সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চারজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী। মামলাটি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছে পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশের হুমকিতে আত্মগোপনে রয়েছেন বাদী।
গত বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসিসহ চারজন পুলিশ কর্মকর্তার নামে মামলাটি করেছেন আ. ফ. ম হানযালা নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী। তিনি উপজেলার সদর ইউপির দীঘলকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং সারিয়াকান্দি তরফদার মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন সারিয়াকান্দি থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান, উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রবিউল করিম, মাহবুব হাসান ও সারিয়াকান্দি চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক কর্মরত উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম। এসআই রবিউল ইসলাম বর্তমানে রাজশাহীর বাঘা থানায় কর্মরত আছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, এসআই রবিউলের সঙ্গে বাদীর সাবেক স্ত্রীর (২৬) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক নিয়েই পুলিশ কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েন হানযালা।
হানযালার আইনজীবী জাকিউল আলম সোহেল জানান, হানযালার সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে এসআই রবিউল ইসলামের প্রেম ছিল। গত ১৭ জানুয়ারি রাতে আপত্তিকর অবস্থায় রবিউল ও ব্যবসায়ীর সাবেক স্ত্রীকে আটক করেন গ্রামবাসী। ওই সময় গ্রামবাসীর হামলার শিকার হন রবিউল। রবিউল স্থানীয়দের হামলার শিকার হওয়ার পর ধারণা করেন যে হানযালাই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। ফলে হানযালাকে বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখিয়ে আসছিলেন তিনি (রবিউল)। এ ঘটনায় সহকর্মীকে সাহায্য করার জন্য অন্য পুলিশ কর্মকর্তারাও জড়িয়ে যান। পরে সারিয়াকান্দি থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান হানযালার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং চাঁদা না দিলে হানযালার ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সারিয়াকান্দির ‘গোল্ডেন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’ হতে সারিয়াকান্দি থানার এসআই রবিউল করিম ও মাহবুব ব্যবসায়ী হানযালাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান এবং মধ্যরাতে তাঁকে হাজত থেকে বের করে থানার এসআইদের রুমে নিয়ে গিয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। মারধর করার আগে গামছা দিয়ে হানযালার চোখ বাঁধা হয়েছিল। মারধর শেষে তাঁর চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়। ওই সময় ওসি মিজানুর বলেন, এসব বিষয়ে মুখ খুললে ক্রসফায়ারে তাঁকে মেরে ফেলা হবে। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরদিন ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে হানযালা জামিনে মুক্ত হন। মুক্ত হয়ে তিনি মামলাটি করেন।
এদিকে এসআই রবিউলকে গ্রামবাসী আটক করে মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক দুরুল হুদা।
আইনজীবী জাকিউল আলম সোহেল জানান, পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন হানযালা। তাঁর ওপর প্রচুর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আতঙ্কে বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন হানযালা। পুলিশের ভয়ে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলও বন্ধ করে রেখেছেন।
মামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সারিয়াকান্দি থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট মামলায় হানযালাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরদিনই তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। তাঁকে মারধর করা হয়নি। কোনো মিথ্যা মামলাও দেওয়া হয়নি। তাঁর কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টিও সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চারজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী। মামলাটি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছে পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশের হুমকিতে আত্মগোপনে রয়েছেন বাদী।
গত বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসিসহ চারজন পুলিশ কর্মকর্তার নামে মামলাটি করেছেন আ. ফ. ম হানযালা নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী। তিনি উপজেলার সদর ইউপির দীঘলকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং সারিয়াকান্দি তরফদার মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন সারিয়াকান্দি থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান, উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রবিউল করিম, মাহবুব হাসান ও সারিয়াকান্দি চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক কর্মরত উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম। এসআই রবিউল ইসলাম বর্তমানে রাজশাহীর বাঘা থানায় কর্মরত আছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, এসআই রবিউলের সঙ্গে বাদীর সাবেক স্ত্রীর (২৬) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক নিয়েই পুলিশ কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েন হানযালা।
হানযালার আইনজীবী জাকিউল আলম সোহেল জানান, হানযালার সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে এসআই রবিউল ইসলামের প্রেম ছিল। গত ১৭ জানুয়ারি রাতে আপত্তিকর অবস্থায় রবিউল ও ব্যবসায়ীর সাবেক স্ত্রীকে আটক করেন গ্রামবাসী। ওই সময় গ্রামবাসীর হামলার শিকার হন রবিউল। রবিউল স্থানীয়দের হামলার শিকার হওয়ার পর ধারণা করেন যে হানযালাই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। ফলে হানযালাকে বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখিয়ে আসছিলেন তিনি (রবিউল)। এ ঘটনায় সহকর্মীকে সাহায্য করার জন্য অন্য পুলিশ কর্মকর্তারাও জড়িয়ে যান। পরে সারিয়াকান্দি থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান হানযালার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং চাঁদা না দিলে হানযালার ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সারিয়াকান্দির ‘গোল্ডেন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’ হতে সারিয়াকান্দি থানার এসআই রবিউল করিম ও মাহবুব ব্যবসায়ী হানযালাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান এবং মধ্যরাতে তাঁকে হাজত থেকে বের করে থানার এসআইদের রুমে নিয়ে গিয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। মারধর করার আগে গামছা দিয়ে হানযালার চোখ বাঁধা হয়েছিল। মারধর শেষে তাঁর চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়। ওই সময় ওসি মিজানুর বলেন, এসব বিষয়ে মুখ খুললে ক্রসফায়ারে তাঁকে মেরে ফেলা হবে। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরদিন ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে হানযালা জামিনে মুক্ত হন। মুক্ত হয়ে তিনি মামলাটি করেন।
এদিকে এসআই রবিউলকে গ্রামবাসী আটক করে মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক দুরুল হুদা।
আইনজীবী জাকিউল আলম সোহেল জানান, পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন হানযালা। তাঁর ওপর প্রচুর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আতঙ্কে বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন হানযালা। পুলিশের ভয়ে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলও বন্ধ করে রেখেছেন।
মামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সারিয়াকান্দি থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট মামলায় হানযালাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরদিনই তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। তাঁকে মারধর করা হয়নি। কোনো মিথ্যা মামলাও দেওয়া হয়নি। তাঁর কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টিও সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৪ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৪ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫