ায় সে প্রার্থীর নিকট থেকে দুই হাজার টাকা ঘুষ নেন আল গালিব।
অভিযোগকারীরা আরও বলেন, ফরমের ভুল সংশোধনের নামে ২ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিয়েছেন দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু এমন কর্মকাণ্ডের পরেও নির্বাচনে ক্ষতির আশঙ্কায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নাচোল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মনোনয়ন ফরম সংশোধনের নামে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। আপনাদের যদি এ বিষয়ে কোন অভিযোগ থাকে তাহলে ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ জানান, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কিছুই করা যাবে না। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্তে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, রিটার্নিং অফিসার ও সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিব এর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিভাগীয় কর্মকর্তা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন।
ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি বা পরিচয় সংবাদ মাধ্যম কিংবা ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলেই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করতে পারবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বর্ণিত এই অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় জড়িত অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা যাবে।
২ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৯ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৮ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫